আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ককে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শোকজ

মশিউর রহমান রাসেল ঝালকাঠি প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নির্বাচনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, সরকারী
দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকায় অবস্থান করায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদকে শোকজ করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল তাকে শোকজ করেন। ৬ জানুয়ারি ২৭.২৪-০০১ স্মারকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কঠোর নির্দেশনা অমান্য করায় এ শোকজ দেয়া হয়েছে তাঁকে। ইতিপূর্বে তত্তাবধায়কের বিভিন্ন দুর্নীতি সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার অজুহাতে নিজেকে সৎ দাবি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। এবার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আলোচিত সমালোচিত সেই তত্তাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদকে শোকজ করেছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে এখন তিনি কি বলবেন? এ প্রশ্ন এখন সর্বমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। তথ্যানুসন্ধানে জান যায়, সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক শামিম আহমেদ গত ৭ জানুয়ারি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্মস্থলে না থাকার উদ্দেশ্যে ৫ জানুয়ারি ঝালকাঠি ত্যাগ করেন। তিনি তার ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে ৩ দিনের ছুটির আবেদন করেন বিভাগীয় পরিচালকের কাছে। কিন্তু গত ৬ জানুয়ারি স্মারকের আবেদনে স্বাক্ষর করে ৫ জানুয়ারি কর্মস্থল ত্যাগ করেন। যদিও তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন ৬ জানুয়ারি অফিস শেষে কর্মস্থল ত্যাগ করতে ইচ্ছুক। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এবিএম ইমাম হোসেনকে তত্তাবধায়কের দায়িত্ব দিয়ে যান। তত্তাবধায়কের দায়িত্ব প্রাপ্তির চিঠি কত তারিখ পেয়েছেন জানতে চাইলে ডা. ইমাম হোসেন জানান, ৬ জানুয়ারি মেইলে পেয়েছি। কার মেইল থেকে চিঠি পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিরব থাকেন।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানতে পেরে এর সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে তারা খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বরিশাল বিভাগের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এ শোকজ দেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিতির জন্য তত্তাবধায়ককে ৩ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের এই কঠোর নির্দেশনা থাকলেও আপনি একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে থেকেও নির্বাচনের আগের দিন কর্মস্থল ত্যাগ করেন। যা অনভিপ্রেত ও গণকর্মচারী শৃংখলা আচরণ বিধি পরিপন্থি। তাই কেন এই সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন পত্র প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শামিম কর্মস্থলে যোগ দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানী ও শোকজ করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করছেন। এমনকি নিজের বাসভবনে অবৈধভাবে সরকারি এসি ব্যবহার, ডাক্তার কোয়াটারে তার সমর্থিত আউটসোর্সিং এর গাড়ি চালককে বসবাসের সুযোগ দেয়া, রংপুরে থাকাকালিন সেখান থেকে সরকারি ল্যাপটপ নিয়ে আসা, সরকার নির্ধারিত বাসা ভাড়া কর্তন না করা, নিজের স্বার্থে হাসপাতালের ঔষধ
ক্রয়ে ব্যর্থতার কারণে বরাদ্দ অর্থ ফেরত যাওয়া, বর্তমানে ঔষধের চরম সংট সৃষ্টি হওয়া, হাসপাতালের কোটি কোটি টাকার মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি ক্রয়ে পছন্দনীয় ব্যক্তিকে কাজ দিতে ঝালকাঠির প্রত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ঝালকাঠির বাইরের পত্রিকায় চাপা বিজ্ঞপ্তি দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয় দুর্নীতি কওে যাচ্ছেন তিনি। এসব সংবাদ বিভিন্ন দৈনিক ও প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত হলে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেকে সৎ দাবি করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তত্ত¡াবধায়ক ডা. শামিম সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ইচ্ছানুযায়ী ছুটির কথা বলে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। যার জন্য তাকে শোকজ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এবার তিনি কি বলবেন? এটাও কি সাংবাদিকদের মিথ্যা অপপ্রচার সেটা দেখার বিষয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। কারা চাঁদা নেন, তাদের নাম প্রকাশের জন্য উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাবের কর্ণফুলী হলে এ অনুষ্ঠান হয়।গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন। যদিও টাকার পরিমাণটি তিনি অনুমানের ভিত্তিতে বলেছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক-বর্তমান কোনো মেয়রের নাম উল্লেখ না করে তিনি ‘মেয়র কম, বন্দররক্ষক বেশি’ এমন মন্তব্যও করেন, যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে, মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন। আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক উনাকে ফোন করি। তিনি বললেন- অতীতে যারা মেয়র ছিলেন তারা জড়িত ছিলেন। আমি বললাম- তাহলে নাম বলুন, কারা তারা?’অতীতে কারা চাঁদা নিতো, সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না, এটা ফোনেই উনাকে বলেছি। আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎ সাহস আমার আছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। প্রতিদিন যদি দুই-আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে, মাসে ৬০ কোটি, বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়। অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না। বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। আমার রাস্তাগুলো ৭-৮ টন বহনক্ষম। সেখানে ২০-৪০ টনের গাড়ি চলছে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়। ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উলটো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। যে সাংবাদিকতায় মানুষের চরিত্রহনন হয়, তার দায় সাংবাদিকদেরও নিতে হয়। প্রেসক্লাবের উচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, এনসিপি নেত্রী সাগুফতা বুশরা মিশমা এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর, জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, কাজী আবুল মনসুর, মুস্তফা নঈম, সালেহ নোমান, শেখর ত্রিপাঠি, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফারুক মুনির, মুজাহিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল পাশা, ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, লতিফা আনসারি রুনা, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ইবেন মীর, শরিফুল রুকন, মাহফুজুর রহমান, সরোজ আহমেদ, নুরুল আমিন মিন্টু, শাহাদাত হোসেন আবু সায়েম, জহুরুল আলম, আজিজা হক পায়েল, কিরণ শর্মা, আফসানা নুর নওশীন, অভীক ওসমান ও গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুল্লাহ চৌধুরী এ কমিটি ঘোষণা করেন।—

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তফা নঈম, সহ-সভাপতি ডেইজি মওদুদ, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ, অর্থ সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল খান, গ্রন্থাগার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক হাসান মুকুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সালেহ নোমান, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী এবং আরিচ আহমেদ শাহ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ