লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালীতে ঝিনাইদহের এক তরুণীর অনশন। ঘরে তালা দিয়ে উধাও পরিবারের সদস্যরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড পূর্ব নলডগির নিজাম হুজুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় মাদরাসা শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের বড় ছেলে নাঈম উদ্দিন রাজু ঢাকায় লেখা পড়া করার সুবাদে সহশিক্ষার্থী ঝিনাইদহের তরুণী সাগরিকা আক্তার মৌসুমির সাথে পরিচয় ও পরবর্তীতে বিয়ে সংসার।
চলতি বছরের ১০ জুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে কাজী অফিসে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে উভয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে। ঢাকার রামপুরায় গত কয়েক মাস একসঙ্গে সংসারও করে।
কিন্তু গত নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে নাঈম কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রবাসে ( কম্বোডিয়া) চলে যায়। প্রবাসে গিয়ে সাগরিকা কে তা মেসেজ দিয়ে জানায় এবং গত কয়েক মাসের ঘটে যাওয়া সব কিছু অস্বীকার করে।
যার কারণে ভুক্তভোগী তরুণী চলতি মাসের ৮ তারিখে নাঈমের গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানালে পরিবারও তা মেনে নেইনি। সর্বশেষ গতকাল ১০ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছেলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। ঘরে তালা দেওয়া থাকায় ছেলের পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় দেখা দিয়েছে এ ঘটনায়। এলাকাবাসীও ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি ও সমাধান আশা করে। চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বিষয়টি অবগত হয়েছেন, ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী করণীয় জানাবেন বলে জানিয়েছেন।উল্লেখ্য গত জুলাই আন্দোলন করতে গিয়ে এ প্রেম, প্রণয় ও সংসার।