আজঃ সোমবার ১৭ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজার:

উখিয়া-টেকনাফে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে শাহিনা আক্তার ও নুরুল বশরের মধ্যে

মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ (কক্সবাজার)

মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ (কক্সবাজার) দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ ২৪ এ সংসদীয় আসন (২৯৭) কক্সবাজার-০৪ (উখিয়া-টেকনাফ) লক্ষি আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের একই দলের দুই প্রার্থীর বাঁচা মরার লড়াই চলছে।

সরেজমিনে প্রত্যক্ষ দেখা মিলে ১/১১ ওয়ান ইলাভেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধিনে ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ নির্বাচনে আব্দুর রহমান বদি নৌকায় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি শাজাহান চৌধুরী হারিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানের মাধ্যমে প্রথম বারের মত জয়লাভ করে। আব্দুর রহমান বদি দ্বিতীয় বারের মত ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালে ও জয়লাভ করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান বদি জনগনের মন জয় করতে পরলেও জয় করতে পারেনি দলের নেতা কর্মীকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় নৌকা মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন থেকে বঞ্চিত হন। মাঠে নিয়ে আসে সহধর্মিণী জানাবা শাহিনার আক্তার কে প্রথম বারের মতো নৌকার মনোনয়ন নিশ্চিত করে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে। একি পরিবার টানা তিনবার জাতীয় সাংসদ নৌকার প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হলো।
বাংলাদেশ স্বাধীনের পরবর্তীতে দেখা মিলে এই আসনে যিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তারাই সরকার গঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। প্রথম জাতীয় সাংসদ শুরু হয় ১৯৭০ সালে থেকে ২০১৮ এই পর্যন্ত যারা এই আসনে যিনিই বিজয় লাভ করছে, সেই সরকারিই সরকার গঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন।

তারই লক্ষ নিয়ে (উখিয়া-টেকনাফ) লক্ষি আসনের কোমর বেঁধে নামছে দুই প্রার্থী সাবেক জাতীয় সাংসদ সদস্য জনাবা শাহিনা আকতার (নৌকার) প্রতিক নিয়ে ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব নুরুল বশর (ঈগল) প্রতিক নিয়ে মাঠে নামে।
আব্দুর রহমান বদি সহধর্মিণী সাবেক জাতীয় সাংসদ জনাবা শাহিনা আক্তার নৌকা প্রতিক নিয়ে মাঠে ছিলো, আমি থাকবো এই ইস্তাহার নিয়ে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে পাড়ায়, মহল্লায় মিছিল শুরু করে আব্দুর রহমান বদি ও তার নাম নেতা কর্মীরা ।
সরকারের উন্নয়ন কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক, সাবরাং টুরিজম পার্ক, জালিয়ার দ্বীপ এক্সক্লুসিভ “নাফ ট্যুরিজম পার্ক” ও রাস্তাঘাট উন্নয়নের কাজ উখিয়া টেকনাফ রাস্তা প্রসস্থকরন কিছু শেষ হয়েছে, কিছু চলমান রয়েছে।
সাবেক এমপি বদি বলেন সকল প্রকার সমাজসেবা, সাধারণ  মানুষের  সাথে মাঠে ময়দানে সুখে  দুঃখে পাশে আমি আছি থাকবে। সাধরন মানুষ ও ভোটারের মন জয় করতে পরলেও নেতাকর্মীদের মন জয় করতে পারেনি। হাটে, ঘাটে, বাজারে মাঠে উঠে পড়ে লেগেছে। তার পরেও বদি তার সহধর্মিণী কোমর বেঁধে মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু নেতাকর্মীরা না থাকলেও জয়ের জন্য বদ্ধপরিকর।

এদিকে পিছিয়ে নেই দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত  টেকনাফ  উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি  আলহাজ্ব নুরুল বশর  স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রার্থীতা ফরম কিনে। নির্বাচন কমিশন  সংশ্লিষ্ট আইনী জটিলতার কারণে তার প্রার্থীতা ফরম বাচাই পর্বে বাতিল করাহয়। আইনী লড়ায়ে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আলহাজ্ব নুরুল বশর তাঁর প্রার্থীতা ফিরে পায়। নির্বাচন কমিশন তাকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয় ঈগল।
বশরের বক্তব্য উঠে আসে, বিগত ৫ টি বছর এমপির কোথাও দেখা মেলেনি এমন কি  উপজেলার মাসিক আইন শৃংখলা মিটিংয়েও সবখানে এমপির পরিবর্তে দেখা যেত সাবেক এমপি  আব্দুর রহমান বদি কে। এই আমলে দলীয় নেতা কর্মীদের কোন  মূল্যায়ন ছিলনা, মূল্যায়ন ছিল ভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের। নৌকার প্রার্থীর প্রতি অসন্তোষ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
নুরুল বশর ঈগল প্রতিক মাঠে আশায় পাল্টে যায় ভোটের  হিসেব নিকাশ। দলীয় নেতা কর্মী, ও ভোটারদের মাঝে চলছে পক্ষ বিপক্ষ অবস্থান।
শুরু হয়ে যায় (উখিয়া-টেকনাফ) লক্ষি আসনের জন্য উভয়ের পক্ষ বিপক্ষ সভা সমাবেশে মিছিল মিটিং চলছে, চলছে গান-বাজনা নিয়ে মাইকিং।
চেলেঞ্জের মুখামুখি হয়েছে নৌকা ও ঈগল, কে হবেন উখিয়া টেকনাফ লক্ষ আসনের কর্নধার।

যেখানে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় হাই কমান্ড নির্বাচন কে অংশ গ্রহন মূলক করতে যে যার ইচ্ছামত প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারবে বলে  ঘোষনা দিলেও প্রার্থীদের পক্ষ- বিপক্ষে বক্তব্য  ভোট ব্যাংকে দলকে ধ্বসের দিকে নমাতে বলে ধারণা করেছেন অভিজ্ঞ মহল।
উলেখ্য যে, (উখিয়া-টেকনাফ)  নির্বাচন এলাকা লক্ষি আসনে ৪জন প্রার্থী রয়েছে। জাতীয় পাটি, তৃণমূল বিএনপির, ইসলামী ঐক্যজোট, ন্যাশনাল পিপলস্ পাটির, কংগ্রেস পাটির নির্বাচন করলেও মূলত হাড্ডা হাড্ডি প্রতিদ্বন্ধিতা নৌকাও ঈগল প্রতীকের মধ্যে।
আগামী ৭ই জানুয়ারি দেখা মিলবে এই লক্ষি আসনের কর্নধারে নামের তালিকা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জুলাই অভ্যুত্থান কারো একক নেতৃত্বে হয়নি, বৈষম্য বিরোধী প্লাটফর্ম গুটিয়ে নেয়া অবান্তর।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্মেলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা বলেছেন, ইদানীং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছে এই প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান কারো একক নেতৃত্বে হয়নি। যখন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীরা অনেকটা আপোষের দিকে যাচ্ছিল, তখন আমরা চট্টগ্রাম থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলাম। আমরা

লাশের উপর দিয়ে আপোষ করতে পারব না, প্রয়োজনে ঢাকাকে বাদ দিয়ে আমরা আন্দোলন চালাব। তাছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো আমরা অনেকেই আছি, যারা নতুন রাজনৈতিক দলে যাইনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম জোনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে আয়োজিত  সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের সমন্বয়করা।

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, সদস্যসচিব হোসাইন মাসুম, মুখ্য সংগঠক রুবায়েত সম্রাট ও মুখপাত্র তানিয়া আক্তারসহ অন্যান্য সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই মাসের চেতনাকে ধারণ করে এই কমিটি ন্যায়বিচার ও সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করবে। শিক্ষার্থীরা যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় এবং তাদের ন্যায্য অধিকার পায়, সে লক্ষ্যে এই কমিটি সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাঈম, চৌধুরী সিয়াম এলাহী এবং রিদুয়ান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কমিটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, এই কমিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, “আন্দোলনের মাঝামাঝি সময়ে যখন সব স্থানে পুলিশ র‍্যাব যৌথভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করছিল, তখন ঢাকায় রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের হাল ধরেছিল। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যাদের শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন, এখন তারা কথা বলতে শিখেছে। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই বিপ্লবের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা, মুজিববাদী আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করা এবং গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সমুন্নত রাখতে একটি সার্বজনীন ব্যানার হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহাত্ম্য বজায় রাখা হবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী সিয়াম ইলাহী বলেন, ‘  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো আমরা অনেকেই আছি, যারা নতুন রাজনৈতিক দলে যাইনি। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে খুব শীঘ্রই নতুন করে ঢেলে সাজাব এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অসম্পূর্ণ কাজগুলো, যেমন আন্দোলনকারীদের মামলা নিষ্পত্তি, আহত-নিহত পরিবারের পুনর্বাসন, গণহত্যা কারীদের বিচারের জন্য কাজ করব। অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম
হিসেবে আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পর যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারের আলোচনা সমালোচনা করেছি, তেমনি গণ-অভ্যুত্থানের উপর দাঁড়ানো দলের আলোচনা এবং সমালোচনাও করব। তরুণদের রাজনীতিতে আসার যে নতুন সুগম পথ তৈরি করে দিয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল, তার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের স্বাগত জানাই, আমাদের প্রত্যাশা তাদের হাত ধরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাঈম বলেন, “সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন কোনো প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি জুলাইয়ের ২০ তারিখেই আমাদের আহ্বায়ক মঞ্জু ভাইয়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় এবং এতে ৩৫ জন সদস্য ছিল। সুতরাং, জুলাইয়ের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একক সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারবে না। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর নবগঠিত কমিটির সবাই আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে এবং তাদের কর্মপরিকল্পনা আপনাদের জানিয়েছেন। আশা রাখছি তাদের হাত ধরে জুলাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে।”

এতে আরও বক্তব্য রাখেন নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, “জুলাই কারো একার না, জুলাই কারো বাবারও না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসী ছাড়া কারো অবদানকে ছোট করে দেখার কোনোভাবেই সুযোগ নেই। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী দেখা গেছে আন্দোলনের অন্যতম স্টেকহোল্ডার প্রাইভেটিয়ান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অনেক দিক থেকে মাইনাস করার পাঁয়তারা করছে। অথচ আমরা আমাদের ভাইদের রক্ত দেখে বসে না থেকে প্রাইভেট পাবলিক সবাই একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন সফল করি। এখন কেন বেসরকারি, মাদ্রাসা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক বলে আড়চোখে দেখবে? আমাদের কথা হবে চোখে চোখ রেখে, কাজ হবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কেউ দাদাগিরি করতে আসলে তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা।

আমাদের এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি কাজ করবে জুলাই স্পিরিট ধারণ করে। কাজ করবে জুলাই আকাঙ্ক্ষা পূরণে। হাসিনার ফ্যাসিবাদী সময় থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত যত গুম, খুন, ধর্ষণ, হত্যা হয়েছে, সব কিছুর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই করব। আমরা কাজ করব আমাদের নিহত ও আহত সহযোদ্ধাদের পুনর্বাসনে। এবং আমাদের আরও কাজ হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে।”

নবনিযুক্ত সদস্য সচিব হোসাইন মাসুম বলেন, “জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সবখানে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা নতুন কমিটির পক্ষ থেকে এই বৈষম্যের অবসান চাই।”

মুখপাত্র তানিয়া আক্তার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব বিপ্লবীদের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, তাদের অচিরেই মামলা থেকে খালাস দিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা আহত হয়েছিল, তাদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।”

এখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম সোহাগ, সহ-মুখপাত্র হুরাইন হুরে, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় এর আহবায়ক মুহাম্মদ রাফিউ প্রমুখ।

বন্দরটিলা শাহ্ প্লাজা জামে মসজিদে পবিত্র খতমে তারাবীহ হাফেজদের ফুলেল সংবর্ধনা।

নগরীর দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় ঐতিহ্যবাহী শাহ প্লাজা মার্কেটস্থ শাহ প্লাজা জামে মসজিদে ১৫ মার্চ দিবাগত ১৪ রমজান রাতে পবিত্র খতমে তারাবীহ নামায সম্পন্ন করায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে কোরআন হাফেজ আদায়কারীদেরকে ফুলেল শ্রদ্ধা ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

অত্যন্ত সুন্দর ও সুলীল কন্ঠে তিন ক্ষুদে কোরআন এ হাফেজ মুহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, হাফেজ মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ও হাফেজ মুহাম্মদ ওমর বিন খালেদ শেষ পর্যন্ত নির্ভুলভাবে খতমে তারাবীহ নামায আদায় করে। তাদেরকে হাদিয়া, উপহার সামগ্রীসহ এক অনন্য সম্মান জানানো হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির মোতোয়াল্লীদের পক্ষে মোহাম্মদ শাহরিয়ার রুবেল, মোঃ শাহনেওয়াজ, শাহ্ প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংস্কৃতি সংগঠক মোঃ শাহজাহান সাজু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মিঠুন, অর্থ সম্পাদক মোঃ হাসান ইমাম মনি, মোঃ সোলায়মান সওদাগর, মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ বেলাল উদ্দিন ,খতিব মাওলানা মোঃ সেলিম উদ্দিন কুতুবি, মোয়াজ্জেম মোঃ ফোরকান , মোঃ জামাল হোসেন সওদাগর সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী গণ, কর্মচারীদের প্রতিনিধি এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খতমে তারাবীহ নামায আদায় শেষে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ সেলিম উদ্দিন কুতুবি সাহেব। পরিশেষে বিশেষ তবারুক বিতরণ করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ