আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নিজেই ভোট দিতে পারেনি কল্যান পাটির ইব্রাহিম

এম মনির চৌধুরী রানা

নিজে ভোট নাদিয়েও এমপি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের নির্দেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলেও নিজেই ভোট দিতে পারেননি ওই আসনে। চকরিয়া-পেকুয়ার ইবরাহিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতির জাফর আলমের বিরুদ্ধে। কিন্তু নির্বাচন চলাকালীন দুপুরে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এরপরও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জাফর পান ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট। চকরিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম এবং পেকুয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও থোয়াইহলা চৌধুরী জানান কক্সবাজার-১(চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৪ জন। মোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫৮টি। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৩টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কর্মকর্তা।

১৫৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১০ হাজার ১৪৭ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৩৬৭টি ভোট। ফলে মোট বৈধ ভোট ধরা হয় ১ লাখ ৭ হাজার ৭৮০টি। স্থগীত করা ৩ কেন্দ্র হলো চকরিয়ার চরণদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মরংগোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই ৩ কেন্দ্রে প্রায় ৯ হাজার ভোট রয়েছে।

জানা গেছে,বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম পেয়েছেন ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট। ট্রাক প্রতীকের জাফর আলম পান ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট। এই আসনে আরও ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে ও তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছেন। চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে বহু আশা নিয়ে চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলমকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিল।

কিন্তু গত ৫ বছরে তিনি এলাকায় কোনো উন্নয়ন করেননি। তিনি নিজের আখের গুছিয়েছেন। নিজের কাছের লোকজনকে দিয়ে ‘জাফর লীগ’ সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জমি দখল, চিংড়িঘের দখল, গরু চোর, ডাকাতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এলাকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাই মানুষ জাফর আলমের বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছে ব্যালেটের মাধ্যমে।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন এই বিজয় জুলুমবাজের বিরুদ্ধে, দখলবাজের বিরুদ্ধে, চুরি-ডাকাতের বিরুদ্ধে। আমি নিজে ভোট দিতে না পারলে ও এই এলাকার মানুষ এভাবে আমাকে ভোট দিবে, আমি কখনোই কল্পনা করতে পারিনি। তাই এই আসনের ভোটার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সকলের কাছে প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণার সময় আমি যেসব ওয়াদা দিয়েছি, তা পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এলাকায় উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার সবই করবো। কোনো চোর-ডাকাত, জমি, চিংড়িঘের দখলবাজ এবং সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সড়ক সংস্কারে জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে চসিক: মেয়র ডা. শাহাদাত

জনভোগান্তি নিরসনে সড়ক সংস্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শীঘ্রই জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন মেয়র। সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। সভায় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদার অনুপস্থিত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এসময় মেয়র বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মানসম্মত ও টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা হবে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ও গলিপথের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে আমরা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেব।”

এসময় মেয়র আরও বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজে গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে হবে। যেসব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করছেন না, তাদের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করুন। কোনো প্রকৌশলী দায়িত্বে ফাঁকি দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন। যদি লোকবল ঘাটতি থাকে, তবে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করুন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু সাময়িক মেরামত নয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
মেয়র আরও নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবহৃত বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো ঠিকাদার যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে মামলা করুন। কাজের মান বজায় রাখতে কোনো প্রকার আপস করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে রোড সাইন ও সচেতনতামূলক বার্তা স্থাপন করতে হবে, যাতে জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সাবধানে চলাচল করতে পারেন। পাশাপাশি, সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সভায় উপস্থিত প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেয়রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমসহ প্রকৌশলীবৃন্দ।

টেকসই জ্বালানির দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন: নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের আহ্বান

টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দাবিতে আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN, এবং BWGED-এর যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও থানাস্থ প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মী ও সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর দিক এবং নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়াই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পথ। এলএনজি ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।”

প্রচারণা কর্মসূচিত সংহতি জানা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর চট্টগ্রাম সমন্বয়ক সৈয়দ আবুল হাসান আজামী, আইএসডিই বাংলাদেশের অফিসার রাইসুল ইসলাম, ক্যাব নেতা ও সমাজসেবক জনাব জানে আলম, প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. আবু ইউনুস

বক্তব্যে তারা বলেন: নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হলে সৌর ও বায়ু শক্তির প্রসার ঘটাতে হবে।

এলএনজি আমদানির ফলে জ্বালানির খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যা দেশের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মিথেন নির্গমন বাড়ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করছে। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ালে শুধু বিদ্যুৎ সংকট সমাধান হবে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

শিক্ষার্থী ও তরুনরা মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন: “জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তিই হোক আমাদের ভবিষ্যৎ!”

“এলএনজি আমদানি বন্ধ কর, নবায়নযোগ্য শক্তিকে সমর্থন কর!” “সবুজ শক্তি, সবুজ ভবিষ্যৎ!”মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ একটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাক। আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই।”

আয়োজক আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN এবং BWGED জানিয়েছে, “আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করব এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আন্দোলনকে বিস্তৃত করব।”

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ