আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে, কিন্তু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো গতকাল রোববার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন ও আখতার উদ্দিন মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে দূতাবাসের এ্যাটাচে রব্বি ফিরলি হারখা ও ইকোনমিক এ্যাফেয়ার্স সপ্তো রুদিয়ান্তো-সহ চেম্বার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বলেন-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চোখে পড়ার মত। ইন্দোনেশিয়ার সাথে বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সম্পাদিত হলেও দু’দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণে বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস, পাটজাত পণ্য এবং রিসাইকেল ইয়ার্ন রপ্তানির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন-বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া খাদ্য সংরক্ষণ ও হালাল ফুড রপ্তানিতে বিশ্বে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরী করেছে। তাই বাংলাদেশের সাথে ইন্দোনেশিয়ার সম্পাদিত এগ্রিকালচার সমঝোতা স্মারক কার্যকরী করতে গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন-নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে ইন্দোনেশিয়া চট্টগ্রামের মাতারবাড়ীতে ৫০০ মেগাওয়াটসম্পন্ন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০ কি.মি. ট্রান্সমিশন লাইন, ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলে গ্যাস পাইপ লাইন সম্প্রসারণে ইন্দোনেশিয়ান বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি উভয়দেশের ট্যুরিজম, ম্যানুফ্যাকচারিং, ইনফাস্ট্রাকচার, ফুড এন্ড এগ্রিকালচার এবং রিনিউএ্যাবল এনার্জি সেক্টরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার উপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। একই সাথে চেম্বার নেতৃবৃন্দের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশ অন এরাইবেল ভিসা চালুকরণের উদ্দেশ্যে সরকারের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ভৌগোলিক সুবিধা তুলে ধরে চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন- খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের মোট খাদ্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ বা ৩বিলিয়ন ডলার সংরক্ষণ কিংবা প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার বিশ্বব্যাপী হালাল ফুড এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সুনাম রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। তাই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজার ধরা ও রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বলেন-বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে। যার মধ্যে পামওয়েল, কয়লা, সিমেন্ট ক্লিংকার, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টসহ কৃষি পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় তৈরিপোশাক ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে। অথচ বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্ট। তিনি প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্টস রপ্তানিতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে ইন্দোনেশিয়াকে পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে এবং ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য ও প্রযুক্তির পরিচিতকরণের লক্ষ্যে সেদেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের বেসরকারি খাতের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি উভয়দেশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো সহজীকরণের লক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়া অন এ্যারাইভাল ভিসা পুনরায় চালু করণের উপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন-চট্টগ্রাম প্রধান বাণিজ্য নগরী। ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি পণ্যের অধিকাংশ বিশেষ করে কয়লা, সিমেন্ট ক্লিংকার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালসহ বিভিন্ন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে খালাস হয়। ফলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক অধিকাংশ ব্যবসায়ী ইন্দোনেশিয়ার সাথে যোগাযোগ বাড়ছে। চট্টগ্রাম থেকে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের লক্ষ্যে কাউন্সেল অফিস, ফ্লাইট কানেক্টিভিটি বৃদ্ধিসহ পাম ট্রি এবং রাবার উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়ান বিনিয়োগের আহবান জানান। পাশাপাশি আসিয়ানভূক্ত দেশ হিসেবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন বক্তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে হাল্ট প্রাইজ ২০২৫ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম।

হাল্ট প্রাইজ ২০২৫/২৬ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিবন্ধন বুথ, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ক্লাস প্রমোশন চালু করা হয়েছে। এ বছর প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ও দলীয়—উভয়ভাবেই অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যক্তিগত নিবন্ধন ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) এবং দলীয় নিবন্ধন ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) তারিখে সমাপ্ত হবে।

এবারের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ থিম “আনলিমিটেড”-যা শিক্ষার্থীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিচ্ছে।এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তা দক্ষতার মাধ্যমে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, অসমতা এবং শিক্ষার মতো বৈশ্বিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করতে পারবেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাটফর্ম যেখানে সীমাহীন চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে তাদের ধারণাগুলোকে বাস্তবায়নে রূপ দেওয়া যাবে।

এ বছরের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ অনিক, চিফ অব স্টাফ কাজী মুহাইমিনুল ইসলাম মুনাজ এবং চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট কারিন সাফফানা—তাদের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতাটি সফলভাবে আয়োজনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিযোগিতায় ২–৪ সদস্যের দল অংশ নিতে পারবে এবং সকল অংশগ্রহণকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। প্রতিটি দলে অন্তত একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক। দলের অন্যান্য সদস্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবে।এছাড়া এ বছর দল না থাকলেও শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করতে পারবেন; পরবর্তীতে তাদের নিয়ে দল গঠন করা হবে।

রেজিস্ট্রেশন বুথ অথবা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দলীয় অথবা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনে কোনো ফি নেই।দলীয় সদস্যরা যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আসুন না কেন, প্রতিযোগিতায় তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ