
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের পথে রোড মার্চ শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “এই রোড মার্চের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে সাফ জানিয়ে দিচ্ছি, এখনো সময় আছে, পদত্যাগ করেন, সংসদ বিলুপ্ত করে দেন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।

“অন্যথায় জনগণ জানে কী করে স্বৈরাচার, বিনাভোটের ক্ষমতা দখলকারী সরকারকে সরাতে হয়। সেজন্য জনগণ আজকে রাস্তায় নেমেছে।”
বিএনপি মহাসচিব সমাবেশে শ্লোগান তুলে বলেন– ‘ফয়সালা হবে কোথায়’। সমবেত নেতাকর্মীরা এ সময় জবাব দেন- ‘রাস্তায়, রাজপথে’।

মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজপথ দখল করে রাখতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে দখলে রাখতে হবে… বুঝেছেন।
“ভবিষ্যতে যদি বাঁচতে চান, দেশকে যদি রক্ষা করতে চান, দেশকে যদি মুক্ত করতে চান, আমাদের কোনো বিকল্প নাই এই জগদ্দলকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর কাল-বিলম্ব নয়, আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে, মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে এবং রাজপথ দখল করতে হবে। আসুন সরকার পতনের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।”
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুমিল্লার কালা খন্দকার ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে এই রোড মার্চ শুরু হয়। রোডমার্চটি ফেনী হয়ে চট্টগ্রামে গিয়ে শেষ হবে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগ থেকে বিএনপি রোড মার্চ শুরু করে। এরপর ২৩ মার্চ বরিশাল বিভাগ, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগ, ২৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগ ও ৩ অক্টোবর ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগে রোড মার্চ হয়। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চের মধ্য দিয়ে ছয়টি রোড মার্চের কর্মসূচি শেষ করতে যাচ্ছে বিএনপি।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন বক্তব্য দেন।