আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নন্দী ভাঙ্গনের প্রতিযোগীতায় চট্টগ্রাম

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

নদী ভাঙ্গনের তীব্র প্রতিযোগীতায় চট্টগ্রাম। প্রতি বছর নতুন নতুন করে গৃহহীন হয়ে পড়ছে হাজারো পরিবার। এই নন্দী ভাঙ্গনের কলার ঘ্রাস থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মসজিদ মন্দির, গীর্জা প্যাঘোড়া,প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টান। বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও হালদা নদীর পাড় ভাঙছেই। সাম্প্রতিক বন্যায় চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলার ১৩৭টি পয়েন্টের ১২ কিলোমিটার নদীর তীর ও ২০টি রেগুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায়। পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদী ও টঙ্কাবতী খালের পানি বিপদসীমায় প্রবাহিত হয়ে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাঁধ মেরামতের প্রস্তাব দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান,বোয়ালখালী উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় প্রবহমান নদী ও খালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে পাউবো বিভাগ-১-এর আওতাধীন এলাকার ৯৮টি স্থানের প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের পটিয়ার জঙ্গলখাইনে ৩৪৫ মিটার খালের পাড়, বড়লিয়ায় ১২০ মিটার খালের পাড়, জিরি রেগুলেটরের ক্লোজার, ভাটিখাইনে ১২০ মিটার খালের পাড় ভাঙন, কাশিয়াইশে রেগুলেটরের ব্যারেল সেটেলমেন্ট, চন্দনাইশের বৈলতলী ও বরমায় ২৮৭ মিটার সাঙ্গু নদীর ভাঙন, লোহাগাড়ার পদুয়ায় ২০০ মিটার ডলু নদী ভাঙন, আমিরাবাদে ৩৯৫ মিটার খাল ও নদীর তীর ভাঙন, আধুনগরে ৬৯০ মিটার খালের পাড় ও নদীর তীর ভাঙন, সাতকানিয়ার চরতি এলাকায় ৪৫০ মিটার সাঙ্গু নদীর ভাঙন, সাতকানিয়া পৌরসভায় ৭০ মিটার খালের পাড় ভাঙন, দক্ষিণ আমিলাইশে ৭০ মিটার খালের পাড় ভাঙন, এওচিয়া ও নলুয়ায় ১৫০ মিটার খালের পাড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। আনোয়ারার জুঁইদণ্ডীতে ২ হাজার ৯৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ধস ও নদীর তীর ভাঙন, রায়পুরে ১ হাজার ৩৫০ মিটার খালের পাড় ও নদীর তীর ভাঙনের পাশাপাশি নতুন কাজের ডাম্পিং জোন ক্ষতিগ্রস্ত ও বেড়িবাঁধে ভাঙন, পরৈকোড়ায় ৮০০ মিটার ইন্টেরিয়র ডাইক ক্ষতিগ্রস্ত, বারখাইন, বরুমচড়া ও হাইলধরে ৬৮০ মিটার ইন্টেরিয়র ডাইক ক্ষতিগ্রস্ত, ফটিকছড়ির নাজিরহাট ও সমিতির হাটে ৭০৫ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, সুন্দরপুরে ৬৭০ মিটার নদীর তীর ভাঙন, বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, রেগুলেটরের রিটেইনিং ওয়াল ও অ্যাপ্রোন ক্ষতিগ্রস্ত, সুয়াবিলে ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, কাঞ্চননগরে ১২০ মিটার খালের পাড় ভাঙন এবং হাটহাজারীর ফতেপুরে ৬০ মিটার রেগুলেটরের ব্লক ধসে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে পাউবোর (বিভাগ-১) নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এবার পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। তাই ১৯৬০ সালে নির্মিত বাঁধ টপকে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলা যথাক্রমে বোয়ালখালী, পটিয়া চন্দনাইশ,আনোয়ারা,বাঁশখালী, ও উত্তর চট্টগ্রামের দুটি উপজেলায় ৮৮টি স্থানে নদী ও খালের প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে কয়েকটি প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে। এসব জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এসব সংস্কারে অন্তত ৪৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি বিভাগের আওতাধীন এলাকার মধ্যে রাউজানের ২৯টি স্থানে ১ হাজার ২১০ মিটার নদী ও খাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডাবুয়া খালের বাম তীরে তেলিপাড়ায় ৭০ মিটার, সর্তা খালের ডান তীরে উত্তর সর্তা এলাকায় ৫০ মিটার, সর্তা খালের গনি পাড়ায় ১০০ মিটার, ডাবুয়া খালের ডান তীরে তৌকির আহমদ সড়কে ৫০ মিটার, সর্তা খালের বাম তীরে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ৭০ মিটার, পৌরসভায় ডাবুয়া খালের বাম তীরে সৈয়দ কাজী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ৬০ মিটার বাঁধ, বাম তীরে সৈয়দ বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের ব্রিজ ১৫ মিটার, ডাবুয়া খালের ডান তীরে জানানীহাট ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের ঢাল ১০০ মিটার, ডান তীরে ব্রাহ্মণ পাড়া এলাকায় বাঁধের ঢাল ১০০ মিটার, ডাবুয়া খালের ডান তীরে জানালীহাট ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধ ৩৯০ মিটার, ডাবুয়া খালের ডান তীরে শ্যামল পালিত ব্রিজ সংলগ্ন, বাম তীরে সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় বাঁধ ৮০ মিটার, ডাবুয়া খালের বাম তীরে রোহিঙ্গা বিলে বাঁধের ঢাল ৫০ মিটার, ডান তীরে আলীরখীল ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের ব্রিজ ৩৫ মিটার, কাগতিয়া রেগুলেটর সংলগ্ন হালদা নদীর বাম তীরে ৪০ মিটার, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে ৮০ মিটার, কদমতলীর মাহফুজ খালের বাম তীরে ১০ মিটার, কদমতলীর ফ্লাড বাইপাসে মাহফুজ খালের বাম তীরে ১০ মিটার, বেতাগীর কর্ণফুলী নদীর ডান তীরের দুটি অংশে ১০০ মিটার, পদুয়ার বাঙ্গালহালিয়া খালের ডান তীরে ৩০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ১২টি রেগুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শার মান্দারী খালের রেগুলেটর ও নেভিগেশন সংলগ্ন এলাকায় হালদা নদীর ডান তীর ৫০ মিটার, মেখলের বোয়ালিয়া খালের ৭ ও ৫ ভেল্ট রেগুলেটরের মধ্যবর্তী গাইড বাঁধ, হালদা নদীর ডান তীরে ৫০ মিটার, গড়দুয়ারা প্যারাখালী খালে রেগুলেটর সংলগ্ন এলাকায় হালদা নদীর ডান তীরে ৩২ মিটার, গড়দুয়ারা চেংখালী খাল বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ সংলগ্ন হালদা নদীর ডান তীরে ৬০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ