আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন, ২০২৫

শারদ প্রার্থনা ও শরৎ শুভেচ্ছা – বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: কাজল দাশ

কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: কাজল দাশ

শারদীয় এ শুভ লগনে-তুমি ও করিছ ব্রত-
আজ ও কি চলিছে-পূজোর উপোষ অতীত দিনের মতো?
তারায় তারায় ভরা রাতের সবটুকু আকাশ –
তোমায় দিলাম-আমি স্বপ্ন দেখাবো –
কালপুরুষ, ছায়াপথের নক্ষএ গুলো-
সভ্যতার পাদপীঠ হরপ্পা,মহেনজোদারোর-
আরও দূর কোন গ্যালাক্সি পেরিয়ে
অন্য গ্রহের কোন এক সভ্যতার জন্ম বার্ওা জানাবো-
রাতের জোনাকীর আল্পনার মতো কল্পনায় ভেসে যাব-
বৃদ্ব পৃথিবীর জমানো দূঃখ অন্তরে ধারন করে-
নিশি কুটুম্বের প্রান উতলা আচরনে-
আমি মুগ্ধতায় মোহবিষ্ট নই –

 

কোটি বর্ষের চাঁদের আলোর সাথে
আমাদের নিত্য নতুন করে অবগাহন হয়-
স্মরণীয় কাজ কোন দিন শেষ হয়ে ও হয়নাকো শেষ–
নিষ্ঠূর সত্যের সাথে প্রতিদিন মোকাবেলা করে-
নতুন রূপে বেঁচে উঠি বার বার ।
রঙ ধনুর রংয়ে প্রিয়ার খোঁপা হয়তো সাজানো হলোনা।
দলছুট গাঙচিলটা
তখনও মিশে যায়নি গোধূলির শেষ আলোয়
হিজলের কচি পাতাগুলো
সবে চাঁদের আলোয় নাইতে নেমেছে
তুমি তখন এলে শিশির হয়ে আমার বারান্দায়
বুদ্বি জ্ঞান ভালবাসা দিয়ে-
জীবনের বিশ্বাসকে আরো গভীর করে নেবো-
বিশ্বাসের প্রদীপে চলমান স্রোতে-
ভাসিয়ে দেবো জলন্ত প্রদীপ-
তোমার মঙ্গল মানসে।
“” শরৎ শুভেচ্ছা””।

কাজল দাশ।
১৭/১০/১৮

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সরকার ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষার প্রচেষ্টায় অব্যাহত রেখেছে।

: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১), আলীম আখতার খান বলেছেন, সরকার সীমিত সামর্থ ও লজিস্টিক দিয়ে দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও নানা আইনগত জঠিলতার কারণে দেশের মানুষের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যবসায়ীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, সাধারণ ভোক্তারা যদি আইন জেনে নিজেরা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন তাহলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।

তবে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ সালে প্রণীত হয়েছে। সেসময়ে অনেক বিষয়কে আমলে নিয়ে আইনটি প্রণীত হলেও কালের পরিবর্তনের সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য আইনকে যুগোযোগী করা হচ্ছে। আইনটি সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যিই কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক জঠিলতায় অধিদপ্তরের লোকবল নিয়োগে বিলম্বের কারণে ২৪টি জেলায় কর্মকর্তার পদ শুণ্য আছে। যার কারনে ঐ জেলায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এর সহযোগিতায় সার্কিট হাউজ, চট্টগ্রাম এর সম্মেলন কক্ষে “ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজউল্যার স্বাগত বক্তব্যে সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আলোচনায় অংশনেন সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মাহমুদা বেগম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহানুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মার্মা, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভি হাসান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, কাজীর দেউরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান, চট্টগ্রাম রেস্তোরা মালিক

সমিতির সভাপতি ইলিয়াছ আহমদ, বারকোট রেস্টোরেস্ট এর স্বত্ত্বাধিকারী মনজুরুল হক, বনফুলের জেনারেল ম্যানেজার আনামুল হক, ফুলকপির জেনারেল ম্যানেজার আবদুর সবুর, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচার ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাব্বি তৌহিদ ও সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন বলেন, একটি সমাজ পুরোপুরি পুরিশুদ্ধ হতে হলে সকল পর্যায়ের মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। না হলে সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এখনো মুষ্ঠিমেয় অসাধু লোকের প্রভাব বলয় থেকে সমাজ ও পরিবেশ মুক্ত নয়। তারা সমাজকে কলুষিত করে, সেখানে আইনের শাসন ও প্রথা সেভাবে কার্যকর নয়।

তাই ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা দিতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করার বিকল্প নাই। কারণ যিনি একটি পণ্যের ব্যবসায়ী, তিনি আরও দশটি পণ্যের ক্রেতা। সেকারণে সে যদি একটি পণ্য বিক্রি করে মানুষকে প্রতারিত করে থাকেন। তাহলে আরও দশটি পণ্য কিনে ঠকতে হচ্ছে। এটি কোনভাবেই একটি সভ্য সমাজে চলতে দেয়া যায় না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, জেলা প্রশাসন ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় যাবতীয় কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বানিজ্যিক হাব হিসাবে যেভাবে বিষয়টির প্রতিগুরুত্ব প্রদান করা দরকার প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে সেভাবে করা না গেলেও জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আইনের দুর্বলতার পাশাপাশি সাধারন ভোক্তাদেরকে সচেতন করতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সরকারকে ব্যবসায়ী তোষণনীতির পরিবর্তে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। ব্যবসায়ীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ টিভি ও পত্রিকায় একতরফা বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য বিক্রি করলেও ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। যার কারণে দেশে ন্যায্য ব্যবসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতা প্রদানে রাজনৈতিক দল ও সরকারকে সতর্ক হবার আহবান জানিয়ে দেশের স্বার্থে সাধারণ মানুষের বিষয়গুলোর প্রতি আরও যত্নবানে হবার অনুরোধ করেন।

মুল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ ভোক্তা সংরক্ষন আইন, নিরাপদ খাদ্য আইন ও ওষুধ ও কসমেটিক আইনে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সরাসরি আদালতে মামলা করতে বাধার বিষয়টি দূর করা দরকার। এছাড়াও আইন প্রয়োগে অধিকাংশ জায়গায় শিথিলতার কারণে মানুষ আইন না মানার সংস্কৃত বন্ধে জোর দেন। একই সাথে আইন ও অধিকার সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন।

এছাড়াও ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার বিরোধ নিস্পত্তিতে শালিসী কার্যক্রম জোরদার, পণ্যের মান পরীক্ষায় সুযোগ সুবিধা ও জনবল বাড়ানোর সুপারিশ করেন। সেমিনারে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, ক্যাব চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধিসহ সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশনেন।

মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন।

চট্টগ্রাম হামজারবাগস্থ শাহানশাহ হক ভাণ্ডারী খানকাহ্ শরীফ এ গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ এর সম্মানিত সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী প্রতি বছরের মতো মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ-এর মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ এর আওতাধীন আট শতাধিক শাখা কমিটির সদস্যবৃন্দকে বৃক্ষ রোপণে উদ্বুদ্ধকরণ চেষ্টার অংশ হিসেবে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ প্রতি বছর এই কর্মসূচি ঘোষণা করে থাকে।

এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনতে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত গাছের চারা রোপণের বিকল্প নেই। ত্বরিকতের হুকুম আহকাম পালনের সাথে সাথে সামাজিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সাংগঠনিক কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি শাখা কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে অন্তত একটি ফলজ ও একটি বনজ গাছের চারা রোপণের জন্য উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি মাইজভাণ্ডার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিল এর সম্মানিত সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)-’র দেখানো পথে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়ার আহ্বান জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ