আজঃ সোমবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

মাধবপুরে ১ জনকে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার- ৪ জন

শ্রীবাস সরকার, মাধবপুর প্রতিনিধি

মাধবপুরে ১ জনকে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান সহ গ্রেফতা
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১ জনকে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুরা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও তাদের সজনদের উপর হামলা করে কয়েকজনকে আহত করে। এ ঘটনায় পাবেল (পায়েল) মিয়াক আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হলে সেখানে সে মৃত্যু বরন করে। আহতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা বারেক মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়া (৪৫), শফিক মিয়া (৪০) ও সোমা আক্তার (২৪) কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেজুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বারেক মিয়ার সন্তানরা তাদের নামে রেকর্ডকৃত একটি জমি পিডিএল কোম্পানির প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম খান ও কুহিনূর আক্তার খানম এর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। পরবর্তীতে একই গ্রামের মাহমুদ আলীর পুত্র বজলু মিয়া, বলু মিয়া, মিজান মিয়া, সাজু মিয়া দলিল মূলে এই জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদ খান এর নিকট বিক্রি করেন। শনিবার সকালে পিডিএল কোম্পানির লোকজন এই জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করলে চেয়ারম্যান মাসুদ খান ও তার লোকজন বাধা প্রদান করেন। এরই জের ধরে চেয়ারম্যান এর লোকজন মুক্তিযোদ্ধা বারেক মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়।

আহত শফিক মিয়া বলেন- গত জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলাম আর চেযারম্যান ও তার লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছিলেন। এরই সুত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা করে।

ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খান জানান, পাবেল হত্যায় আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

মাধবপুর চুনারুঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ খান সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

একের পর এক ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরত যাত্রীরা ছিনতাইয়ের স্বর্গরাজ্য আট কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে

চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পতেঙ্গা ও লালখান বাজার ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে মাঝখানে কোথাও উঠার সুযোগ না থাকলেও একের পর এক ছিনতাই হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়েতে কয়দিন বিরতির পর পর ঘটছে ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনা। আর এসব ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে বিদেশ ফেরত যাত্রীরা। এদিকে পতেঙ্গা ও বন্দর থানা পুলিশ দিনে এবং রাতে দুই শিফটে ডিউটি করছে এক্সপ্রেসওয়ের উপর।কিন্তু ছিনতাইকারীদের দৌরত্ব থামছেনা।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ওসি কাজী মো. সুলতান আহসান উদ্দিন জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে দিনের বেলায় পতেঙ্গা ও রাতের বেলায় বন্দর থানার দুটি টহল দল পালাক্রমে ডিউটি করছে।পুলিশ সজাগ রয়েছে। অন্যদিকে ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ জানান, ফ্লাইওভারে উঠে ডিউটি করার আমাদের সুযোগ নেই। কারণ আমাদের উঠতে হলে পতেঙ্গা অথবা লালখান বাজারে যেতে হয়। তবে সম্প্রতি পতেঙ্গা ও বন্দর থানা পুলিশ ফ্লাইওভারে ডিউটি করে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যেসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে- তার ১০টি যদি আপনি এনালাইসিস করেন- প্রায় সবগুলোই ঘটছে রাত ১০টার পর থেকে ভোরের মধ্যে। কারণ সেখানে আলোকায়ন, সিকিউরিটি ফোর্স, নজরদারির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। যারা অপরাধী তাদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাও হচ্ছে না।

তিনি বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন। পুলিশের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি মোটরসাইকেল পেট্রোলিং বাড়ানো যায়। যারা টোল আদায় করেন- তারাও প্রাইভেট সিকিউরিটি ফোর্স রাখতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরি- অপরাধীদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে নজর দিলে সেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে আসবে।
জানা গেছে, তিন বছর আবুধাবি থেকে দেশে আসে সুমন দাশ। নগরীর দেওয়ানবাজারের বাসিন্দা অমল দাস ছেলেকে আনতে যান চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে। দীর্ঘদিন কাছে পাওয়া ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা প্রবাসী সুমনের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। গত ৬ আগস্ট রাত নয়টায় নগরীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ওই রাতে পরিচিত একজন ট্যাক্সি চালক নিয়ে বিমানবন্দর থেকে সুমনকে আনতে গিয়েছিলেন তার বাবা। রাত আনুমানিক নয়টায় বিমান বন্দর থেকে বের হয়ে ট্যাক্সি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে। কিছুদূর চলার পর পেছন দিক থেকে আসা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস ট্যাক্সিকে ধাওয়া করে। ট্যাক্সিটি না থামলে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে থামায়। মাইক্রোবাস থেকে মুখোশ পরা ৮/৯ জন ছেলে নেমে প্রথমে ট্যাক্সির কাঁচ ভেঙ্গে দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে সুমনকে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা, পাসপোর্ট ও লাগেজ কেড়ে নেয়। পরে তারা সুমনকে স্বর্ণ দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ট্যাক্সি চালককে ছেড়ে দিয়ে সুমন ও তার বাবাকে মাইক্রোতে তুলে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সুমনের কাছ থেকে তারা নগদ টাকা, পাসপোর্ট, লাগেজ সবকিছু কেড়ে নিয়ে রাত ১২ টার সময় ছেড়ে দেয়। পরে সীতাকুণ্ড এলাকায় ডেকে নিয়ে সুমনকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়।

গত ২৭ অক্টোবর সকাল দশটায় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরেন ইমরান মুন্না। সোলেমান নামে এক আত্মীয় বিমানবন্দর থেকে মুন্নাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের বহনকরা সিএনজি ট্যাক্সি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাঠগড় বাজার অংশে পৌঁছালে তাদের গতিরোধ করা হয়। অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের অন্য একটি গাড়িতে তুলে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ঘণ্টাখানেক পর অক্সিজেন এলাকা থেকে অপহৃত মুন্নাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বায়েজিদ থানা থেকে সদ্য বদলিকৃত ইপিজেড থানার ওসি মো. মো. কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার পর পর অক্সিজেন এলাকা থেকে সুমন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। প্রবাসীর খোয়া যাওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনার শিকার মুন্নাকে মামলা করার জন্য অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি মামলা করতে রাজি হননি।

এদিকে দুবাইয়ের চায়না মার্কেটের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হাটহাজারীর মেখলের বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন রনি গত ১৪ জুলাই ভোরে তিনি শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামেন। বড় ভাইকে আনতে বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। তিনিও দুইমাস আগে বাইরাইন থেকে দেশে আসেন। সাহাব উদ্দিন জানান, বিমান বন্দর থেকে বের হয়ে সকাল সাড়ে আটটায় দুইভাই প্রাইভেটকারে হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ের টোল বক্স পার হয়ে আনুমানিক দ্ইু কিলোমিটার যেতেই একটি কালো মাইক্রোবাস তাদের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে।

মাইক্রো থেকে সাত আটজন যুবক নেমে ছুরি দিয়ে প্রথমে গাড়ির চাকা ফাংচার করে দেয়। আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর বয়সী এসব যুবকদের হাতে হাতে ওয়াকিটকি ও অস্ত্র ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে ১০০ গ্রাম স্বর্ণের অলংকার, একটি স্যামসাং ট্যাব, একটি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স, একটি স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রাসহ মোট পাঁচটি মুঠোফোন, ৫০০০ ইউএস ডলার, ৪৫০০ দিরহাম ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়। এতে প্রায় ২৬ লাখ টাকার ক্ষতির শিকার হন তিনি। এ বিষয়ে প্রবাসী শাহাব উদ্দিন বলেন, তারা আমাদের দুই ভাইকে খুবই মারধর করেছে। নিরাপদ মনে করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমর ধারণা ভুল ছিল বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রামে শ্রমিকদল নেতার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

  •  চট্টগ্রামে শ্রমিকদল নেতার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের মধ্যম সরফভাটা গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে খুন করে সড়কে ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।নিহত আবদুল মান্নান (৪০) সরফভাটা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নে হলেও কিনি পরিবার নিয়ে রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা এলাকায় বসবাস করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
  • দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। অন্ধকারে নির্জন সড়কে গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত অবস্থায় মান্নান পড়ে ছিলেন। পাশে একটি মোটর সাইকেল পড়ে ছিল। তার শরীরে চারটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি বাম চোখের কাছে, বাম হাতে একটি এবং পেটের ডানপাশে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
  • ওসি বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছেন, তিনি (মান্নান) চন্দ্রঘোনা থেকে নিজ বাড়িতে তেমন আসেন না। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবার কথা ছিল। সেখানে না গিয়ে কেন তিনি সরফভাটায় এলেন, সেটা পরিবারের সদস্যরাও জানেন না।

প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, আবদুল মান্নান বিদেশে ছিলেন। সরকার পতনের পর দেশে ফিরে আসেন। মোটর সাইকেলটি তার নিজের। তবে তার মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। তদন্তের পর জানা যাবে, কারা কেন তাকে খুন করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ