আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বহিবিশ্ব:

সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখলে নিল আরাকান আর্মি।

বহিবিশ্ব নিউজ ডেস্ক:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। রোববার রাখাইনের মিনবিয়া শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৮০ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আরাকান আর্মি।

থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইরাবতি বলছে, রাখাইনের ম্রাউক ইউ, কিয়াকতাও ও রাথেডং এলাকায় জান্তা বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির সদস্যদের লড়াই চলছে।

এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, ‘‘জান্তা সৈন্যরা আর আমাদের সাথে লড়াই করতে পারছেন না। তারা এখন আরও বেশি গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা করছেন। ’’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ম্রাউক ইউ শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৭৭ ও ৫৪০ ব্যাটালিয়ন এবং পুলিশের ৩১ ব্যাটালিয়ন থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। আরাকান আর্মি বলেছে, শনিবার জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে ম্রাউক ইউ শহরের চারজন বাসিন্দা নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, রামরি শহরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জান্তা সৈন্যরা গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছেন। তবে শহরটিতে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, শনিবার বুথিডং শহরেও উভয়পক্ষের মাঝে তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে জান্তা সৈন্যরা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। এ ছাড়া রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে অবস্থিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩২ ও ৩৪৪ ব্যাটালিয়ন সিত্তে ও মিনবিয়া শহরে গোলাবর্ষণ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে মিনবিয়া শহরের খোয়া সোন গ্রামের অন্তত তিন বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন। এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি পাকতাও শহরের দখল নেয় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। এরপর থেকে পাকতাও শহরে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করছেন জান্তা সৈন্যরা।

আরাকান আর্মি বলেছে, শনিবার রাতেও পাকতাও শহরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়াই-১২ সামরিক পরিবহন বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া ও উত্তর রাখাইনে জান্তা বাহিনীর ১৬০টিরও বেশি ঘাঁটির দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি।

রাখাইনের আরাকান আর্মি ও আরও দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামের একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটের যোদ্ধারা গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন-১০২৭ নামে এক অভিযান শুরু করে। তাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর সেনারা অনেক জায়গা থেকে পালিয়ে যান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ