আজঃ শুক্রবার ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

নোয়াখালী:

নোয়াখালী-৩/ নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ,আহত ৮।

রিপন মজুমদার নোয়াখালী:

নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের বেগমগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরণ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মিনহাজ আহমেদ জাবেদের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় এটিএন বাংলার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন এহসানুল গনি স্বজনসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা সূত্রে যায়, গাবুয়া বাজারে পথসভার আয়োজন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মিনহাজ আহমেদ জাবেদের অনুসারীরা। এতে নেতৃত্ব দেন একলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেদুর রহমান দিপু। এসময় নৌকার সমর্থক সাকিব নামের এক ছেলেকে মারধর করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাবুয়া বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরণ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মিনহাজ আহমেদ জাবেদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরনের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মিনহাজ আহমেদ জাবেদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া করে। তারা এটিএন বাংলার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এতে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন এহসানুল গনি স্বজন সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় গাড়িতে আরো ছিলেন, এটিএন বাংলার ঢাকার রিপোর্টার নাজিবুর রহমান ও এটিএন নিউজের নোয়াখালী প্রতিনিধি ফয়জুল ইসলাম জাহান। তারা অল্পের জন্যে রক্ষা পান।

ঘটনার পরপরই সহকারী পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) রাজীব হাসান, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের দাম উর্ধমুখী কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাড়তি দাম একসপ্তাহেও নিম্নমুখী হয়নি। ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কিছুটা নিম্নমানের ছোট পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে বড় আকারের দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কমেছে। মসুর ডাল ও খোলা চিনির দামও কমেছে। এছাড়া শীতের ফলন ছাড়া অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কিংবা তার চেয়েও বেশি। চট্টগ্রাম মহানগরীর কয়েকটি বাজার ও বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান ঘুরে নিত্যপণ্যের এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি-বাঁধাকপি, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় টমেটো ১২০ টাকা, দেশি টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি শসা ও উচ্ছে ৭০ টাকা, করলা, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, পটল, ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়ো ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা ও প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। শীতকালীন লাল শাক-পালং শাকসহ অন্যান্য সব ধরনের শাক আঁটিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পরিবর্তন আসেনি মাছের বাজারে। বাজারে লইট্যা ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে দুই কেজি বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায়, আর এক কেজির ইলিশের দাম ২২০০ থেকে ২৫০০ এর মতো। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনের জাটকার দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা করে কমেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ সপ্তাহে সেটা ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় নেমেছে। প্রতি ডজন লাল ডিম গত সপ্তাহে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এখন সেটার দাম ১২০ টাকা।

এছাড়া বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি আগের মতোই ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশী হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কিছুটা নিম্নমানের ছোট পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে বড় আকারের দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মুদিপণ্যের মধ্যে কেজিপ্রতি মসুর ডালের দাম কমেছে ১৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম কমেছে ৫ টাকা। ছোট মসুর ডাল ১৫০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

চালের মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা ও মোটা ধরনের স্বর্ণা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতিকেজি লালতীর, এসিআই, স্কয়ার কোম্পানির প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বোয়ালখালীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককের উপর হামলা

 

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদক সেবনে বাধা ও সংবাদ প্রকাশের জের ধরে জাতীয় দৈনিক ” একুশে সংবাদ” ও দৈনিক চট্টগ্রাম পোস্ট ” চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মনিরুল হক চৌধুরী,র উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে সঙ্ঘবদ্ধ মাদক কারবারির একটি দল।

উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ইমামমুল্লার চর শাহী জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মনিরুল হক চৌধুরী বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, সারোয়াতলী ইউনিয়নের ইমামমুল্লার চর, ৭নং ওয়ার্ডের মৃত আবু জাফরের ছেলে মো সেলিম (৩৫), (শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ি) ,মৃত আবু বক্করের ছেলে মো: রমজান (৩০) মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ি, মৃত মোঃ হোসেনের ছেলে মো : মুরাদ (২০),মৃত শাহ আলমের ছেলে মো: তাজেল (২৫) চান্দাঁবাজ,মাদক ও ইয়াবা গডফাদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ না করায় পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করার জেরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান করে। ১৩ নভেম্বর দোকান থেকে বাড়ীতে যাওয়ার পথে ইমমাল্লারচর শাহী জামে মসজিদের পশ্চিমে খালের পাড়ে অতর্কিত আক্রমন করে কিল ঘুষি লাথি মারে, লোহার রড়, গাছের লাঠি দিয়ে মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ছোট ভাই-মোঃ আজিজুল হক চৌধুরী (৩৫) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাহাকেও একই কায়দায় মারধর করে। এসময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি হাত ঘড়ি ও একটি স্মাট ফোন (যাহা সংবাদিককতায় ব্যবহার করে ) তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

আহত মনিরুল হক চৌধুরী বলেন,হামলাকারিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা করে এবং বেধড়ক আমাকে এবং আমার ছোট ভাইকে মারধর করে আহত করেছে আমার নগদ টাকা ঘড়ি ও সংবাদ পত্র কাজে ব্যবহিত স্মাট মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় । এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, হামলার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ