আজঃ সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ময়মনসিংহ:

গৌরীপুরে প্রধান শিক্ষকের অবসরকালীন বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত।

ওবায়দুর রহমান গৌরীপুর ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামুল হক সরকারের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরও বিদায় দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম এসএসসি-২০২৪ এর পরীক্ষার্থীদের ভালোভাবে মনযোগ সহকারে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল প্রত্যাশা ও ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সরকার এই বিদ্যালয়ে ২০ বছর দক্ষতা ও নিপুণতার সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচালনা করেছেন। শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর করেছেন। বিদায়ী শিক্ষকের অবসরকালীন সময়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের বিদায়ী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামুল হক সরকার, পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক আহমেদ, মোঃ আব্দুল মুন্নাফ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আব্দুস ছাত্তার, দিলুয়ারা আক্তার, সহকারি শিক্ষক মোঃ আব্দুল হান্নান, এসএসসি পরীক্ষার্থী মারিয়া সুলতানা ঐশি, মেহজাবিন রহমান মাইশা, ঐশি অধিকারী প্রমুখ।
পরে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামুল হক সরকারকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা ফুলেল শুভেচ্ছাসহ বিভিন্ন উপহার প্রদান করেন এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে উপহার তুলে দেয়া হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়েটে তিনদিন ব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স শুরু

বর্তমান বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রসর থাকতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রসর থাকতে হবে।

এ বিষয়ে নতুন জ্ঞান ও উদ্ভাবনে নিরন্তর প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এ জন্য এ বিষয়ে দক্ষ গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত এ ধরনের কনফারেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তিনি আরো বলেন, নতুন গবেষকদের নিয়ে আমরা আশাবাদী। তাদের হাতে ভবিষ্যতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগিয়ে যাবে। এ ধরনের কনফারেন্স নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিবে বলে আমার বিশ্বাস।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের আয়োজনে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে আয়োজিত “2025 International Conference on Electrical, Computer and Communication Engineering (ECCE-2025)” শীর্ষক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইই) বাংলাদেশ সেকশন এর সভাপতি ও চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং ইউজিসি’র হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রজেক্টের পরিচালক ও চুয়েটের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান। কনফারেন্স সভাপতি এবং তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স টেকনিক্যাল সেক্রেটারি ও ইটিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জাহেদুল ইসলাম এবং টিপিসি চেয়ার ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রুবাইয়াৎ তানভীর হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ মোঃ মুরাদ হাসান।

গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, আমাদের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে তথ্য প্রযুক্তিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সমাজে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। নতুনদের বিশ্ব ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য তথ্য-প্রযুক্তি খাতের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ ধরণের কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের তরুন গবেষকদের প্রয়োজনীয় গাইডলাইন প্রদান করবে।

উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী এই আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সে সর্বমোট ১৫টির অধিক দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, সায়িন্টিস্ট, রিসার্চার, স্কলারস, ডিসিশন মেকার্সগণ অংশ নিয়েছেন। এতে ৫টি মূল প্রবন্ধ এবং ৪টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এই কনফারেন্সে সর্বমোট ১১৮৮টি পেপারের মধ্যে ৫২৭টি রিসার্চ পেপার উপস্থাপিত হবে। এর মধ্যে ২৬৩টি অনলাইন প্রেজে›টেশন এবং ২৬৪টি অফলাইন প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকছে ইউজিসি, বিডিরেন, ব্রাকনেট, বিডি অ্যাপ্স ও নেসলে বাংলাদেশ।

রাবিতে ৪ হলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হল ও একটি স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সব নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’, নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের পরিবর্তে ‘শহীদ আলী রায়হান হল’, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে ‘ফাতিমা আল-ফাহরিয়া হল’ ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের পরিবর্তে ‘নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী’ নাম দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ‘রিয়া গোপ মডেল স্কুল’ নাম দেন তাঁরা।

এর আগে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সরেজমিন দেখা যায়, রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে যান। পরে তাঁরা হলটির নামফলক, উদ্বোধনী ফলকসহ শেখ মুজিবের চিহ্ন–সংবলিত স্থাপনাগুলো রড, হাতুড়ি ও কোদাল দিয়ে ভেঙে দেন। এ সময় তাঁরা হলটির নতুন নাম ‘বিজয় ২৪’ ঘোষণা করে রং দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে নাম লিখে দেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নামফলক ভেঙে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নামফলক পরিবর্তনের সময় হলের ভেতর থেকে ছাত্রীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দিকে স্যান্ডেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বাইরে থেকেও কয়েকজন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী হলে অবস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের দিকে ঢিল ছুড়ে মারেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্রীরা হল ফটকে টাঙানো নতুন নাম ফলকের ব্যানার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

হলের ভেতর থেকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের হলের নাম পরিবর্তন আমরা করব। বাইরে থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে কেন সেটি করবে? যেহেতু আগে থেকে ব্যানার নিয়ে আসা হয়েছে, এর মানে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। এ বিষয়ে আমাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলের নাম পরিবর্তন করেছেন। তবে এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। যদি নাম পরিবর্তন করা হয়, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও অংশীজনদের আলোচনার মাধ্যমেই করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ