আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্কুল জীবনে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীর চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম

চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চবি উপ-উপাচার্য

প্রেস রিলিজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও চবি ক্রীড়া উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি প্রফেসর বেনু কুমার দে।
মাননীয় উপ-উপাচার্য একাডেমিক তাঁর বক্তব্যে চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন- স্কুল জীবনে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও শরীর চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। সুস্থ-সবল শরীরের জন্য চাই নিয়মিত খেলাধুলা; তাতে মন যেমন ভাল থাকে তেমনি লেখাপড়াও নিবিড় মনোনিবেশ করা যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের শৃক্সখলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, সহনশীলতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে।” এসব গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের আগামী দিনের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভূমিকা রাখার জন্য মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) তাঁর বক্তব্যে আহবান জানান।
চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ গোলাম মোস্তফা সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাসিমা পারভীন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব আনিসুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) জাতীয় পতাকা, চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিশ^বিদ্যালয় পতাকা, সহকারী প্রধান শিক্ষক স্কুল পতাকা এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করেন। মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন স্কুলের কৃতি ক্রীড়াবিদ তামান্না আফরীণ তমা। মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বিচারকদের পক্ষে চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক অশোক কুমার দাসকে এবং ক্রীড়াবিদদের পক্ষে আশরাফুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান। স্কুলের সহকারী শিক্ষক অশোক কুমার দাস এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মার্চপাস্ট। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, পবিত্র গীতা ও পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবু জাফর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, চবি বিভিন্ন অফিস প্রধানবৃন্দ, চবির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, স্কুলের বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

‎শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা

‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা হল রুমে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুশফিকুর রহমান,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুদ রানা,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম আলী,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ – আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এস এম শাহাদাত হোসেন, উপজেলা প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন সহ উপজেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ,

উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও এলাকার সূধী মহল। প্রায় দুই বছর যাবৎ ধরে মোঃ কামরুজ্জামান এই উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। এই দুই বছরে তিনি উপজেলায় প্রায় সকল মানুষের মন জয় করেছিলেন। বিশেষ করে দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও করেছেন তিনি। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হযরত মখদুম শাহদৌলা শহীদ ইয়েমেনী (রহ.) এর মাজারের কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিলো সে কাজ এখন সম্পন্ন হওয়ার পথে এই কাজটা নির্বাহী মোঃ কামরুজ্জামানের অবদান, উপজেলার পৌর শহরটাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে উপজেলার প্রধান প্রধান পয়েন্ট তিনি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেছিলেন। উপজেলা পরিষদের পুকুরটি দীর্ঘ দিন যাবৎ অবহেলিত হয়ে পরেছিলো তিনি পুকুর সংস্কারের কাজ করে সেখানে মানুষের বিশ্রামের উপযোগী করে তুলেছেন। উপজেলার পৌর পার্কের উদ্ধোধন ও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় তিনি অসহায় দুস্থ গরীবের সন্তানদের লেখা পড়ার সুযোগসহ তাদের পাশে দ্বাড়িয়েছিলেন কন কনে শীতের মধ্যে রাতে পৌর শহরে নিজে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষকে খুজে বের করে সরকারি অনুদানের কম্বল বিতরণ করেছিলেন। এক কথায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান ছিলেন একজন মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা। তার আচারনে শাহজাদপুরবাসী মুগ্ধ। তার বিদায় বেলায় শাহজাদপুরের বেশির ভাগ সাধারন মানুষ অশ্রু সিক্ত।

‎শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল পুড়িয়ে ধ্বংস।


‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মালিক শনাক্ত না হওয়া বিপুল সংখ্যক নিবন্ধিত দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা যায় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে নিবন্ধিত এসব দলিল ডেলিভারি না নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অফিসে জমিয়ে রাখা ছিলো। মালিকানা যাচাইয়ের জন্য একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নির্ধারিত সময়ে কেউ উপস্থিত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ দলিলগুলো ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেছেন, মালিকবিহীন দলিল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নেই এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ প্রকাশ, সময়সীমা প্রদান ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার পর দলিলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, মালিকহীন দলিল অনেক সময় দালালচক্রের অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ