আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

বোয়ালখালীতে তল্লাশির নামে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি

এম মনির চৌধুরী রানা

বিশ দিনের মাথায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবার ও ডাকাতি হয়েছে বোয়ালখালীতে।প্রথমে বৌদ্ধ বিহারের মূল দরজার তালা ভেঙে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিহারের সেবক দীপক মারমাকে জিম্মি করে ডাকাতরা। তার (দীপক মারমা) মাধ্যমে বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীলপ্রিয় মহাথেরের কক্ষে গিয়ে তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা ও সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে নেয়।

এভাবে ক্রমান্বয়ে একে একে সব কক্ষ থেকে লুটপাট করে ডাকাতরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ৪নং শাকপুরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বড়ুয়ার টেক এলাকার প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা বিহারের লোকজনদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, আসনের ভিতরে থাকা দানবাক্সের টাকা, আইপিএস ব্যাটারি, ভান্তের মোবাইল ও দানের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। বিহারের সেবক দীপক মারমা বলেন, আমরা ৪ জন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম।

রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বিহারের মূল দরজার তালা ভেঙে ডাকাতরা ভিতরে প্রবেশ করে।তারপর আসনের ভিতরে থাকা দানবাক্স বের করে তালা ভেঙে টাকা-পয়সা নিয়ে নেয়। এরপর তারা আমার ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে এবং আমাকে বলে তারা নাকি পুলিশের লোক। তারা সংখ্যায় ৪ জন। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। ৪ জনের মধ্যে একজন মুখোশ পড়া অবস্থায় ছিল। তারা আমাকে জিম্মি করে ভান্তের ঘরে নিয়ে যায় এবং বলে যে, আমি যেন ভান্তের দরজা খুলতে বলি। প্রথমে বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীলপ্রিয় মহাথেরের কক্ষে নিয়ে যায়।

সেখানে তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁর কক্ষে থাকা আলমিরা ও সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো করে তল্লাশির নাম করে টাকা, মোবাইল নিয়ে নেয়। বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীলপ্রিয় বলেন, আমার ঘর তছনছ করার পর অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে উপাধ্যক্ষ আনন্দ ভিক্ষুর কক্ষে যায় ডাকাতরা। একই কায়দায় দরজা খুলতে বলে উপাধ্যক্ষের। তারা উপাধ্যক্ষের কক্ষে আলমিরায় ইয়াবা আছে বলে তল্লাশি করতে থাকে।সেখানে থাকা টাকা ও দানীয় স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয় ডাকতরা। পরে ডাকাতদল যাওয়ার সময় সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে দরজা আটকে দিয়ে চলে যায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে তারা ডাকাতি করে চলে যায়।

বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মুসা বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার একই কায়দায় রাত দেড়টার দিকে উপজেলার একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শাহ আমানত ভবনে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি হয়েছিল।এ সময় ডাকাতের দল ৭ টি বাসা থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল, চার ভরি স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এতে সাত পরিবারের প্রায় ১০/১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যম শাকপুরা গ্রামের চলাচল অযোগ্য লালচাঁদ বিহার সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। লালচাঁদ বিহার সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার চলাচল অযোগ্য অংশ সংস্কার করে খানাখন্দ সারিয়ে তোলা হয়। এতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু। দীর্ঘদিন পর শাকপুরা ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের এ সড়কটি ব্যক্তি অর্থায়নে সংস্কার করা হচ্ছে। এ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে মধ্যম শাকপুরা ধ্রুবতারা তরুণ সংঘের সদস্যবৃন্দ।

জানা গেছে, প্রায় এক দশক ধরে সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। এনিয়ে এলাকাবাসী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি, ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সড়কটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়া হয়নি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোনাফ আস্ত গোপনে চলে যান ।

স্থানীয়রা জানান, শাকপুরা এলাকার অন্যতম যাতায়াতের এ সড়কটি টিআর বরাদ্দ দিয়েও সংস্কার করা যেতো। গত ১৭ বছরে এ সড়কের জন্য টিআর বরাদ্দ জোটেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়নি কোনো বরাদ্দ। অথচ শাকপুরা এলাকার বসতি শূন্য বিলের মাঝে সেতু ও সড়ক নির্মাণ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বিগত দিনের টিআর এবং কাবিখা বরাদ্দের তালিকা জন সম্মুখে আনা দরকার।

স্থানীয় বাসিন্দা অধীর বড়ুয়া জানান, শাকপুরা এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ লালচাঁদ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো। সম্প্রতি এলাকাবাসী এটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়ায় সেই ভোগান্তি লাঘব হলো। স্থানীয় ইউপি সদস্য অনুপ দাশ বলেন, সড়কটি উন্নয়ন করা খুবই প্রয়োজন ছিলো। যদিও বিগত সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চললেও সরকারিভাবে এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ব্যক্তি উদ্যােগে এর সংস্কারের কাজ চলছে শুনে ভালো লাগছে।

চট্টগ্রামে ছয় বছরে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু, ফের নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু

চট্টগ্রাম মহানগরে নালায় পড়ে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে হালিশহর আনন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।ওই শিশুর নাম হুমায়রা (৩)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধার শেষে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শিশুটিকে আর বাঁচানো যায়নি। এদিকে গত ছয় বছরে চট্টগ্রাম মহানগরে খাল-নালায় পড়ে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মো. সেলিম জানান, শিশুটি বাড়ির পাশের একটি দোকানে যাওয়ার সময় খোলা একটি নালায় পড়ে যায়। নালার স্ল্যাবটি তোলা থাকায় ওপরে পানি জমে ছিল, ফলে নালাটি বোঝা যায়নি। অসাবধানতাবশত শিশুটি সেখানে পা রাখলে পানির স্রোতে ভেসে যায়।

তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে নালায় পড়ে যেতে দেখে আশপাশের কয়েকজন উদ্ধারের চেষ্টা করলেও পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হলে আমাদের উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তারা দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলায় হিজড়া খাল সংলগ্ন নালায় যাত্রীবাহী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পড়ে যায়।

অটোরিকশায় মায়ের কোলে ছয় মাস বয়সী শিশুসহ তিন যাত্রী ছিলেন। বাকিরা উদ্ধার হলেও শিশুটি তলিয়ে যায়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর সেহেরিশ নামে ছয় মাস বয়সী মেয়েটির লাশ মেলে ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে চাক্তাই খালে।এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সিটি করপোরেশন নগরীর সব খাল-নালার পাড়ে বাঁশের বেস্টনী দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ছয় বছরে নগরে খাল-নালায় পড়ে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২ জন, ২০২১ সালে ৫, ২০২৩ সালে ৩, ২০২৪ সালে ৩ জন এবং চলতি বছর এ পর্যন্ত ২ জন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ