আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

‘কিস্তিতে সরকারি ফ্ল্যাট কিনতে পারবে সাংবাদিকরা’

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাংবাদিকরা চাইলে কিস্তিতে সরকারি ফ্ল্যাট কিনতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ জুলাই) অসুস্থ, অসচ্ছল এবং দুর্ঘটনা আহত ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাম সম্মেলনের জন্য যখন আমরা ফ্ল্যাট তৈরি করি। তখনই আমার একটা লক্ষ্য ছিল যে, সম্মেলনটা হওয়ার পর ফ্ল্যাটগুলো আমরা আমাদের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। আসলে তাদের চাকরির তো কোনো স্থায়িত্ব থাকে না। তারা যখন বয়োবৃদ্ধ বা অসুস্থ হয়ে যায় তখন কী করে চলবে, তার নির্দিষ্ট কোনো সুযোগই থাকে না। সরকারি চাকরি যারা করে তারা তো অবসর ভাতা পায়। আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্যও যেমন কিছু থাকে না তেমনি সাংবাদিকদের জন্যও কিছু থাকে না। এটাই হলো বাস্তবতা। যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে তাদের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু আমরা কীভাবে চলব, কোথায় থাকব? এখন গণভবনে আছি ভালো কথা। এখান থেকে গিয়ে উঠবো কোথায়? সেই জায়গাটাও তো নেই।

তিনি বলেন, যাই হোক আমি নিজের জন্য চিন্তা করি না। কিন্তু আমি সবার জন্য ভাবি। আমি আপনাদের বলব, আপনারা সাংবাদিকরা যদি সরকারি ফ্ল্যাট কিনতে চান। যেগুলো আমরা তৈরি করছি এবং বিক্রি করছি। তাহলে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করে কিনতে পারবেন। প্রথমে সামান্য কিছু (টাকা) দিলে। বাকিটা কিস্তিতে দেওয়া যাবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটা করে দিচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি। তখন দেশে শুধু একটি টেলিভিশন ছিল। সেটিও সরকারি টেলিভিশন। আমরা তো আবার ভুলে যাই। ছয় ঋতুর দেশ, ঋতুও বদলায়, মনও বদলায়, স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়। তখন সংবাদপত্র ছিল মাত্র কয়েকটি। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক সংবাদপত্র অফিস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছিল। জাতির পিতা সমস্ত সাংবাদিকদের সরকারি চাকরির মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং চাকরির সুযোগও করে দিয়েছিলেন। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল এ দেশের মানুষের যেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ