আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বহিবিশ্ব:

ফ্রান্সে জাতীয় নির্বাচন আজ, প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে

বহিবিশ্ব নিউজ ডেস্ক:

ফ্রান্স:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে রোববার (৩০ জুন) ভোট দেবেন দেশটির জনগণ। ফ্রান্সের নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, আজ প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল ছয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। তবে প্যারিস এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে ভোটকেন্দ্রগুলো সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত ২২ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হচ্ছে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

কূটনীতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বিষয়ক সংস্থা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপিয়ান পার্সপেক্টিভ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান ইমানুয়েল ডুপুই বলেন, ‘এই নির্বাচন ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থায় একটি নতুন পদ্ধতির সূচনা এবং প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সমাপ্তি টানবে। ম্যাক্রোনিজম ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে এবং এই নির্বাচন দিয়ে তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে।’নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেয়। কারণ, আগামী ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে কোনো নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জুলাই।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ৯ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে মেরিন লে পেনের ডানপন্থি জাতীয় সমাবেশ (আরএন) দলের কাছে শোচনীয় পরাজয় ঘটে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ডানপন্থী জাতীয় সমাবেশ দল (আরএন) ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। পরের স্থানে বামপন্থী ব্লক নুভাউ ফ্রন্ট পপুলায়ার (এনএফপি) ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট-এনসেম্বল ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ভোটের ফলাফল যদি জরিপের মতো হয়ে থাকে তাহলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জন্য তা সুখকর হবে না।ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসন আছে। প্রতিটি নির্বাচনি জেলার জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। বিদায়ী সরকারে ম্যাক্রোঁর জোটের আসন ছিল মাত্র ২৫০টি। ফলে আইন পাসের জন্য অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হতো তাদের।

৫৭৭ আসনের যেকোনো একটিতে নির্বাচিত হতে হলে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমপক্ষে ২৫ শতাংশ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। ফ্রান্সের মতো একটি বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায়, কোনো প্রার্থীই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়াবে। এক্ষেত্রে আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে৷ প্রথম রাউন্ডে কমপক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রার্থীরাই কেবল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নিতে পারবেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ