
মিনি সুন্দরবন খ্যাত চর কুকরি মুকরি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসাবে পরিচিত। এর অবস্থান ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষা মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা দ্বীপ চর কুকরি মুকরি। শীতের আমেজ এখন প্রকৃতিতে। শীতকাল এলেই বাংলাদেশ থেকে তিন-চার হাজার মাইল দূরের শীতপ্রধান অঞ্চল দেশ গুলো থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে অতিথি পাখি আসে আমাদের দেশের দক্ষিনাঞ্চলের চর কুকরি মুকরিতে।
চর কুকরি মুকরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ বাসেদ স্যার,আলাউদ্দিন মাঝি, মাছ ব্যবসায়ী রফিক ও ছাত্র শাহিন জানান, চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজনের নির্দেশনা অনুযায়ী এই পাখিগুলোকে আমরা কোনো শিকারীদেরকে মারতে দেই না। আমরা পাখিগুলোকে দেখে রাখি। প্রতিবছর এ সময় এখানে আসতে শুরু করে হাজার হাজার অতিথি পাখি এবং গ্রীষ্মকালে তারা চলে যায়।
প্রকৃতি প্রেমি ও পর্যটক মোঃ শরিফ বলেন, চর কুকরি মুকরিতে রং বেরঙের পাখির ঝাঁকে ঝাঁকে এমন ছুটোছুটি মন কেড়ে নিবে যে কোনো মানুষের। এছাড়াও নাম না জানা হাজার রকমের গাছের সঙ্গে সারি সারি নারিকেল গাছ আর বিশাল বালুকাময় চরটি দেখে আমার কাছে মনে হয়েছিল আমি কোনো এক সৈকত পাড়ে আছি।

চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, অতিথি পাখি রক্ষায় এলাকার সমস্ত মানুষকে মাইকিং করে জানিয়ে দেই। যাতে তারা পাখিদের নিধন না করে। এছাড়াও আমাদের গ্রাম পুলিশ সব সময় টহল দেন।
চরফ্যাশন উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে আসা অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরফ্যাশনের চরাঞ্চলগুলো। প্রায়ই দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষটোপ ও মরণফাঁদে প্রাণ হারায় এসব অতিথি পাখি। বাংলাদেশ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং তাদের সহযোগিতা নিয়ে অতিথিদের পাখিদের কেউ নিধন না করে সেই জন্য আমাদের টহল অব্যাহত থাকবে।
