আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

হবিগঞ্জ:

জমে উঠেছে হবিগঞ্জ ৪ আসনে মাহবুব আলি ও ব্যারিষ্টার সুমনের নির্বাচনী লড়াই।

উত্তম কুমার গোস্বামী মাধবপুর:

জমে উঠেছে হবিগঞ্জ ৪ আসনে নৌকার মাহবুব আলী ও সতন্ত্র প্রার্থী ইগল মার্কার ব্যারিষ্টার সুমনের নির্বাচনী লড়াই
মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষে এ আসনে স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আটজন প্রার্থী আছেন এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেনের প্রার্থিতা বাতিল হয় এবং জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

মাধবপুর চুনারঘাট উপজেলার সংসদীয় আসন ২৪২ নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ।
চা বাগান অধ্যুষিত এই আসনকে আওয়ামী লীগের আসন হিসেবে ধরা হয়। স্বাধীনতার পরে গত ১১ টি সংসদ নির্বাচনে আট বারই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বর্তমান সংসদ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিমান ও পর্যটক প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী (নৌকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদ ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন (ঈগল) জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল) বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ আল আমিন (ডাব) ইসলামী ঐক্য জোট বাংলাদেশ আবু সালেহ (মিনার) বিএনএম মোখলেসুর রহমান সেলিম (নোঙ্গর) ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মোহাম্মদ আব্দুল মমিন (চেয়ার) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐক্যজুটের মোঃ রাশেদুল ইসলাম (খোকন (ছড়ি)পথিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বর্তমান কাগজে-কলমে আটজন প্রার্থী থাকলেও বেশিরভাগ প্রার্থী নেই ভোটারদের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই সাধারণ ভোটাররা বেশিরভাগ প্রার্থীকেই চিনেন না তেলিয়াপাড়া বাজারে ব্যবসায়ী এরশাদ আলী বলেন নৌকার প্রার্থীর সাথে বেস্ট অফ সাইদুল হক সুমন এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে অন্য ৬ জন প্রার্থীকে চিনেনা ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন নৌকা ও ঈগলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রচার প্রচারণায় দুজনেই সমান সমান।

দীর্ঘদিন মাটে থাকা ব্যারিষ্টার সুমনের সাথে রয়েছে তরুন প্রজন্মের অধিকাংশ ভোটার ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী থাকার সুবাদে মাহবুব আলীও সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেছেন, এখানে এই দুজনের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি, যেই জিতুক না কেন কিন্তু ভোটের ব্যাবধান তেমন একটা বেশি হবে না বলে জানা যায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যারা নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছেন, আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন-এ প্রশ্ন রাখতে চাই

যারা নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে- এ প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ওলামা ও সুধী সম্মেলনে’ তিনি একথা বলেন। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এ সভার

আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী আন্দোলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পাঁচ আগস্ট পরবর্তী যে সরকার এখন আছে, এ সরকারের অবস্থা কিন্তু নড়বড়ে। কারণ সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার এমন কোনো জায়গা বাদ রাখেনি যেখানে দলীয়করণ করেনি, সব জায়গায় ওদের গুণ্ডাদের বসিয়ে গেছে। সেই জায়গাগুলো পরিস্কার করে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আবার যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে আমরা মনে করি।

কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছেন, আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন- এ প্রশ্ন রাখতে চাই। আপনারা সিগন্যাল তো আগেই দিয়ে ফেলেছেন। সারাদেশের ভেতরে কারা লুট করছে, কারা চাঁদাবাজি করছে, কারা ঘাট দখল করছে, কারা স্টেশন দখল করছে, কারা বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরি করছে- এটা আমরা বাংলাদেশের মানুষ দেখছি। আপনারা নির্বাচন চান, অথচ এখন পর্যন্ত দলীয় লোকদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কি করবেন?

আরও লুটতরাজ বাড়িয়ে দেবেন, আরও তাদের সুযোগ দেবেন, এটা বাংলাদেশের জনগণ এখন দেখে ফেলেছে। এটা আমরা বুঝে ফেলেছি। আর নয়। তারা বারবার ক্ষমতায় যাবে আর আমাদের মায়ের বুক খালি করবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস করবে, এসব আর নয়।

তিনি বলেন, পাঁচ আগস্টের পর মানুষ কিন্তু জুলুমবাজ, খুনি, মিথ্যাবাজ, ধোঁকাবাজ, টাকা পাচারকারীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এখন মানুষ নীতি-আদর্শের ইসলাম অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে, সেটা দেখার জন্য, সমর্থন দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। মানুষ বলছে, আমরা বিএনপি দেখেছি, আওয়ামী লীগ দেখেছি, জাতীয় পার্টি দেখেছি, আরও অনেক দেখেছি, কিন্তু ইসলাম তো দেখিনি।

ইসলামী দলগুলো আর কারও ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫৩ বছর ধরে যারা এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করেছে, তারা বারবার ইসলামী দলগুলোকে বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়ে গেছে। আমাদের ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে চাই না। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনে যাতে একটা বাক্স থাকে, সব ভোট যেন একটা বাক্সে যায়, সেই চেষ্টা আমরা শুরু করেছি এবং ধারাবাহিকতা চলছে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা পরিস্কারভাবে বলছি, আগে যৌক্তিক সংস্কার হবে, তারপর যৌক্তিক সময়ের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন হবে। সরকারকে বলব, আপনারা আপনাদের প্রশাসনিক কাঠামো আরও মজবুত করেন। আপনারা দৃঢ়ভাবে আপনাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

নারীনীতি নিয়ে ভুল না করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-তরুণ জীবন দিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, চোখ হারিয়েছে, এর সুবাদেই আপনারা এখন ক্ষমতায় আছেন। আপনারা যদি নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন, তাহলে এদেশের ওলামায়ে কেরাম, ধর্মপ্রিয় মানুষ রাস্তায় নামবে। আমরা যখন রাস্তায় নামবো, তখন ওই জালিমেরা সুযোগ পাবে। দয়া করে এ সুযোগটা তাদের তৈরি করে দেবেন না। এ ভুল করবেন না, পরিস্কারভাবে বলছি। ইসলামবিরোধী, মানুষের চরিত্র হননকারী এই নারীনীতি আমরা বাস্তবায়ন হতে দেব না।

প্রতিবেশি দেশের ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু আমরা দেশের মানুষ স্বাধীন ছিলাম না, আমরা ছিলাম পরাধীন। পাঁচ আগস্টের পর আমাদের স্বাধীনভাবে মতামত দেয়া, স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি, যারা আমাদের বন্ধু বলে আমাদের সবসময় চুষে খেয়েছে, তারা একদম শকুনের মতো আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, যে কোনোসময় তারা ছোবল দেবে। তারা বড় ইস্যু তৈরি করবে সংখ্যালঘুর নামে নির্যাতনের কথা বলে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।সভায় দলটির চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারা বক্তব্য দেন।

বই পড়ে জামায়াতকে জানুন, জামায়াতে যোগ দিন।ল

সারাদেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়ও চলছে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ পক্ষ-২০২৫। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এ লক্ষে গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে গণ সংযোগ ও সদস্য সংগ্রহ করছে নেতাকর্মীরা। গত ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে চৌদ্দগ্রাম বাজারে দাওয়াতি বুথ করে সমর্থক ফরম বিলি ও সমর্থক সংগ্রহ করছে পৌর জামায়াত। ইসলামী সংগঠন জামায়াতের কার্যক্রমে সন্তুষ্ঠ হয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ সমর্থক ফরম পূরণ করেছে।

বুধবার বিকেলে পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাঃ ইব্রাহিম মাইকে বাজারের পথচারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মানুষের কল্যাণে কাজ করে। ইসলামী আন্দোলন করা সকলের জন্য প্রয়োজন। আমাদের বুথে আসুন, বিনামূল্যে বই নিয়ে যান। বই পড়ুন, জামায়াতকে জানুন। জামায়াতে যোগ দিন’।

পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী মোশারফ হোসেন ওপেলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর কাজী মোঃ এয়াছিন, ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা আরিফুর রহমান, মাওলানা নুর আহম্মেদ, আবু নাসের ভুঁইয়া, আলা উদ্দিন, মোস্তফা কামাল খাঁ, শাহ আলম, লিয়াকত শিকদার প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ