আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বাড়ছে প্রাণহানি

অন্তর দে বিশাল (কক্সবাজার) :-

লপযর্টন রাজধানী কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বছরজুড়ে থাকে পর্যটকে সরব। সৈকতে নেমেই পর্যটকেরা চায় অতল সমুদ্রের ঢেউয়ের ছোঁয়া নিতে। কিন্তু ঢেউয়ের ছোঁয়া নিতে গিয়ে অসতর্কতায় লাশ হচ্ছে পর্যটকেরা। এতে মুহুর্তেই আনন্দ ভ্রমণ বিষাদে রূপ নিচ্ছে। গত এক দশকে সাগরে গোসল করার সময় ভেসে গিয়ে প্রাণ হারান শতাধিক পর্যটক। এদের বেশিরভাগ সাগরের পানিতে নামার নির্দেশনা না মেনে বা শুওখালে পড়ে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

সর্বশেষ গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ইনানী সৈকতে সাগরে গোসলে নেমে নাফি শাহরিয়ার (৩০) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভীর হোসেন বলেন, সাগরের আচরণ সবসময় পালটায়। জোয়ারের সময় যেস্থানে সমতল, ভাটার সময় সেখানে খাদের সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিপাকে হঠাৎ সৃষ্টি হয় চোরাবালির।

তাই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট যেখানে লাইফগার্ড ও বিচকর্মী দায়িত্বপালন করে সেখানে ছাড়া, সিগাল, ডায়াবেটিস হাসপাতাল পয়েন্টে গোসলে নামা অনিরাপদ। একইভাবে হিমছড়ি, ইনানী, পেঁচারদ্বীপ, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সাগরে গোসল করতেও সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। এসব স্থানে নজরদারি রেখে উদ্ধারকর্মী দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জনবল প্রশাসনের নেই। তাই সৈকত জুড়ে লাল নিশানা উড়ানো স্থানে সাগরে নামা উচিত নয়।

সি-সেইফ লাইফ গার্ডের সুপার ভাইজার রামু সহকারি জজ ওসমান গণি বলেন, পর্যটকদের সতর্ক করতেই লাল নিশানা উড়ানো হয়। ভাটার সময় সাগরে নামা নিষেধ। কিন্তু অনেকে এসব নির্দেশনা না মেনে পর্যটকেরা সাগরে নেমে যায়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের ওসি গাজী মিজান বলেন, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য সাগরে সতর্কতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা থাকে। সচেতনতার জন্য এসব নির্দেশনা মাইকে এবং বিভিন্নভাবে প্রচার করা হয় নিয়মিত। কিন্তু, অনেকেই এসব মানেন না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চৌদ্দগ্রামে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্য গ্রেফতার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো; চাঁদপুরের কচুয়ার মনপুরা এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল হান্নান(৩৫), লক্ষীপুরের রায়পুরের চরমোহনার মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে শরীফ হোসেন(৪৫), কুমিল্লার চান্দিনার নুরপুরের তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আলা উদ্দিন(৩৫) ও

জোরপুকুরিয়ার মৃত হাজী রমিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম(৬০)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফালগুনকরা এলাকায় একই কায়দায় কুয়েত প্রবাসী নাইমুল ইসলাম ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বেলাল হোসেনের ভাড়া গাড়িতে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নেয় সংঘবদ্ধ ডাকাতদল। এরপর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশসহ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। মহাসড়কের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত দুইদিন চাঁদপুর ও কুমিল্লা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও ডাকাতির মালামাল
উদ্ধার করা করে পুলিশ। আটককৃত ডাকাতদলের সদস্য আবদুল হান্নান, শরীফ হোসেন, আলা উদ্দিন ও নজরুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, দুইটি স্টিলের কিরিচ, দুইটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি দেশীয় কুড়াল, একটি লোহার শাবল, একটি লোহার রড, একটি মোটা রশি জব্দ করা হয়। এছাড়া ডাকাতদল থেকে ১৬ কুয়েতি দিনার, ৮০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, বাংলাদেশী ৩৫০০ টাকা ও একটি বিদেশী কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় প্রবাসীদের থেকে লুণ্ঠিত কুয়েতি দিনার ও মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ছবির ক্যাপশান: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামালসহ আন্তঃজেলা ৪ ডাকাত গ্রেফতার

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ওমরা হাজীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণের চালান জব্দ করেছে নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা। বুধবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে গোপন খবরের ভিত্তিতে এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম অভিযান চালিয়ে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করে।

বিমান বন্দর সূত্র জানায়, শাহিন আল মামুন নামে এক যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইএ-১৩৬ ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। কাস্টমস গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক রুটে ৩ নম্বর গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে তার হাতব্যাগ ও প্যান্টের পকেট থেকে ৪০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। শাহিন আল মামুন নামে ওই যাত্রী ওমরাহ হজ শেষে দেশে ফিরছিলেন।উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার বাজারমূল্য ৫০ লাখ ৭০ দুইশত টাকা।
এ বিষয়ে কাস্টমস ও নিরাপত্তা সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আটক যাত্রী স্বর্ণালংকারগুলো অবৈধভাবে বহন করছিলেন এবং শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এসব স্বর্ণ আনতে চেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ