আজঃ শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা:

চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৩৪টি খাদ্যগুদামের (ওসি-এলএসডি)কে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম অফিস:

চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৩৪টি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি-এলএসডি) বদলি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনকে একযোগে বদলি করা হয়। তবে এই বদলির ক্ষেত্রে গুদামভেদে ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর গত অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব কর্মকর্তাকে বদলি করে। যদিও খাদ্য বিভাগ বলছে, কর্মকর্তা বদলির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা টাকা লেনদেন হয়নি।

দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর খাদ্য বিভাগের বোরো সংগ্রহ শেষ হয়। এরপর গত ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয় ২০২৩-২৪ মৌসুমের আমন সংগ্রহ। এ উপলক্ষে ওই ৩৪ জন ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বদলি হওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, এসব বদলির ক্ষেত্রে কর্মস্থলভেদে তাঁদের ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপরি দিতে হয়েছে। খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের শফিউল হাবিব ভূঁইয়াকে টেকনাফ খাদ্যগুদামের (ওসি-এলএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়।

কুমিল্লা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানকে বান্দরবান সদর গুদামে, দেওয়ানহাট সিএসডির পরিদর্শক সৈয়দ আলমকে সাতকানিয়া গুদামে বদলি করা হয়। রাঙামাটির বরইছড়ি গুদাম থেকে বাঁশখালীতে বদলি করা হয়েছে নিপুণ দাসকে। হালিশহর সিএসডি গুদাম থেকে এরশাদ হোসেনকে সীতাকুণ্ডে, হালিশহর সিএসডি থেকে মনির হোসেনকে মিরসরাইয়ে, রাউজান গুদামের ইমরান হোসেনকে রাঙ্গুনিয়ায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে রাজীব কুমারকে চান্দিনা খাদ্যগুদামে, কুমিল্লা সদরের আবদুল গণিকে খাগড়াছড়ির গুইমারায়, চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) দপ্তর থেকে আবুল মনছুর হাবিবকে মাটিরাঙার তবলছড়িতে বদলি করা হয়।

দেওয়ানহাট সিএসডির পরিদর্শক মামুনুর রশিদকে পানছড়িতে, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির দেবাশীষ দাশকে দীঘিনালায়, কুমিল্লা ডিসি ফুড দপ্তরের আনিসুল ইসলামকে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় (অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মিরসরাইয়ের হাবিলদার বাসা খাদ্যগুদাম), কুমিল্লার চকবাজারের শহীদ উল্লাহকে ফেনী সদরে, কুমিল্লা ডিসি ফুড দপ্তরের গোলাম মোস্তফাকে রাঙামাটি সদর গুদামে বদলি করা হয়।

ফেনীর পরশুরাম গুদামের শফিকুল ইসলামকে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে, চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষক নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের পলাশ ঘোষকে রাঙামাটির বরইছড়িতে, নোয়াখালী সদরের অসীম কুমারকে হাতিয়ার (চৌমুহনী বাজার) গুদামে, লক্ষ্মীপুর সদরের মাঈন উদ্দিনকে বেগমগঞ্জে, লক্ষ্মীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের (টিআই) আবু নাঈম টিটুকে চর আলেকজান্ডারে, চাঁদপুর সিএসডির অসীম বর্ধনকে রায়পুরে, দেওয়ানহাট সিএসডি থেকে জহিরুল ইসলামকে রামগঞ্জে, দেওয়ানহাট সিএসডি থেকে তারেকুল আলমকে কক্সবাজারের বদরখালীতে, কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে কুমিল্লার চকবাজারে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি (ফুড) কার্যালয়ের জমির হোসেনকে চৌদ্দগ্রামে, কুমিল্লার বরুড়া থেকে মো. সফিউল আলমকে ফেনীর নাঙ্গলকোটে, চাঁদপুর সদর থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে দাউদকান্দিতে, কুমিল্লা ডিসি (ফুড) কার্যালয় থেকে কাজী ইকবালকে বরুড়া খাদ্যগুদামে, কুমিল্লার চান্দিনা থেকে সুমন সাহাকে দেবীদ্বারে, ফেনী সদর থেকে আবুল হাসেমকে কুমিল্লার কংসনগরে, চট্টগ্রামের হালিশহর সিএসডি থেকে রঞ্জিত কুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বদলি করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এইচ এম কায়সার আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ১৪ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে সদরঘাটে তাঁর কার্যালয়ে গিয়েও দেখা মেলেনি।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী নিয়ন্ত্রক (এডিডি) দোলন দেব বলেন, সাধারণত ধান সংগ্রহের সময় এলে আমাদের খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাদের বদলি হয়ে থাকে। এবারও তা-ই করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা টাকার লেনদেন হয়নি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে পাউবোর প্রকল্পে নিম্নমানের সরজ্ঞাম ব্যবহারের অভিযোগ

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর মেগা প্রকল্পে বেড়িবাঁধের ব্লক তৈরিতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের বালি ও পাথর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তবে সেরকম হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। যদি অনিয়ম দেখা যায়, তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তারা। জানা যায়, ২০২১ সালের মে মাসে একনেক সভায় অনুমোদিত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পটিয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের আওতায় ১১৫৮ কোটি টাকা ও শ্রীমাই

খালে মাল্টিপারপাস হাইড্রোলিক ইলেভেটর ড্র্যাম নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৩৩ কোটি টাকাসহ মোট প্রায় ১৩শ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বারবার কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য তাগিদ দিলেও ঠিকাদার ও পাউবো কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে লবণাক্ত বালি ও পাথর ব্যবহার করে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ব্লক তৈরির সময় পাউবোর কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে কাউকে দেখা যায়নি। গত ২৪ জানুয়ারি উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের বাইপাস

পয়েন্টে সরেজমিন পরিদর্শনকালে এমন চিত্রের দেখা মেলে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্লক তৈরির পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ১:২.৫:৫ মাত্রার ঢালাই টেন্ডারে থাকলেও বালি ও পাথরের পরিমাণ বেশি এবং সিমেন্টের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢালাইয়ের পর কমপক্ষে ২১ দিন ব্লক ভিজিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। রোদ বেশি হলে এই সময়কাল আরও বৃদ্ধি পায়, কিন্তু তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। সিডিউল অনুযায়ী, বালির এফএম কমপক্ষে ১.৫ হওয়া উচিত, কিন্তু তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে এফএম ১ থেকে .৮ সাইজের কাঁদাযুক্ত লবণাক্ত বালি।

ওই এলাকার বাসিন্দা মফিজুর রহমান বলেন,স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে দিয়ে বালি ও পাথর সরবরাহ করানোর কারণে ঠিকাদাররা ইচ্ছেমত লুটপাট করছে। কাজের গুণগত মান একেবারেই নিশ্চিত করা হচ্ছে না। অপর এক বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে সিন্ডিকেটের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন প্রকৌশলী পরস্পর যোগসাজশে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। পটিয়ায় পাউবোর প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন,পাউবোর প্রকল্প মানেই যেন দুর্নীতির মহোৎসব।

বিগত বছরগুলোতে যারা লুটপাট করেছে, তাদের সহযোগীরাই এখনও একই কাজ করছে। তবে পাউবো চট্টগ্রাম পওর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ জানান, তারা পাথর,বালি, সিমেন্ট ইত্যাদি নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করেছেন এবং প্রকল্প সাইট ও তৈরিকৃত ব্লক সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি করা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকল্প পরিচালক খ.ম জুলফিকার তারেক বলেন, ‘আমার জানা মতে, এরকম হওয়ার কথা না। যদি অনিয়ম দেখা যায়,তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শ্রীশ্রী চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রম পরিচালনা সভাপতি অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী সংবর্ধিত

সূর্যগিরি আশ্রম ও পণ্ডিত নিরোদ লীলা গীতা বিদ্যাপীঠ পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগ গত ৩ ফেব্রুয়ারি নগরীর এক রেস্তোরাঁয় বোয়ালখালী সারোয়াতলী করলডেঙ্গা শ্রী শ্রী চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রম পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচত কমিটিকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক অমিত মজুমদার শংকর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য বলাই,

সহসাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ চক্রবর্তী, সহদপ্তর সম্পাদক লিটন দে, সাংবাদিক সমীর কান্তি দাস, সহপ্রচার সম্পাদক অসীম শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তপন দাশ, সহসম্পাদক পুলক দাশ, সঞ্জয় দাশ, সহসভাপতি দেবাশীষ দাশ, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্তী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক নিপুণ দে, সহসভাপতি লায়ন ডা. নারায়ণ চন্দ্র নাথ। এ সময় মেধস আশ্রমকে জাতীয় তীর্থ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন

সূর্যগিরি আশ্রম পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিপ্লব চৌধুরী কাঞ্চন, নির্বাহী সভাপতি তরুণ কুমার আচার্য কৃষ্ণ, সহসভাপতি টিটু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ধীমান দাশ, সহসাধারণ সম্পাদক রুবেল শীল, অর্থ সম্পাদক সমীর কান্তি দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্স দাশ, মহিলা সম্পাদিকা সুমি চৌধুরী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ঝুমুর সর্দার, অভিবসু মল্লিক, মিটু দাশগুপ্ত।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ