আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

উন্নয়ন অনুদান খাতে আয় ধরা হয়েছে ১০৪৪ কোটি টাকা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ২১৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭০% ব্যয় বাড়িয়ে

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আগামী অর্থ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ২১৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১২৫ কোটি টাকা, এডিপি ও উন্নয়ন রাজস্ব তহবিল খাতে ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন। আর উন্নয়ন অনুদান খাতে সবচেয়ে বেশি ১০৪৪ কোটি টাকা আয় হবে বলে মেয়র আশা করছেন।সোমবার দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাজেট অধিবেশনে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র। একই অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ১২২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়।

মেয়র বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অবৈধ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের পতনের পর মাননীয় আদালত কর্তৃক সুবিচারপ্রাপ্ত হয়ে মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছি। তাই নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা এবং মহানগরীকে ক্লিন-গ্রিন, হেলদি ও সেইফ সিটি, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ও অর্থনৈতিকভাবে বাসযোগ্য নান্দনিক পর্যটন নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

শাহাদাত হোসেন বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়ক আলোকায়ন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাদি নির্বাহ করতেই করপোরেশনের আয়ের সিংহভাগ ব্যয় হয়।আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করতে চাই, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চট্টগ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আমার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দায়িত্ব গ্রহণের সময় মোট ৫৯৬ কোটি টাকা দেনা থাকার কথা তুলে ধরে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “বিগত ৮ মাসে ধারাবাহিকভাবে পরিশোধের পর আজকে সিসিসির দেনার পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা।

করের আওতা বাড়ানোর নির্দেশনা অনুসারে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় সকল খাতেই গত বছরগুলোর তুলনায় অধিক কর আদায় হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হতে ১৪০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় সম্ভব হয়েছে।

চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করতে নিয়মিত কর পরিশোধ করুন। জনগণকে করের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিতে চাই না, বরং করদাতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। হোল্ডিং ট্যাক্স যদি ঠিকমত পাই তাহলে এ শহরকে বাসযোগ্য, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ করতে পারব।

বাজেট অধিবেশনে ২০২৫-২৬ সালের ২১৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৪৪ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে উন্নয়ন অনুদান খাতে। যার মধ্যে ‘বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকা উন্নয়ন অনুদানই সবচেয়ে বড় আয়ের খাত।প্রস্তাবিত বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় ধরা হয়েছে হাল কর ও অভিকর খাতে ৩২১ কোটি টাকা।এরপর বকেয়া কর ও অভিকর খাতে ১৯৯ কোটি টাকা, অন্যান্য কর থেকে ১৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন প্রকার ফিস থেকে ১৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

২০২৫-২৬ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি খরচ ধরা হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন এডিপি ও উন্নয়ন রাজস্ব তহবিল খাতে মোট ১১২৫ কোটি টাকা।এছাড়া বেতন ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে আগামী অর্থ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিদায়ী অর্থবছরে এই সিটির প্রস্তাবিত বাজেট ছিল

১৯৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকার। সংশোধনে তা ১২২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।বিদায়ী অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন অনুদান খাতে সর্বোচ্চ ৯০৯ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে দেখা যায়, উন্নয়ন অনুদান খাতে বরাদ্দ মিলেছে মোট ৫৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ‘বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৩৯৫ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ মিলেছে।আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে হাল কর ও অভিকর খাতে। গত অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩২ কোটি টাকা।

তবে গত অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বকেয়া কর ও অভিকর আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও আদায় হয়েছে মাত্র ৬২ কোটি টাকা। আর অন্যান্য কর খাতে ২০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে উন্নয়ন এডিপি ও রাজস্ব তহবিল খাতে, মোট ৫৮৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বেতনভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে। আর বকেয়া পরিশোধে খরচ হয়েছে ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ