আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বহিবিশ্ব:

সাইফার মামলায় ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড।

বহিবিশ্ব নিউজ ডেস্ক:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস বা সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত এ রায় দিয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় স্থাপিত এক বিশেষ আদালত এ রায় দিয়েছে। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়কে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথাও জানিয়েছে পিটিআই।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই সাইফার মামলা মূলত একটি কূটনৈতিক নথি বা তারবার্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির অভিযোগ, এই নথি ইমরান খান সরকারের কাছ থেকে নিয়ে নিজের কাছে রেখেছেন এবং কখনোই ফেরত দেননি। পিটিআইয়ের অভিযোগ, এই নথিতে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির প্রমাণ আছে।

ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে এই রায় এমন এক সময়ে এল, যখন দেশটির গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সে বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশন ব্যাপক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। পিটিআইয়ের অভিযোগ, সরকার তাদের বিরুদ্ধে অলিখিত ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে।

এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খানের সাজা হলো। এর আগে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে উপহার নেওয়ার মামলায়ও তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট দেওয়া সেই রায়ে ইমরান খানের তিন বছরের সাজা হয়। তবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁর সাজা স্থগিত করেছিলেন। পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সাজা স্থগিতের বিষয়টি বাতিল করেন।

উল্লেখ্য, ‘সাইফার মামলা নামে’ পরিচিত এই মামলায় প্রথমবারের মতো ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে অভিযুক্ত করা হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। পরে গত নভেম্বরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই মামলাকে অন্তঃসারশূন্য বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলেন কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপন করে এই মামলা চালানো ‘বেআইনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্রে পরিক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে নিহত ২ শিক্ষার্থী।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেব২ শিক্ষার্থী।যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বন্দুকধারীর হামলায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ