আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফায়ার সার্ভিস উপপরিচালকের সাথে মতবিনিময়ে সুজন

অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান

নিজস্ব সংবাদদাতা

অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা’র সাথে মতবিনিময়ে উক্ত আহবান জানান তিনি।
এসময় সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সকল শহরে বেড়ে চলেছে বহুতল ভবনের সংখ্যা। আমরা উন্নয়ন নিশ্চিত করেছি, এখন আমাদের এই উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নে পরিণত করতে হবে। আমাদের ভবনগুলোকে সর্বাগ্রে নিরাপদ করতে হবে। সেজন্য অগ্নি নিরাপত্তা কঠোরভাবে প্রতিফলনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে ভবন অনুমোদনের সময় ফায়ার সার্ভিস সনদ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যে সকল ভবন ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে অথচ ফায়ার সার্ভিস সনদ গ্রহণ করেনাই সে সকল ভবনে ফায়ার সার্ভিস সনদ গ্রহণে বাধ্য করতে হবে। রাস্তায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো আছে, অথচ আগুন লাগলে পানির সাপোর্ট পাওয়া যায় না। ওয়াসার সাথে আলোচনা করে ফায়ার হাইড্রেন্টে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তিনি বলেন, নগরীতে এক সময় অনেকগুলো জলাশয় ছিলো যেগুলো আগুন নিভানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু দখলে, দুষণে অনেকগুলো জলাশয় বিলীন হয়ে গিয়েছে। যে সকল জলাশয় অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলো যাতে কোন অবস্থাতেই কেউ ভরাট করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় দৃষ্টি রাখারও অনুরোধ জানান তিনি। প্রয়োজনে সিডিএ’র মাধ্যমে অবশিষ্ট জলাশয়গুলো অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নগরীর জহুর হকার্স মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, তামা কুন্ডি লেইনসহ অতি ঝুঁকিপূর্ণ বাজারগুলোতে নিয়মিত অগ্নি নির্বাপক মহড়া চালানো উচিত। সরু গলির কারণে এসব মার্কেটে আগুন লাগলে তা নিভানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। এতে করে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। পাশাপাশি এসব মার্কেটে নিজস্ব অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করারও অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া বর্তমান সময়ে এলপিজি সিলিন্ডার দুর্ঘটনার হার আশংকাজনক হারে বেড়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। এলপিজি সিলিন্ডার জ্বালানি হিসেবে সহজলভ্য হওয়ায় দিন দিন বিপদের কারণ হয়ে উঠছে এটি। ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশের ব্যবহার, পরিবহন ও মজুদ করার নিয়ম না মানার কারণেই এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে ঝুঁকি বাড়ছে। তাই ফায়ার সার্ভিসকে এক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার, পরিবহন, মজুদ এসব বিষয়ে গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া নিম্নমানের এলপিজি সিলিন্ডার যাতে কোনভাবেই বাজারে আসতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহবান জানান তিনি। নগরীর অগ্নিঝুঁকি কমাতে সকল সংস্থা এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা খোরশেদ আলম সুজনের। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা সুজনকে তাঁর দপ্তরে স্বাগত জানান। তিনি সুজনের উত্থাপিত প্রস্তাবনার সাথে সহমত পোষন করেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলেই দেশে কল-কারখানা এবং বহুতল ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। তবে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সে তুলনায় পর্যাপ্ত লোকবল এবং আধুনিক অগ্নি নির্বাপন সামগ্রীর অভাব রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের। নগরায়নের ফলে এখন শহরে জলাশয়ের খুবই অভাব। পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকার ফলে অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের পানির উপর অধিকাংশ সময় নির্ভর করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাস্তায় ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকলেও পানি থাকে না। দেখা যায় যে, সিডিএ ভবনের অনুমোদন দিয়েছে কিন্তু রাস্তা সরু, আবার পর্যাপ্ত জায়গা না রেখেই অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে না পারায় আগুনের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। নিজস্ব ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকার কারণে কোথাও অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া অতি উৎসাহী জনগনও অগ্নি নির্বাপনে একটি বড়ো বাঁধা বলে উল্লেখ করেন তিনি। ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশের ব্যবহারের ফলে এলপিজি সিলিন্ডার দুর্ঘটনার হার বাড়ছে বলে জানান তিনি। নগরীর অগ্নিঝুঁকি কমাতে সকল সংস্থাকে এক ছাদের নীচে এসে কাজ করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. শাহজাহান, মো. সেলিম প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ