আজঃ শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সোয়াই নদী সম্পূর্ণ খননের দাবিতে শ্যামগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন।

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ:

আংশিক নয়, সম্পূর্ণ সোয়াই নদী খননের দাবিতে শ্যামগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে ‘আমরা শ্যামগঞ্জবাসী’ ব্যানারে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, সোয়াই নদীটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জ, মইলাকান্দা ইউনিয়নের কিছু অংশ, তারাকান্দা উপজেলার কিছু অংশ ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার একাংশ, নেত্রকোনা সদর উপজেলা কিয়দাংশজুড়ে বিস্তার ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কিছু অসাধু ভ‚মিখেকো মানুষ নদীটি দখল করে অস্তিত্ব বিলীন করে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় থাকা নদীটির পুনঃখননের কাজ শুরু করেছে সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজের তদারকি করছেন নেত্রকোনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নদীটি দৃশ্যমান হয়ে উঠছে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার অংশে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেকর্ডে নদীটির দৈর্ঘ্য রয়েছে ৪৭ কিলোমিটার। নদীটি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা অংশ হতে তারাকান্দা উপজেলার বিসকা পর্যন্ত খনন করার দরপত্র প্রকাশ রয়েছে।
সরকার আবার নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পুণঃখনন শুরু করেছে। এতে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে নদীটির নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার অংশে।
‘আমরা শ্যামগঞ্জবাসী’ এর প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সূর্যসেন হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ মারিয়াম সোহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন মনোজ, এনডিএমের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এম আর মাসুম, শিক্ষক তাপস ঘোষ, গোবিন্দ বণিক, ছাত্রনেতা সাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মানবন্ধনে বক্তারা সোয়াই নদী পুণঃখনন কাজ শুরু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি পূর্বের মানচিত্র অনুযায়ী আংশিক নয়, সম্পূর্ণরূপে ও সঠিকভাবে সোয়াই নদীটির পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন এবং শ্যামগঞ্জ বাজারে নদীর জায়গায় দখল উচ্ছেদ করে এই খনন কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রতি আহŸাণ জানিয়েছেন বক্তারা।
সোয়াই নদী পুনঃখননের বিষয়ে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান বলেন, দরপত্র মোতাবেক নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার অংশ হতে তারাকান্দা উপজেলার বিসকা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে ৪৬ কি.মি. ও প্রস্থে ২০ মিটার পুণঃখনন করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নারীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে পাবলিক প্লেসে শৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে: মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,নারীদের সুস্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাবলিক প্লেসে পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা করা জরুরি। তিনি বলেন,আমাদের শহরগুলোতে নারীদের জন্য নিরাপদ ও স্বা¯’্যসম্মত পাবলিক টয়লেটের অভাব রয়েছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তির অন্যতম কারণ।

পথচারী ও নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্যানিটেশান ব্যবস্থার বর্তমান চ্যালেঞ্জ সমুহ এবং যথাশীঘ্র করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা এবং “চলতি পথে টয়লেট হোক শান্তির জায়গা” ক্যাস্পইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নারীদের স্বাস্থ্য ও সম্মান রক্ষায় শহরের পার্ক, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ অন্যান্য বড় শহরগুলোতেও নারীদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের সংকট প্রকট। নারীরা কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

করছেন। তাদের যাতায়াত ও জনসমাগমস্থলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।
“টয়লেট সুবিধার অভাবে নারীরা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন। দীর্ঘ সময় টয়লেট ব্যবহার না করলে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ, কিডনি সমস্যা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এছাড়া, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদেরও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। নারীরা অনেক সময় সঠিক টয়লেট সুবিধার অভাবে পানি পান কমিয়ে দেন, যা ডিহাইড্রেশনসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট না থাকায় তারা রাস্তার পাশে বা অনিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হন, যা তাদের জন্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে। সী-বিচ এলাকায় ইতোমধ্যে পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় আরও আধুনিক ও নারীবান্ধব পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেট নিশ্চিত করতে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। পাশাপাশি, এসব টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাও আমাদের অগ্রাধিকার।

অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইডের প্রকল্প সমন্বয়ক কে,এ, আমিন পাবলিক টয়লেটের উপর সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করে বলেন, ওয়াটারএইডের অর্থায়নে বর্তমানে ৫৪টি পাবলিক টয়লেট সারা বাংলাদেশে আছে । আমরা পাবলিক টয়লেট শব্দটি টি আস্তে আস্তে ব্যান্ডিং করছি যার নাম হবে পথের দাবী টয়লেট। আধৃুনিক ও দৃষ্টিনন্দন

প্রতিবন্ধীবান্ধব এই পাবলিক টয়লেটে রয়েছে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, লকার,মাতৃদুগ্ধ কর্নার, নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরি”ছন্নকর্মী ও মহিলা তত্ত্বাবধায়কের ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওয়াটারএইড ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) সহযোগিতায় এবং অর্থায়নে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ মোট ৭টি পাবলিক টয়লেট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে এবং ১টি পাবলিক টয়লেট চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে উদ্বোধন করা হয়েছিল।সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় আমরা কাজ করে যেতে চাই আগামীতে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয় ,চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিনিয়র আর্কিটেক্ট, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিএসকের ওয়াশ ডিরেক্টর এম এ হাকিম। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল শিক্ষক,

ছাত্র,ছাত্রী, সহ বিভিন্ন সরকারী,বেসরকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানে যৌথভাবে উপস্থাপনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি এ্যাডভোকেসী এক্সপার্ট নুররুন নাহার ও আরেফাতুল জান্নাত প্রকল্প ব্যবস্থাপক দু:স্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকের)।

নেত্রকোনায় বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমা

নেত্রকোনার আটপাড়ার নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন শিক্ষা বান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমা,০৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে তিনি বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেন, এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)

নিলুফা ইয়াসমিন নিপা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান খান, উপজেলা যুব
উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক, নাজিরগঞ্জ
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
নাজমুল করিম হীরা, সহকারী শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ