
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ‘অসহযোগ আন্দোলন’; আগামী ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা ‘অবরোধ’ এর ডাক দিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে জোট নেতারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, যে সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন আপনার-আমার ঈমানী দায়িত্ব দেশ বাঁচাতে সেই সরকারকে অসহযোগিতা করা।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, এই সরকারকে পাতানো নির্বাচনে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকুন। একই সাথে গত পনেরো বছর ধরে বিএনপি-জামায়াত ও ১২ দলীয় জোটের যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান জোট নেতারা।

অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ১২ দলীয় জোটের
এবার ৪ দিনব্যাপী কর্মসূচি দিল বিএনপি
বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম প্রমুখ।