
গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছরি উপজেলার মানুষের কল্যাণকে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে দেখেন স্থানীয় সমাজসেবক সফিকুল ইসলাম টিপু মন্ডল। মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,
“সাঘাটা–ফুলছরির মানুষ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকব। মানুষের মুখের হাসি আমার শক্তি, মানুষের সমস্যার সমাধানই আমার কাজ।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ–আক্ষেপ, জীবনসংগ্রাম ও নাগরিক সুবিধার ঘাটতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। চরাঞ্চলের বিশেষ সমস্যাগুলোকে সামনে রেখে বক্তব্যে তিনি বলেন,চর অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। হাসপাতাল নেই, চিকিৎসা সুবিধা সীমিত, যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল—এক কথায় তারা বঞ্চনার মধ্যেই জীবন কাটাচ্ছে। এখন তাঁদের পাশে দাঁড়ানো শুধু প্রয়োজনই নয়, মানবিক দায়িত্বও।
চরবাসীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিতেই গুরুত্ব দেখতে চান টিপু মন্ডল।তিনি আরও বলেন,এই অঞ্চলের মানুষ প্রতিদিন নদীর ভাঙন, বন্যা, অনুন্নত রাস্তা, অসুস্থ হলে চিকিৎসা না পাওয়ার কষ্ট—সবকিছুই সহ্য করে বেঁচে আছে। চরবাসীর মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হলে স্থায়ীভাবে হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা, জরুরি ফায়ার সার্ভিস, স্কুল–কলেজ এবং নিরাপদ আশ্রয়সহ সমন্বিত উন্নয়ন দরকার।”
টিপু মন্ডল মনে করেন, যথাযথ উদ্যোগ ও সঠিক নেতৃত্ব থাকলে এ অঞ্চলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
“মানুষ আমাকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। তাই তাদের প্রত্যাশা পূরণে আমি যতটুকু পারি সবটুকুই করতে চাই।”
জাতীয় রাজনীতি ও জনগণের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বক্তব্য
জাতীয় প্রেক্ষাপটে জনগণের দুর্দশা ও উন্নয়নের বিষয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া এই দেশে প্রকৃত শান্তি–শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি মানুষের অধিকার রক্ষায় আজীবন লড়াই করেছেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ–কষ্ট দূর করতে তাঁর নেতৃত্ব প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন,
আমি মনে করি, আমাদের দরকার মোদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকার। দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য তাঁর মত সাহসী নেতৃত্বই প্রয়োজন।”অঞ্চলের উন্নয়নেই আজীবনের অঙ্গীকারসাঘাটা ও ফুলছরির মানুষের প্রতি নিজের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে টিপু মন্ডল বলেন,
“একজন মানুষ হিসেবে আমার দায়িত্ব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কেউ কষ্টে থাকলে আমি কখনো শান্তিতে থাকতে পারি না। এলাকার উন্নয়ন, মানুষের সমস্যা দূর করা—এসব কাজই আমার জীবনের লক্ষ্য।”
তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, যুবসমাজের কর্মসংস্থান, মহিলাদের নিরাপত্তা, কৃষকের সমস্যার সমাধান এবং চরাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কাজ করছেন।
“মানুষকে ভালো রাখতে চাই, মানুষের জীবনকে সহজ করতে চাই—এই লক্ষ্য নিয়েই ভবিষ্যৎ পথচলা।”—এ কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।