
চোখে আলো ফেরানোর স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার ঠান্ডা মিয়া ও আমেনা খাতুন দম্পত্তির মেয়ে বিবি আয়েশা। চিকিৎসকরা জানান, তার চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাঁচটি ইনজেকশন প্রয়োজন হলেও অর্থাভাবে তিনি নিতে পেরেছেন মাত্র দুটি।

প্রতিটি ইনজেকশনের দাম সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। অসুস্থ স্বামী মুক্তার আহমেদকে নিয়ে তার জীবনযাপন আরও দুর্বিষহ। একমাত্র ছেলে আলাদা থাকেন, খবর নেন না। মেয়েও ব্যস্ত নিজ সংসারে। ফলে অসহায় এই দম্পতির দেখভালের কেউ নেই।

শেষ ভরসা হিসেবে তিনি আজ বুধবার ( ১৭ ডিসেম্বর) দেখা করেন সারাদেশে মানবিক ডিসি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে। তার কথা শুনে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা দেন।সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিবি আয়েশা বলেন, “ডিসি স্যার আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন। শুধু সাহায্যই নয়, দোয়া করতে বলেছেন।”
একইভাবে পটিয়ার দক্ষিণ মনসা কুসুমপুরা ইউনিয়নের নুর জান্নাত হোসেন রাজমী হরমোনজনিত জটিল রোগে ভুগছে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজমীর শারীরিক গঠন চার বছরের শিশুর মতো। প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ইনজেকশন প্রয়োজন।

এর আগে সহায়তার আশ্বাস পেলেও কিছুই পাননি বলে অভিযোগ পরিবারের। এবার জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আশার আলো দেখছেন তার মা দিলোয়ারা বেগম।সাতকানিয়ার মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী দুজনেই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তাদের পাঁচ বছরের সন্তান মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা ব্যয়ে নিঃস্ব এই পরিবারও জেলা প্রশাসকের গণশুনানিতে সহায়তা পান।

চট্টগ্রাম বধির সংঘের সদস্য এস এম মোজাফফর হোসেন বলেন, “এমন মানবিক ডিসি আমরা আগে দেখিনি।”
জেলা প্রশাসন জানায়, বুধবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে ২৭ জন সেবাপ্রত্যাশীর সমস্যা শোনা হয় এবং চারজন গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।