আজঃ রবিবার ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

তারাকান্দায় বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি,দাঙ্গা হাঙ্গামা নিরসনের লক্ষে পুলিশ উভয় পক্ষদ্বয়কে নোটিশ দিয়েছেন।
জানা গেছে,উপজেলার তারাকান্দা সদরের উত্তর বাজার মোকামিয়াকান্দা মৌজাস্থ বিআর এস-খতিয়ান -২৮,দাগ-১০৯ এ ২ শতাংশ ভুমি পূর্ব তালদিঘী গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র রুবেল মিয়া (৩১) বিআরএস রেকর্ড ও জমা খারিজ মূলে জসিম উদ্দিন খোকা এর নিকট থেকে ১২৪ নং সাব কাওলা রেস্ট্রি দলিল মূলে ক্রয় করে এবং নির্মাণ কাজ শুরু করে তখন প্রতিপক্ষ শাহিনুর আলম গং বাধা দেয়।
এ ব্যাপারে সুবিচারের আশায় রুবেল মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃবিঃ ১৪৪ ধারা মোকাদ্দমা দায়ের করে। গতকাল বৃহস্পতিবার তারাকান্দা থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশ মতে শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রক্ষা স্বার্থে উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করে।
এ ব্যাপারে রুবেল মিয়া জানান,দাতার দখল কৃত ২ শতাংশ পতিত ভুমি সাব কাওলা বিক্রি করে। রেজিষ্ট্রি সাব কাওলা দলিল মুলে ক্রয় করার পর দাতা ভুমির দখল বুঝাইয়া দেয়। তারপর উক্ত ভুমিতে নির্মাণ কাজ করতে থাকলে প্রতিপক্ষগংরা বাধা ও নানান হুমকিদেয়। এ বিষয়ে সু বিচারের আশায় রুবেল মিয়া বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ধারা মোকাদ্দমা দায়ের করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

‎শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা

‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা হল রুমে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুশফিকুর রহমান,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুদ রানা,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম আলী,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ – আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এস এম শাহাদাত হোসেন, উপজেলা প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন সহ উপজেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ,

উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও এলাকার সূধী মহল। প্রায় দুই বছর যাবৎ ধরে মোঃ কামরুজ্জামান এই উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। এই দুই বছরে তিনি উপজেলায় প্রায় সকল মানুষের মন জয় করেছিলেন। বিশেষ করে দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও করেছেন তিনি। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হযরত মখদুম শাহদৌলা শহীদ ইয়েমেনী (রহ.) এর মাজারের কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিলো সে কাজ এখন সম্পন্ন হওয়ার পথে এই কাজটা নির্বাহী মোঃ কামরুজ্জামানের অবদান, উপজেলার পৌর শহরটাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে উপজেলার প্রধান প্রধান পয়েন্ট তিনি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেছিলেন। উপজেলা পরিষদের পুকুরটি দীর্ঘ দিন যাবৎ অবহেলিত হয়ে পরেছিলো তিনি পুকুর সংস্কারের কাজ করে সেখানে মানুষের বিশ্রামের উপযোগী করে তুলেছেন। উপজেলার পৌর পার্কের উদ্ধোধন ও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় তিনি অসহায় দুস্থ গরীবের সন্তানদের লেখা পড়ার সুযোগসহ তাদের পাশে দ্বাড়িয়েছিলেন কন কনে শীতের মধ্যে রাতে পৌর শহরে নিজে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষকে খুজে বের করে সরকারি অনুদানের কম্বল বিতরণ করেছিলেন। এক কথায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান ছিলেন একজন মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা। তার আচারনে শাহজাদপুরবাসী মুগ্ধ। তার বিদায় বেলায় শাহজাদপুরের বেশির ভাগ সাধারন মানুষ অশ্রু সিক্ত।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ