আজঃ শনিবার ১৫ মার্চ, ২০২৫

স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কাস্টমস আইন সচেতনতামূলক কর্মশালা

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর যৌথ আয়োজনে নতুন কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর পরিচিতি শীর্ষক কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান’র সভাপতিত্বে আইনের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম-কমিশনার কামরুল হাসান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ ও মাহফুজুল হক শাহ, রিলায়েন্স শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিঃ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ, লুব-রেফ’র এমডি মোহাম্মদ ইউসুফ, নাহার গ্রুপের পরিচালক ডঃ আবদুল হাই, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন’র কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান স্বপন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান ও বিএসআরএম’র সিনিয়র ম্যানেজার মীর আলী মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, উপ-কমিশনার রোখসানা খাতুন, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাহবুবুল হক মিয়া ও ওমর মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এরই অংশহিসেবে সরকার আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, নতুন নতুন শিল্পায়ন ও রাজস্ব আহরণ পদ্ধতি যুগোপযোগী এবং বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাস্টমস আইন ২০২৩ প্রণয়ন করে। আইনটি কার্যকর করার পূর্বে ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রহণ ও অবহিত করার জন্য এই ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি বলেন- নতুন এই আইনটির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানো এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ও রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনা। তিনি আইনের মাধ্যমে সরকারেক রাজস্ব প্রদানকারী ব্যবসায়ীরা যাতে কোন ধরণের ক্ষতিগ্রস্ত ও হেনস্তা শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন-আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে কাস্টমস আইন, ২০২৩। আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ী সমাজকে জানাতে এ ধরণের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাস্টমস আইন এবং আন্তর্জাতিক কাস্টমস অর্গানাইজেশন এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতিমালার আলাকে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আইনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য সহজীকরণ ও কর আদায়ে শৃঙ্খলা আনয়ন করা। তিনি বলেন-এই আইনের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পের সুরক্ষার বিষয়টি আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে আরো শক্তিশালী হবে দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থা। আইনে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাই স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন এর বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে আইনে। তিনি বলেন-এই আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরী হলে তা সময়ে সময়ে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। তাই আইনের যে বিষয়কগুলো অস্পষ্ট মনে হচ্ছে তা তুলে ধরার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে যুগ্ম-কমিশনার কামরুল হাসান বলেন-নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে, যা কিছু কিছু পূর্বের আইনে ছিল। আবার কিছু কিছু ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে পণ্য ঘোষণা প্রতিস্থাপন, পণ্য ঘোষণার সংশোধন ও প্রত্যাহার, সেল্ফ ক্লিয়ারেন্স, কনসালটেশন, ট্রান্সপেরেন্সি ইস্যু, আমদানি-রপ্তানিকারকের দায়িত্ব, কতিপয় যানবাহনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ, বিলম্বে শুল্ক কর পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ আরোপ, বিলম্বিত পরিশোধ ইত্যাদি নতুন আইনে সংযোজিত করা হয়েছে। এছাড়া আইনে অপরাধের সংখ্যা ১০৩ থেকে কমিয়ে ৪৫ করা হয়েছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন-আইনে জরিমানার বিধান, পণ্য আমদানির জটিলতার ক্ষেত্রে গ্যারান্টি, এইচএস কোড জটিলতার বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়নি। আমদানিকৃত কোন পণ্যের বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং আমদানিকারকদের মধ্যে মতদ্বৈততা তৈরী হলে তা ৭ দিনের মধ্যে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে নিরসন করা ও পঁচনশীল দ্রব্যগুলোর পরীক্ষণসহ দ্রুত খালাসকরণের ক্ষমতা কমিশনারের হাতে ন্যস্ত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন মনে করেন বক্তারা। তাই যারা আইন প্রয়োগ করবে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণসহ হয়রানীমুক্ত আইন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য আহবান জানান তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সুনামগঞ্জে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা,অভিযুক্ত গ্রেফতার।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া নয় বছর বয়ষী এক শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার ভোররাতে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সাবুল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের ছমরু মিয়ার ছেলে।

শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।শনিবার ছাতকের ভিকটিম শিশু কন্যার পারিবারীক সুত্র জানায়, শুক্রবার সকাল আটটার দিকে গ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়তে যায় ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যা।

উপজেলার জহিরপুর গ্রামের বখাটে সাবুল ফাঁকা মাদ্রাসায় দ্বিতীয় তলার শ্রেণিকক্ষে জোর পূর্বক ওই শিশু কন্যাকে ধরে নিয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষেই ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
চিৎকার করে কৌশলে শ্রেণিকক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায় ওই শিশুকন্যা।
এরপর পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসা কতৃপক্ষ, শিক্ষকদের, গ্রামবাসীকে ঘটনাটি জানানোর পর তারাবির নামাজের পর ওই ঘটনায় গ্রামে সালিস বৈঠক ডাকা হয়।

তারাবির নামাজের পর রাত সাড়ে ৯টা থেকে দশটার ভেতর সালিসে কয়েক শতাধিক লোকজন উপস্থিত হন।
ঘটনা শুনে সালিসে উপস্থিত থাকা লোকজন উক্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত’র গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বসতবাড়িতে ভাংচুর চালায়।

এদিকে ছাতক থানার জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার জহিরপুর এলাকা থেকে শনিবার ভোররাতে অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
শনিবার সকালে ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, গ্রেফতার সাবুলকে ছাতক থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

নেত্রকোনায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ২

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কানিয়াইল গ্রামের আলামিন মিয়া (২১) একই গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীন (২০)।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, আটককৃতদের আজ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের ১১ মার্চ মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। পরবর্তীতে তৎপরতার সাথে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কলমাকান্দা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় সেই সাথে মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ