আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চবি কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য

প্রেস রিলিজ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করছেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

খেলাধূলা শিক্ষার্থীদেচবির চরিত্র গঠন, মানসিক উন্নয়ন এবং সামাজিক মেলবন্ধন দৃঢ় করে কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে দেয়
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দু’দিন ব্যাপি (১৯-২০ ফেব্রæয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ শুরু হয়েছে। সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব আনিসুল আলম।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে চবি কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রিত অতিথি, ক্রীড়াবিদসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন খেলাধূলা ও শরীরচর্চা মানুষের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, মানসিক উন্নয়ন এবং সামাজিক মেলবন্ধন দৃঢ় করতে বিদ্যানুশীলনের পাশাপাশি খেলাধূলা ও শরীরচর্চা কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে দেয়। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাকেও সমান গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে সুস্থ শরীর ও প্রফুল্ল মন নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করলে কাক্সিখত সাফল্য অর্জন সম্ভব।” মাননীয় উপাচার্য ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশ্যে বলেন, “খেলার মাঠে জয়-পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা ও খেলোয়াড়সূলভ আচরণের মাধ্যমে শৃংখলা ও নিয়মানুবর্তিতা বজায় রেখে ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দর্শকদের উজ্জীবিত করে উপভোগ্য খেলা উপহার দেবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।” মাননীয় উপাচার্য তরুণদের শিক্ষা-গবেষণা, ক্রীড়া-শরীরচর্চা, শিল্প-সংস্কৃতিসহ বহুমাত্রিক দক্ষতা সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় শামিল হওয়ার আহবান জানান। মাননীয় উপাচার্য দু’দিন ব্যাপি চবি’র কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং ক্রীড়াবিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকার আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের সুর ও মুর্চ্ছনায় মাননীয় উপাচার্য জাতীয় পতাকা, মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা, ¯^ ¯^ হলের প্রভোস্ট হল পতাকা ও শারীরিক শি¶া বিভাগের পরিচালক অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করেন। প্রতিযোগীতায় মশাল হাতে মাঠ প্রদ¶িণ করেন দুই কৃতি ক্রীড়াবিদ নুসরাত জাহান তৃণা এবং মোহাম্মদ সজীব। মাননীয় উপাচার্য বিচারকবৃন্দের প¶ে প্রধান বিচারক চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোঃ দানেশ মিয়াকে এবং ক্রীড়াবিদদের প¶ে কৃতি ক্রীড়াবিদ মোঃ শফিউল্লাহকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ব্যান্ডের তালে তালে অনুষ্ঠিত ক্রীড়াবিদদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ মাননীয় উপাচার্য ও অতিথিবৃন্দ উপভোগ করেন এবং তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শারীরিক শি¶া বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী শি¶ক-শি¶ার্থীবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হলসমূহ হতে ৩০টি ইভেন্টে ২৭৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।চ.বি. শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক জনাব মো. রাশেদ বিন আমিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন চ.বি. কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র মোয়াজ্জিন হাফেজ শাহা মোঃ আজম, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন প্রবীন সেন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন কংকন বড়–য়া অন্তু এবং পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন আকাশ ত্রিপুরা।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করছেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সাউর্দান মেডিকেল কলেজে আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন ৬১টি গবেষণাপত্র

দেশি-বিদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণে সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক প্রথম দেশি ও আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’-এ উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দিনব্যাপি চলে এবং এতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষকগণ স্বাস্থ্য শিক্ষা, মেডিকেল কারিকুলাম, অ্যাক্রেডিটেশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশুস্বাস্থ্য, লিভার, হৃদরোগ, চক্ষু, গণস্বাস্থ্য, বার্ধ্যক্যজনিত রোগ, অনুজীববিদ্যা, মৌলিক চিকিৎসা বিদ্যাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, আমেরিকা ও লন্ডন থেকে আগত চার আর্ন্তজাতিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার, অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, খ্যাতনামা শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা, খ্যাতনামা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমীন, বাংলাদেশ মেডিকেল রির্সাস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান খ্যাতনামা গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. অনুরুদ্দ ঘোষসহ বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা হতে আগত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাইন্টিফিক প্রজেক্ট ‘নেক্টট জেনারেশন ইনোভেটরস’ উপস্থাপন করেন।
গত ১৬ অক্টোবর সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’এর কনফারেন্স লোগো মোড়ক উম্মোচন, থিম উপস্থাপনা ও ব্যানার উম্মোচনের মাধ্যমে অফিসিয়ালভাবে কার্যক্রম শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকে আয়োজন সফলভাবে শেষ হলো।

এতে সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন সাউর্দান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জয়ব্রত দাশ, অর্গানাইর্জিং সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মেহেরুন্নিছা খানম, সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, এমডি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএমডিসি সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. খুরশীদ জামিল, অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভপতি অধ্যাপক ডা. ধনঞ্জয় মজুমদার, মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মিনহাজুল আলম, এছাড়াও বিভিন্ন কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, সকল চিকিৎসক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সর্বত্র সহযোগিতা করেন।

চুয়েটে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ৪-৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার স্থাপত্য বিভাগের জুরি কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

এতে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স কো-চেয়ার ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব কানু কুমার দাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সজীব পাল, সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জান্নাত এবং জনাব সাঈদা তাহমিনা তাসনিম।

উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের উক্ত কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চারগণ অংশ নিবেন। এতে ২জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত থাকবেন। এই কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর উপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে।

কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোষ্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে স্থাপত্য বিভাগে দুইদিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে।

আগামী ৪ ডিসেম্বর, সকাল ১০ টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এতে কনফারেন্সে চেয়ার হিসেবে থাকবেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশিকুর রহমান জোয়ারদার, কনফারেন্স কো-চেয়ার হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানু কুমার দাশ এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ