আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কাস্টমস আইন সচেতনতামূলক কর্মশালা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর যৌথ আয়োজনে নতুন কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর পরিচিতি শীর্ষক কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান’র সভাপতিত্বে আইনের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম-কমিশনার কামরুল হাসান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ ও মাহফুজুল হক শাহ, রিলায়েন্স শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিঃ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ, লুব-রেফ’র এমডি মোহাম্মদ ইউসুফ, নাহার গ্রুপের পরিচালক ডঃ আবদুল হাই, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন’র কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান স্বপন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান ও বিএসআরএম’র সিনিয়র ম্যানেজার মীর আলী মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, উপ-কমিশনার রোখসানা খাতুন, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাহবুবুল হক মিয়া ও ওমর মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এরই অংশহিসেবে সরকার আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, নতুন নতুন শিল্পায়ন ও রাজস্ব আহরণ পদ্ধতি যুগোপযোগী এবং বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাস্টমস আইন ২০২৩ প্রণয়ন করে। আইনটি কার্যকর করার পূর্বে ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রহণ ও অবহিত করার জন্য এই ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি বলেন- নতুন এই আইনটির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানো এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ও রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনা। তিনি আইনের মাধ্যমে সরকারেক রাজস্ব প্রদানকারী ব্যবসায়ীরা যাতে কোন ধরণের ক্ষতিগ্রস্ত ও হেনস্তা শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন-আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে কাস্টমস আইন, ২০২৩। আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ী সমাজকে জানাতে এ ধরণের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাস্টমস আইন এবং আন্তর্জাতিক কাস্টমস অর্গানাইজেশন এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতিমালার আলাকে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আইনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য সহজীকরণ ও কর আদায়ে শৃঙ্খলা আনয়ন করা। তিনি বলেন-এই আইনের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পের সুরক্ষার বিষয়টি আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে আরো শক্তিশালী হবে দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থা। আইনে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাই স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন এর বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে আইনে। তিনি বলেন-এই আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরী হলে তা সময়ে সময়ে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। তাই আইনের যে বিষয়কগুলো অস্পষ্ট মনে হচ্ছে তা তুলে ধরার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে যুগ্ম-কমিশনার কামরুল হাসান বলেন-নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে, যা কিছু কিছু পূর্বের আইনে ছিল। আবার কিছু কিছু ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে পণ্য ঘোষণা প্রতিস্থাপন, পণ্য ঘোষণার সংশোধন ও প্রত্যাহার, সেল্ফ ক্লিয়ারেন্স, কনসালটেশন, ট্রান্সপেরেন্সি ইস্যু, আমদানি-রপ্তানিকারকের দায়িত্ব, কতিপয় যানবাহনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ, বিলম্বে শুল্ক কর পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ আরোপ, বিলম্বিত পরিশোধ ইত্যাদি নতুন আইনে সংযোজিত করা হয়েছে। এছাড়া আইনে অপরাধের সংখ্যা ১০৩ থেকে কমিয়ে ৪৫ করা হয়েছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন-আইনে জরিমানার বিধান, পণ্য আমদানির জটিলতার ক্ষেত্রে গ্যারান্টি, এইচএস কোড জটিলতার বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়নি। আমদানিকৃত কোন পণ্যের বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং আমদানিকারকদের মধ্যে মতদ্বৈততা তৈরী হলে তা ৭ দিনের মধ্যে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে নিরসন করা ও পঁচনশীল দ্রব্যগুলোর পরীক্ষণসহ দ্রুত খালাসকরণের ক্ষমতা কমিশনারের হাতে ন্যস্ত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন মনে করেন বক্তারা। তাই যারা আইন প্রয়োগ করবে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণসহ হয়রানীমুক্ত আইন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য আহবান জানান তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ