আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার:

উখিয়া-টেকনাফে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে শাহিনা আক্তার ও নুরুল বশরের মধ্যে

মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ (কক্সবাজার)

মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ (কক্সবাজার) দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ ২৪ এ সংসদীয় আসন (২৯৭) কক্সবাজার-০৪ (উখিয়া-টেকনাফ) লক্ষি আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের একই দলের দুই প্রার্থীর বাঁচা মরার লড়াই চলছে।

সরেজমিনে প্রত্যক্ষ দেখা মিলে ১/১১ ওয়ান ইলাভেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধিনে ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ নির্বাচনে আব্দুর রহমান বদি নৌকায় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি শাজাহান চৌধুরী হারিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানের মাধ্যমে প্রথম বারের মত জয়লাভ করে। আব্দুর রহমান বদি দ্বিতীয় বারের মত ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালে ও জয়লাভ করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান বদি জনগনের মন জয় করতে পরলেও জয় করতে পারেনি দলের নেতা কর্মীকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় নৌকা মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন থেকে বঞ্চিত হন। মাঠে নিয়ে আসে সহধর্মিণী জানাবা শাহিনার আক্তার কে প্রথম বারের মতো নৌকার মনোনয়ন নিশ্চিত করে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে। একি পরিবার টানা তিনবার জাতীয় সাংসদ নৌকার প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হলো।
বাংলাদেশ স্বাধীনের পরবর্তীতে দেখা মিলে এই আসনে যিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তারাই সরকার গঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। প্রথম জাতীয় সাংসদ শুরু হয় ১৯৭০ সালে থেকে ২০১৮ এই পর্যন্ত যারা এই আসনে যিনিই বিজয় লাভ করছে, সেই সরকারিই সরকার গঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন।

তারই লক্ষ নিয়ে (উখিয়া-টেকনাফ) লক্ষি আসনের কোমর বেঁধে নামছে দুই প্রার্থী সাবেক জাতীয় সাংসদ সদস্য জনাবা শাহিনা আকতার (নৌকার) প্রতিক নিয়ে ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব নুরুল বশর (ঈগল) প্রতিক নিয়ে মাঠে নামে।
আব্দুর রহমান বদি সহধর্মিণী সাবেক জাতীয় সাংসদ জনাবা শাহিনা আক্তার নৌকা প্রতিক নিয়ে মাঠে ছিলো, আমি থাকবো এই ইস্তাহার নিয়ে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে পাড়ায়, মহল্লায় মিছিল শুরু করে আব্দুর রহমান বদি ও তার নাম নেতা কর্মীরা ।
সরকারের উন্নয়ন কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক, সাবরাং টুরিজম পার্ক, জালিয়ার দ্বীপ এক্সক্লুসিভ “নাফ ট্যুরিজম পার্ক” ও রাস্তাঘাট উন্নয়নের কাজ উখিয়া টেকনাফ রাস্তা প্রসস্থকরন কিছু শেষ হয়েছে, কিছু চলমান রয়েছে।
সাবেক এমপি বদি বলেন সকল প্রকার সমাজসেবা, সাধারণ  মানুষের  সাথে মাঠে ময়দানে সুখে  দুঃখে পাশে আমি আছি থাকবে। সাধরন মানুষ ও ভোটারের মন জয় করতে পরলেও নেতাকর্মীদের মন জয় করতে পারেনি। হাটে, ঘাটে, বাজারে মাঠে উঠে পড়ে লেগেছে। তার পরেও বদি তার সহধর্মিণী কোমর বেঁধে মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু নেতাকর্মীরা না থাকলেও জয়ের জন্য বদ্ধপরিকর।

এদিকে পিছিয়ে নেই দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত  টেকনাফ  উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি  আলহাজ্ব নুরুল বশর  স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রার্থীতা ফরম কিনে। নির্বাচন কমিশন  সংশ্লিষ্ট আইনী জটিলতার কারণে তার প্রার্থীতা ফরম বাচাই পর্বে বাতিল করাহয়। আইনী লড়ায়ে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আলহাজ্ব নুরুল বশর তাঁর প্রার্থীতা ফিরে পায়। নির্বাচন কমিশন তাকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয় ঈগল।
বশরের বক্তব্য উঠে আসে, বিগত ৫ টি বছর এমপির কোথাও দেখা মেলেনি এমন কি  উপজেলার মাসিক আইন শৃংখলা মিটিংয়েও সবখানে এমপির পরিবর্তে দেখা যেত সাবেক এমপি  আব্দুর রহমান বদি কে। এই আমলে দলীয় নেতা কর্মীদের কোন  মূল্যায়ন ছিলনা, মূল্যায়ন ছিল ভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের। নৌকার প্রার্থীর প্রতি অসন্তোষ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
নুরুল বশর ঈগল প্রতিক মাঠে আশায় পাল্টে যায় ভোটের  হিসেব নিকাশ। দলীয় নেতা কর্মী, ও ভোটারদের মাঝে চলছে পক্ষ বিপক্ষ অবস্থান।
শুরু হয়ে যায় (উখিয়া-টেকনাফ) লক্ষি আসনের জন্য উভয়ের পক্ষ বিপক্ষ সভা সমাবেশে মিছিল মিটিং চলছে, চলছে গান-বাজনা নিয়ে মাইকিং।
চেলেঞ্জের মুখামুখি হয়েছে নৌকা ও ঈগল, কে হবেন উখিয়া টেকনাফ লক্ষ আসনের কর্নধার।

যেখানে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় হাই কমান্ড নির্বাচন কে অংশ গ্রহন মূলক করতে যে যার ইচ্ছামত প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারবে বলে  ঘোষনা দিলেও প্রার্থীদের পক্ষ- বিপক্ষে বক্তব্য  ভোট ব্যাংকে দলকে ধ্বসের দিকে নমাতে বলে ধারণা করেছেন অভিজ্ঞ মহল।
উলেখ্য যে, (উখিয়া-টেকনাফ)  নির্বাচন এলাকা লক্ষি আসনে ৪জন প্রার্থী রয়েছে। জাতীয় পাটি, তৃণমূল বিএনপির, ইসলামী ঐক্যজোট, ন্যাশনাল পিপলস্ পাটির, কংগ্রেস পাটির নির্বাচন করলেও মূলত হাড্ডা হাড্ডি প্রতিদ্বন্ধিতা নৌকাও ঈগল প্রতীকের মধ্যে।
আগামী ৭ই জানুয়ারি দেখা মিলবে এই লক্ষি আসনের কর্নধারে নামের তালিকা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ