আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিএনপি নেতা এ্যানির মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে যুবদলের মিছিল

ডেস্ক নিউজ:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিনচৌধুরী এ্যানির মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের মিছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, দলের প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার এবং পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তিরদাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

গতকাল নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই বিক্ষোমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি কাজীর দেউরী মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে
সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, নগর যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, ফজলুল হক সুমন, মোঃ ইলিয়াস, আবদুল করিম,মিয়া মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ আলী সাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, সেলিম উদ্দিন রাসেল, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর
রহমান টিপু, জাহানগীর আলম বাচা, জাফর আহমদ খোকন, ওমর ফারুক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মো. জসিম উদ্দিন সাগর, মহিউদ্দিন মুকুল, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দমোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী, মো. আনোয়ার হোসেন আনু, মো.আবুল কালাম,আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, মো. সিরাজুল ইসলাম সিকদার, নগরযুবদলের সদস্য শাবাব ইয়াজদানী, সাইদুল হক সিকদার, থানা আহবায়ক বজল আহমদ,থানা যুগ্ন-আহবায়ক মোরশেদ কামাল, সেলিম উদ্দিন সেলিম, রেদোয়ান হোসেনজনি, গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড আহবায়ক মোহাম্মদ সাদেক, জহিরুল ইসলাম, জাবেদ হোসেন, সৈয়দ দিদারুল ইসলাম প্রমুখ।সভাপতির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, রাতের অন্ধকারে দরজা ভেঙেবিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে থানায়নিয়ে নির্যাতন করে। যা কোনো সভ্য সমাজে হয় না। অবিলম্বে শহীদ উদ্দিনচৌধুরী এ্যানিকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অবৈধ সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী মরণকামড় দিতে চাইছে। শ্রীলঙ্কার মত পরিণতি না চাইলে প্রয়োজনে সংবিধানসংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতার করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকার উসকানিমূলক প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে আমাদের বিশৃঙ্খল করার চেষ্টা করছে কিন্তু লাভ হবে না।শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে কোনো বাঁধাই আমাদের আটকাতে পারবে না। শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করব। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবো।মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী
কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির মুক্তির দাবি করছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ