আজঃ বুধবার ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারে আটক পুলিশ সদস্যের মুক্তির অভিযোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরের প্রবেশমুখ বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশির সময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা গায়েব করে ফেলার অভিযোগও উঠেছে বাকলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম ইমতিয়াজ হোসেন। তিনি কক্সবাজার জেলা আদালতের এক বিচারকের গানম্যান হিসেবে কর্মরত।

ইমতিয়াজ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ভেতরে ব্যাপক আলোচনা ও অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি, পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
সূত্রে জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে নগরের শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রিজ) এলাকায় বাকলিয়া থানার অংশে ঢাকাগামী একটি বাসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাসটি ওই দিন রাত ১০টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসে। তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন হিসেবে ইমতিয়াজ হোসেন নামে এক যাত্রীকে আটক করে পুলিশ বক্সে নেওয়া হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে নয়টি বক্সে মোট ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে দাবি সূত্রের। একপর্যায়ে আটক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এর বিচারক রোকেয়া আক্তারের গানম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পরিচয় জানার পর দরকষাকষির মাধ্যমে বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমেদ ইয়াবাগুলো জব্দ না করে ইমতিয়াজ হোসেনকে ছেড়ে দেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে বাকলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন, দায়িত্বরত এএসআই সাদ্দামসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

পুলিশ সূত্র জানায়, ইমতিয়াজ হোসেনের ব্যবহৃত একটি ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড ও যাতায়াতের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন মাসে তিনি একাধিকবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাতায়াত করেছেন। গত ১৩ অক্টোবর ঢাকায় গিয়ে ১৭ অক্টোবর কক্সবাজার ফেরেন। এরপর ১৫ নভেম্বর ঢাকায় গিয়ে ১৭ নভেম্বর ফেরেন। পাঁচ দিন পর আবার ২২ নভেম্বর ঢাকায় গিয়ে ২৪ নভেম্বর কক্সবাজার ফেরেন। সর্বশেষ ৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি ঢাকাগামী বাসে ওঠেন। তবে ওই দিন কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্টে আটক হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজার আদালতে একসময় কর্মরত সায়েম নামে এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে মাদক চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন ইমতিয়াজ। সায়েমও এক বিচারকের গানম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন এবং তাঁর সঙ্গে ইমতিয়াজের ঘনিষ্ঠতা ছিল।তিনি আরও জানান, প্রায় এক বছর আগে সায়েমসহ দুই ব্যক্তিকে ইয়াবাসহ আটক করে র‌্যাব, পরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে পুলিশ সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন, বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমেদ, সেকেন্ড অফিসার এসআই আল আমিন ও এএসআই সাদ্দামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) আমিনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার পুলিশ লাইন্সের আরআই ইন্সপেক্টর আশরাফ আলী বলেন, ইমতিয়াজ হোসেন ২০২২ সালের ১৩ জুলাই কক্সবাজার পুলিশ লাইন্সে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির গানম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে আইনজীবী খুনের মামলা গেল জজ আদালতে : পিতার দাবি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে আলিফের বাবা মামলাটির বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আদালতে হাজিরা নিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে ওই আইনজীবি খুন হয়। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন মামলার শুনানিতে মামলার বাদী নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি খুনের শিকার হন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, মামলার নির্ধারিত শুনানির দিনে মঙ্গলবার সেটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ এসেছে। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। মহানগর দায়রা জজ আদালত অথবা অধীনস্থ অন্য কোনো আদালতে এখন মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।

রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আরো জানান, মামলার ৩৯ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন এখনো পলাতক আছেন।
এদিকে আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে বিচার সম্পন্নের আবেদন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আবেদনটি পৌঁছে দেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরীফ উদ্দিন আবেদন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে এপিপি রায়হানুল ওয়াজেদ জানান।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিনঘণ্টা তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত প্রাঙ্গনের অদূরে নগরীর বাণ্ডেল সেবক কলোনির সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন নগরীর কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা সবাই চিন্ময়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে জামাল উদ্দিনের করা মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নাম ছিল না। চলতি বছরের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে সম্পৃক্ততা পাবার তথ্য উল্লেখ করে চিন্ময়কে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। এরপর ১ জুলাই চিন্ময়কে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তবে অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানিতে আদালত মামলা থেকে একজন আসামির অব্যাহতির জন্য তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশ নাকচ করেন।

এর ফলে এখন ওই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ৩৯ জন।চিন্ময় বাদে বাকি আসামিরা হলেন- চন্দন দাস মেথর, রিপন দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাস, আমান দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, ওমকার দাস, বিশাল, লালা দাস, সামীর, সোহেল দাশ রানা, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবীচরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস, সনু দাস, সকু দাস, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস, দ্বীপ দাস ও সুকান্ত দত্ত।

এমপিএইচ কোর্স কারিকুলাম হালনাগাদকরণে সিভাসু’তে কর্মশালা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘এমপিএইচ (মাস্টার অব পাবলিক হেলথ) কোর্স কারিকুলাম পর্যালোচনা এবং হালনাগাদকরণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট এই কর্মশালার আয়োজন করে। সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ এবং আইইডিসিআর এর সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মাহমুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: আহসানুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা: জাহান আরা।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. মো: আহসানুল হক এমপিএইচ কোর্স কারিকুলামের বর্তমান রূপরেখা তুলেন ধরেন এবং প্রস্তাবিত আপডেটগুলো উপস্থাপন করেন। তারপর অনুষ্ঠিত হয় টেকনিক্যাল সেশন।

দুইটি টেকনিক্যাল সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা এমপিএইচ কোর্স কারিকুলাম ও প্রস্তাবিত আপডেটগুলো পর্যালোচনা করেন এবং উক্ত কোর্স কারিকুলামকে কিভাবে আরো সময়োপযোগী করা যায় সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।উল্লেখ্য, সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ