
ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারী নগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পরীক্ষা কেন্দ্রীক বিরোধ কে কেন্দ্র করে ঘটনার জেরে শিক্ষক রাজীব সরকার আহত হন। পরে তাকে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়।
অভিভাবকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় সকালে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের গেট থেকে ফিরে যায় বাড়ি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হন। পরে ইউএনও’র নির্দেশে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলে আশপাশের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানাতে আসেন। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার মুহূর্তে ভিড়ের মধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তি ইট নিক্ষেপ করলে তা শিক্ষক রাজীব সরকারের মাথায় লাগে।
আহত শিক্ষক রাজীব সরকার বলেন,
“কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। আমরা আপত্তি জানাতে গেলে হঠাৎ করেই অজ্ঞাত কিছু লোকজন ইট ছুড়ে মারে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ ছিল—এমন কথা আমি কোথাও বলিনি। যদি কোনো সংবাদ কর্মী নিজ দায়িত্বে রাজনৈতিক দলের নাম জুড়ে থাকে, সেটার দায় সে-ই নেবে। আমার ঘটনার সঙ্গে জামায়াত বা বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
ঘটনায় নাম আসায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন কাজী অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,
“সহকারী শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আটকে রেখেছেন—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে যেয়ে দেখি শিক্ষক রাজীব সরকার কে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। অথচ কিছু গণমাধ্যম আমাকে এবং যুবদলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
ফরিদপুর থানার ওসি বলেন, “এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”