আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঝালকাঠির দু’টি আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমু – ওমর বিজয়ী, প্রথম নৌকার প্রার্থী ওমর

মশিউর রহমান রাসেল ঝালকাঠি প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঝালকাঠি -১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ৭৬ বছরে বয়সে তিনি এই প্রথম আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতিকে প্রথমবারে তিনি নৌকায় ভোট দিয়েছেন। ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু ১লাখ ৩৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। টানা চতুর্থথবারে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝালকাঠির দুটি আসনে ২৩৭কেন্দ্রের ফলাফলে বেসরকারীভাবে চুড়ান্তভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় এই ফলাফল আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন।

প্রাপ্ত ফলাফলে, ঝালকাঠি -১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪ ভোট।
এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ট্রাক প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭০ভোট, প্রার্থীতা থেকে সরে যাওয়া এম মনিরুজ্জামান মনির ঈগল প্রতিকে পেয়েছেন ৬২৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি মজিবুর রহমান ডাব প্রতিকে পেয়েছেন ১৪২ভোট, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ প্রতিকে জসিম উদ্দিন তালুকদার পেয়েছেন ২৮২ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকে এজাজুল হক এজাজ পেয়েছেন ১২৭২ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত মামুন সিকদার ছড়ি প্রতিকে পেয়েছেন ৯৭ভোট। এ আসনে মোট ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন একলাখ তের হাজার ১৫জনে, এর মধ্যে বৈধ ভোট ৯৯৮৯০টি এবং বাতিল হয়েছে একহাজার চারশত পচিশটি। এ আসনের মোট ৯০টি কেন্দ্রের ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী শতকরা ৪৭.৭৮ ভাগ ভোটার ভোট প্রয়োগ করেছে।

অপরদিকে ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু ১লাখ ৩৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিন এমরান পেয়েছেন ৪,৩১৭ ভোট। এছাড়াও আম প্রতিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. ফোরকান পেয়েছেন ৩হাজার ২৫০ভোট। এ আসনে মোট ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন একলাখ ছিচল্লিশ হাজার ৭৫৭জনে, এর মধ্যে বৈধ ভোট ১৪৪৫৬৮টি এবং বাতিল হয়েছে দুইহাজার একশত উননব্বইটি।
এ আসনের মোট ১৪৭ টি কেন্দ্রের ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী শতকরা ৪২.৯০ ভাগ ভোটার ভোট প্রয়োগ করেছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় এই ফলাফল আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে ফালাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালেক এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর লে. কমান্ডার রউফ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ