
ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৬ তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আবারো কুমিল্লার বাঘা শরীফ। শুক্রবার বিকেলে এবারও তিনি কুমিল্লা সদরের রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন। এদিকে চলতি আসরে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন বলী।নগরের লালদীঘি মাঠের অস্থায়ী মঞ্চে এ প্রতিযোগিতার মূল পর্ব শুরু হয় বিকেল ৪টায়। দেখা গেছে, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এবারও ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ বলী।

এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আয়োজনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।এর আগে বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থী ভিড় করেছেন লালদীঘি প্রাঙ্গণে। এ বলীখেলাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে জমে উঠেছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা। চারিদিকে উৎসবের আমেজ।
বৈশাখের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকে নগরের লালদীঘি ময়দান ছিল উপচেপড়া দর্শকের ভিড়। ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা দেখতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো মানুষ। ঢোলের তালে তালে দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখর ছিল পুরো মাঠ।
জব্বারের বলীখেলা ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানান, বলীখেলার ১১৬তম আসরে এবার রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪৭ জন বলী। এতে জাতীয় পর্যায়ের বলীরাও এবার অংশ নিয়েছেন।

এদিকে, আবদুল জব্বারের বলীখেলা ঘিরে নগরের লালদীঘি মাঠ ও এর আশপাশজুড়ে বসেছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। সিনেমা প্যালেস থেকে লালদীঘি মোড় হয়ে শাহ আমানত মাজার গেট। অন্যদিকে আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে কোতোয়ালী মোড় পর্যন্ত বসেছে এ মেলার দোকানপাট। মেলা থেকে ঘুরে ঘুরে পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন নারী-পুরুষ, শিশু সবাই।
১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই বলীখেলার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এটি জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে প্রতি বছরের ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এই জব্বারের বলীখেলা।