আজঃ রবিবার ২৩ মার্চ, ২০২৫

নেতারা মঞ্চে অনশনে, কর্মীরা পাশের গলিতে কলা-রুটিতে ব্যস্ত

ঢাকা অফিস:

 

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে বিদেশ প্রেরণসহ এক দফা দাবি আদায়ে গণ-অনশনে বসেছে বিএনপি।

 

 

 

 

শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই গণ-অনশন পালনে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে বসে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় ও সিনিয়র নেতারা।

তবে গণ-অনশন কর্মসূচির ফাঁকে দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে গলির দোকানগুলোতে বিএনপির কর্মীরা কলা, রুটি ও শিঙাড়া খাওয়ায় ব্যস্ত। কেউ কেউ আবার দল বেঁধে হোটেলগুলোতেও পেট ভরে খাচ্ছেন।

গণ-অনশন কর্মসূচির আশপাশে অবস্থিত স্থায়ী ও অস্থায়ী খাবারের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিএনপির অন্যান্য কর্মসূচির দিনগুলোর মতোই সকাল থেকে তাদের দোকানে বেচা-বিক্রির ভিড়।

পাশের গলিতে রুটি-কলা খাচ্ছেন কর্মীরা
এদিকে অনশন ভেঙে খাওয়া দাওয়া করা বিএনপির একাধিক কর্মীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা এড়িয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘পেট ভরে খাচ্ছি না। চা খেতে আসছি। খালি চা ভালো লাগছে না, তাই বিস্কুট নিলাম।’

রুটি কলা ছাড়া সিগারেটের দোকানগুলোতেও বিএনপির কর্মীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

তবে মঞ্চের সামন বসে থাকা কোনও নেতাকর্মীকে কোনও কিছু খেতে দেখা যায়নি। এছাড়া, দুই একজন বাদাম ও পানি বিক্রেতা ছাড়া কর্মসূচি স্থলে অন্য কোনও ভ্রাম্যমাণ খাবার বিক্রিতার দেখাও মেলেনি।

 

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলন।

চট্টগ্রামের হোটেল সৈকতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলার প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। তার বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান সংস্কার করে

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সফল করতে হবে।গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশ নেন। আলোচনায় বক্তারা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, এবং সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

আলোচকরা বলেন, সংবিধান সংস্কার ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলার জন্য জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি কার্যকর প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তারা জবাবদিহিমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জে.এস.ডি, কেন্দ্রীয় কমিটি, সেলিম নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ;এ্যাড. কফিল উদ্দিন , সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা আইন সমিতি ; মো. ওয়াজীউল্লাহ্, শ্রমিক নেতা ; মো. হারুন, মো. সাইফুল ইসলাম , বি এন পি ;সিদ্দিকুর রহমান, এবি পার্টি ; জোবাইরুল আলম মানিক, জাতীয় নাগরিক পার্টি ; আরিফ মহিউদ্দিন, আহ্বায়ক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রিদুয়ান সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ; আজাদ হোসেন, ছাত্র ফেডারেশন, চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় ; কলি কায়েস, সংগঠক, এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটার্স গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার ও আলোচনা শেষে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারি।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বরেণ্য রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গতকাল সকালে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া-মোনাজাত করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামিলুর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ যাদু, মরহুমের পুত্র ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ হোসেন, গোলাম আবেদীন কায়সার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক মোহাম্মদ ইসহাক সরকারসহ জেলা-উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

গতকাল বিকালে স্থানীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল এবং দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন দলের পরীক্ষিত, সাহসী নেতা। দলের কঠিন সময়ে তিনি দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির আদর্শ রক্ষায় আপসহীন ছিলেন। তার অবদান বিএনপি কখনো ভুলবে না। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তার দেখানো পথে চলার অঙ্গীকার করছি।”

প্রসঙ্গত, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ