আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

রাণীশংকৈলে ঠান্ডাাজনিত সমস্যায় শিশু ও বয়স্করা

সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

রাণীশংকৈলে ঠান্ডাাজনিত সমস্যায় শিশু ও বয়স্করা
সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাপক হারে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, অ্যাজমা, চর্মরোগ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে সব বয়সের মানুষ। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বয়স্করা। প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ কিছুটা বেড়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সরেজমিনে দেখা যায়, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া নিয়ে শুধু শহর থেকেই নয়, রোগী আসছে প্রত্যান্ত গ্রাম থেকেও। আবার অনেকেই বহিরবিভাগ থেকে সাথে সাথে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন যাচ্ছেন ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে দেখা যায়, উপজেলার হোসেনগাঁও এলাকা থেকে আজাঝারুল ইসলামের স্ত্রী ২০ মাসের মেয়ে নিয়ে ডায়রিয়াজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সুন্দরী মোড়ের শামসুদ্দীনের ১২ মাসের শিশুকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, ডায়রিয়া সমস্যায় ভুগছে তার শিশুটি। পরিবারের প্রথম সন্তান তাই চরম দুঃশ্চিন্তার মধ্যে আছেন তারা। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছেন।
এদিকে হাসপাতালের আরেক বেডে মুরসালিন নামে ১৮ মাসের শিশুকে আমগাঁও এলাকার সোহেল নামের এক বাবা ডাইরিয়া অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে তাদের শিশুটি এখন বেশ সুস্থ্য আছে বলে জানান তার পরিবারের লোকজন।

এদিকে শীতের শুরতেই ঠান্ডাাজনিত সমস্যায় ভুগছে বেশি করে শিশুরা। অনেকেই দূরদুরান্ত থেকে তাদের প্রিয় সন্তাানটিকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন এমন কথায় জানালেন রুগীদের স্বজনরা।

রাণীশংকৈল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আর,এম,ও ডাক্তার ফিরোজ আলম বলেন, “আমরা রোগীর স্বজনদের পরামর্শ দিচ্ছি শিশুদের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হতে। বিশেষ করে গরম কাপড় পরানো, উষ্ণ গরম পানি পান করাতে বলছি।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকতার্ আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, “শীতের কারণে কিছু রোগী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসলেও চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছে । হাসপাতালে শিশুরোগীসহ অন্যান্য রোগীদের ঔষুধ সরবরাহ ঠিকমতো চলছে। তবে আতঙ্কের কারণ নেই, সময়মত বাচ্চাদের যত্ন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই সুস্থ হবে শিশুরা।”ং

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন ,উত্তরের প্রত্যন্ত এ এলাকায় প্রকৃতিতে ক’দিন আগে থেকেই মিলছে কন্ কন্ েশীতের অনুোভূতি। এ অবস্থায় কিছুটা বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা, যাদের অধিকাংশই শিশু। ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা নিউমোনিয়ায় অসুস্থ শিশুদের নিয়ে স্বজনেরা হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা নিচ্ছেন। যদিও এ অবস্থায় রাণীশংকৈলে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা, যাদের অধিকাংশই শিশু। ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা নিউমোনিয়ায় অসুস্থ শিশুদের নিয়ে স্বজনেরা ভিড় করছেন হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ডাইরিযার রোগীর সংখ্যা ৫২ জন ও নিওমোনিয়া রোগীর সংখ্যা ৪ জন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ