আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৬টি খালের মধ্যে ৩৬টি খাল সংস্কারের কাজ চলমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য মেলার এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র

চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশহিসেবে ৫৬টি খালের মধ্যে ৩৬টি খাল সংস্কারের কাজ চলছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি আয়োজিত ৩১তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সার্টিফিকেট ও এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ-২০২৪ কমিটির চেয়ারম্যান এ. কে. এম. আক্তার হোসেন বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোঃ রেজাউল করিম আজাদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, আখতার উদ্দিন মাহমুদসহ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিসহ নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন-বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বিশেষ করে কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে এই নগরকে আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু দখলে-দূষণে যদি কর্ণফুলী বুড়িগঙ্গা নদীর মতো হয়ে উঠে তাহলে এই নগরের অস্তিত্বই থাকবে না। কর্ণফুলীকে বাঁচাতে সকলকে সোচ্চার হতে হবে, যেখানে সেখানে ময়লা ও পলিথিন না ফেলার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন-চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশহিসেবে ৫৬টি খালের মধ্যে ৩৬টি খাল সংস্কারের কাজ চলছে। বাকী খালগুলোও কীভাবে উদ্ধার করা যায় সেজন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। পরবর্তীতে তা উদ্ধারেও উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন-নগরীকে বাসযোগ্য ও জনগণের চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়ে সেজন্য অবৈধ ও দখলকৃত ফুটপাত উদ্ধার করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রকৃত হকারদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য হলিডে এবং নাইট মার্কেট চালু করার চিন্তা ভাবনা করছে কর্পোরেশন। তাছাড়া চট্টগ্রামকে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় এবং সত্যিকার বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিকমানের কনভেনশন ও এক্সিবিশন সেন্টার করার জন্য চেষ্টা করছে সিটি কর্পোরেশন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিটাগাং চেম্বারের গুরুত্ব ও ভূমিকা অন্যতম উল্লেখ করে বিশেষ অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন-চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে দেশের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। গত ২৫ বছরে চট্টগ্রাম শহরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যারফলে টু টাউন ওয়ান সিটির আদলে চট্টগ্রামকে সম্প্রসারণেরও সুযোগ তৈরী হয়েছে। তাই চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত উপায়ে গড়ে তুলতে হবে। যাতে জলাবদ্ধতা ও পাহাড় ধসের মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কীম সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে আগামীতে বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে অসহায় পিতা-মাতাকে ফেলে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনতে এবং সকলের কাছে সর্বজনীন পেনশনের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন-চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। এছাড়াও চট্টগ্রামকে বৈশ্বিক অবস্থানে তুলে ধরতে হলে আন্তর্জাতিকমানের বাণিজ্য মেলারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি নগরীতে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে বাস, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, ডাম্পিং স্টেশন, ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়ন ও রিক্সা মুক্ত সড়ক ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-বন্দরনগরী ও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম মহানগর বসবাস উপযোগী করে তুলতে এবং নাগরিকদের চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্বস্তরের ব্যবসায়ী সমাজ।জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করে ফুটপাতকেন্দ্রিক এ সকল ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন হলেও এ থেকে সরকারের কোন রাজস্ব আয় হয় না। তাই এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পাশাপাশি হকারদের পুনর্বাসনের জন্য হলিডে ও নাইট মার্কেট চালু করা গেলে সেখান থেকেও রাজস্ব পাবে সরকার। চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক বন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার ও ট্রেড ফেয়ারের জন্য জায়গা বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান চেম্বার সভাপতি।
মেলা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন-সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রতি বছরের মত এ বছরও চিটাগাং চেম্বার স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বিক্রয় করছে।
চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ-২০২৪ এর চেয়ারম্যান এ. কে. এম. আক্তার হোসেন মেলা সফলভাবে আয়োজনে অংশগ্রহণকারী সকল দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহ, আগত দর্শনার্থী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, নগর বিশেষ শাখা ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে জুরি বোর্ড কর্তৃক শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন, স্টল এবং ক্রিয়েটিভ এ্যাক্টিভিটিস প্রতিষ্ঠানকে এ্যাওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এবারের মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরীতে টি. কে. গ্রুপ প্রথম, আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস লিঃ দ্বিতীয় এবং নিউজিল্যান্ড ডেইরী প্রোডাক্টস বাংলাদেশ লিঃ তৃতীয়; স্টলসমূহের মধ্যে ওয়েলবার্গ, ওয়াকারু ও রাজ টেক্সটাইল (রাজ লুঙ্গি) যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে। এছাড়া ক্রিয়েটিভ এ্যাক্টিভিটিস হিসেবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সেরা নির্বাচিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মেলা ২৬ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ