আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনী খবর চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম-৮ আসনে কেটলি–ফুলকপি ভাগাভাগিতে কোনঠাসা লাঙ্গল।

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম ৮ আসন কার, সালাম সোলেয়মান নাকি বিজয়ের।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের এমপি নোমান আল মাহমুদকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল।
মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে নোমান আল মাহমুদকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সোলায়মান আলম শেঠকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে ছেড়ে দেওয়া হয় আসনটি।

তবে আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেটলি প্রতীকে নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম এবং ফুলকপি প্রতীকে নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক কাউন্সিল বিজয় কুমার চৌধুরী।

এই দুই শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বোয়ালখালী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দুই ভাগ হয়ে কেটলি ও ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নামার কারণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটি দেখার একধরনের কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কেটলি–ফুলকপির ভাগাভাগিতে লাঙ্গলের ভোটে জেতা নিয়েও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেখা যায় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সোলাইমান আলম শেঠকে। তবে বোয়ালখালীতে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মতো সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থানে নেই জাতীয় পার্টি।

ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভিড়ে জাতীয় পার্টি ভোট লড়াইয়ে শেষমেষ জয়ী হতে পারবেন কিনা এটাই এখন বোয়ালখালীর জনসাধারণের মাঝে আলোচনা চলছে। অন্যদিকে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, বোয়ালখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকারিয়াসহ তাদের নেতা-কর্মীরা কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেখা যায়।

অপরদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীর ফুলকপি প্রতীকের পক্ষে বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র ও দক্ষিণ জেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহুর, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজাসহ তাদের নেতা-কর্মীরা বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন।

বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম–৮ আসনে আমাদের দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রার্থী নেই। সেহেতু জেলা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে যার যে প্রার্থীকে ভালো লাগে, তারা তার পক্ষে কাজ করতে কোন বাধা নেই। তবে নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগেও যদি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত আসে তা মাথা পেতে নিব। এখনো পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ভোটের মাঠে কোনো প্রার্থীকে বাধা প্রদান করা যাবে না। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। সবাইকে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনী প্রচারণা করতে হবে। আমি কেটলি প্রতীকে আবদুচ ছালামের পক্ষে প্রচার প্রচারণা করছি। অন্য কেউ যাকে পছন্দ হয় তার পক্ষে কাজ করবে। তাতে দলীয় কোনো বাধা নেই।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, অসামপ্রদায়িক রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। কে কাকে ভোট দিবে সেটা বলা যাচ্ছে না। আমি বিজয় কুমার চৌধুরীর পক্ষে কাজ করছি সেটা সবাই জানে। বিজয় কুমার চৌধুরী আমাদের বোয়ালখালী সন্তান বিধায় তার পক্ষে আমরা কাজ করছি। কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী থাকুক আর না থাকুক জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সাধারণ ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে যায়, সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে। সে হিসেবে প্রার্থী হয়েছি।

মাঠে নৌকা না থাকায় সাধারণ জনগণ ও রাজনীতিবিদরা যাকে খুশি ভোট দিতে পারে। যে উন্নয়ন করবে জনগণ তাকেই ভোট দিবে। আমি নগরে ৪১টি ওয়ার্ড সাজিয়েছি। বোয়ালখালী উন্নয়ন করা কোনো বিষয় নয়। আমি নির্বাচিত হলে বোয়ালখালী একদিন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন হবে। সুতরাং বোয়ালখালীবাসী আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে। ফুলকপি প্রতীকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী বলেন, আমি বোয়ালখালীর সন্তান। সুতরাং বোয়ালখালীর জনসাধারণ বোয়ালখালীর ছেলে হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ