আজঃ রবিবার ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

বিএনপি’কে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিলেন সেতুমন্ত্রী।

ঢাকা অফিস:

রাজনীতি:

পরবর্তী আন্দোলনের কথা না ভেবে বিএনপি’কে এখন থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের যৌথ সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন করবে তাদের দলের নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব জেল থেকে বের হয়ে আবার দিবা স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায় না। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের যে ইস্যু খুজে পাওয়া যায় না বিএনপি’র সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া উচিত। যৌথ সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতি নিয়ে জানান, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য বিরাট সম্মান বয়ে এনেছেন। আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের গুরুত্ব নিঃসঙ্কোচে মেনে নিয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানটা আমাদের শত্রুতার জন্য অনেকের উর্বর ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর, সেন্টমার্টিনের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি অনেক বাজপাখির রয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছেন।

এ সময় দলের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নতুন করে গঠনসহ দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের দলীয় সভাপতির নির্দেশনার কথা জানান সড়ক পরিবহণমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মেয়াদীত্তীর্ণ বিভিন্ন শাখার সম্মেলন, সহযোগী সংগঠনের প্রত্যকের অসমাপ্ত সম্মেলন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় বিলম্বসহ সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান করা জরুরী। বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্তরা সব শাখা গুলোকে ঢাকায় ডেকে বসতে পারেন। সমস্যা ও বিরোধ থাকলে তা সমাধানে অনতিবিলম্বে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী সম্পৃক্ততা, সচেতনতা কার্যক্রম এবং সহজলভ্য বিকল্প সরবরাহের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বিশেষ করে মেয়েদের কাগজ, পাট বা কাপড়ের ব্যাগ তৈরি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন। সুবিধানির্ভর সংস্কৃতি ত্যাগ করে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে এলে তা শুধু প্লাস্টিক দূষণ কমাবে না; পাটসহ স্থানীয় শিল্প পুনরুজ্জীবিত করবে, জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করবে এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করবে। শনিবার রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন ব্লু চাটগাঁ বে ভিউতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত “টেকসই প্লাস্টিকমুক্ত সামুদ্রিক পরিবেশ” শীর্ষক ” অ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং অ্যান্ড ডিসেমিনেশন ক্যাম্পেইন” -এ তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার থেকে টেকসই বিকল্পে যেতে সময়, পরিশ্রম এবং ভোক্তাদের আচরণগত পরিবর্তন অপরিহার্য। গত কয়েক দশকে গড়ে ওঠা ভোক্তা-অভ্যাস রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক সামগ্রী বাদ দিয়ে প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলতেও দীর্ঘমেয়াদি প্রাতিষ্ঠানিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিস্তৃত ব্যবহারের বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ভোক্তাদের প্লাস্টিকনির্ভরতা মূলত সুবিধা এবং “ফ্রি” ধারণাজনিত ভুল বোঝাবুঝির ফল। বাস্তবে, প্লাস্টিক উৎপাদনে শ্রম, বিদ্যুৎ, আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালসহ নানা খরচ জড়িত থাকে, যার গোপন মূল্য পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাকেই দিতে হয়।
রিজওয়ানা হাসান চার বছর মেয়াদি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে প্রশংসা করেন এবং প্রকল্পের সম্প্রসারণ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, আজ শিক্ষার্থীদের মাঝে যে পরিবেশশিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তা ভবিষ্যতের পরিবেশগত ফলাফল নির্ধারণ করবে। অতীত প্রজন্মের টেকসই জীবনধারা এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ত্যাগের আর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সুফল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানানো অত্যন্ত জরুরি।

উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে অধিকাংশ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সামগ্রীর বিকল্প বিদ্যমান, যদিও ডিসপোজেবল কলমের মতো কিছু পণ্যের সম্পূর্ণ টেকসই বিকল্প এখনও উন্নয়নাধীন। বাংলাদেশের রয়েছে পাট, কাপড়সহ সহজলভ্য স্থানীয় উপাদান, যা দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের কার্যকর বিকল্প হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বিকল্প ব্যবহারে ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তিনি ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন।

বঙ্গোপসাগর বিশ্বের নবম সর্বাধিক প্লাস্টিকদূষিত সামুদ্রিক অঞ্চল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, এটি বাংলাদেশে অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে নয়; বরং দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও উজান থেকে ভেসে আসা প্লাস্টিক বর্জ্যের ফল। তিনি সতর্ক করে বলেন, পুনর্ব্যবহার (রিসাইক্লিং) সমাধান হিসেবে জনপ্রিয় হলেও এটি অত্যন্ত জ্বালানি-নির্ভর ও রাসায়নিকভাবে জটিল। তাই প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো, প্লাস্টিক পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা এবং উৎপাদকদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করাই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

উপদেষ্টা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত কিছু কার্যকর উদাহরণ—যেমন কেনাকাটার ব্যাগের জন্য বাধ্যতামূলক মূল্য গ্রহণ, বোতলের ডিপোজিট-রিটার্ন ব্যবস্থা এবং কঠোর নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপ—বাংলাদেশে অভিযোজনযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্লাস্টিকসহ সকল ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে দ্রুত আধুনিকায়নের দিকে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, উপাচার্য, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং প্রফেসর ড. মো. মাকসুদ হেলালী, উপাচার্য, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আসিফুল হক, ডিন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, চুয়েট; ড. ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; এবং প্রফেসর ড. মো. রিয়াজ আকতার মল্লিক, প্রধান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, চুয়েট।

লালমোহনে জনতার উপচেপড়া ঢলে সংবর্ধিত হয়েছেন মেজর হাফিজ ।

 

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৭ ভোলা ৩ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর  লালমোহন সরকারি শাহবাজপুর কলেজ মাঠে ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার দুপুরে জনতার উপচে পড়া ঢলে সংবর্ধিত হয়েছেন ছয়বারের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী মেজর ( অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।

লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জাফর ইকবাল। দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন- উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল পাঞ্চায়েত ।

সংবর্ধনা মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সাদেক মিয়া জান্টু ,লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ও লালমোহন প্রেসক্লাব সভাপতি সোহেল আজীজ শাহীন, সফিউল্লাহ হাওলাদার, আ ন ম ফয়সাল তালুকদার , লালমোহন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী অরুণ সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

জনগনের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে- সংবর্ধিত প্রধান অতিথি, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন- আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের দেখায় এতোবড়ো জনসমাবেশ লালমোহনের মাটিতে আর হয়নি।

আপনারা আমাকে ভালোবাসেন বলেই আমি আপনাদের মাঝে বারবার ফিরে আসি । যে স্বপ্ন ও আশা বুকে নিয়ে আপনারা আজ এখানে হাজির হয়েছেন- আপনাদের সেই স্বপ্নপূরণে আমি সর্বাত্মক
চেষ্টা করবো।

গত সতেরটি বছর যে দুঃশাসনের যাঁতাকলে আপনারা পিষ্ট হয়েছেন, সেই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে মুক্ত বাতাস আপনাদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা কথা বলতে পারেন নি ; আপনারা ভোট দিতে পারেন নি , আপনাদের নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আপনাদের জীবন দুর্বিষহ করা হয়েছে : আপনাদের জীবন নিয়ে আর কোনো সন্ত্রাসীকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।

জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন- শুধু দল আমাকে মনোনয়ন দিলে হবে না । আপনারা আমাকে মনোনয়ন দিতে হবে । তবেই আমি নির্বাচনের মাঠে নামবো ।এসময় বিশাল জনসমাবেশে হাত উঁচিয়ে তাঁকে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ