আজঃ রবিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম জেলা টিম চ্যাম্পিয়ন

ডেস্ক নিউজ:

বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্ট-২০২৪ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে চট্টগ্রাম জেলা টিম। আজ ২০ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর সাগরিকাস্থ বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় চট্টগ্রাম জেলা টিম ২৬ -২২ পয়েন্টে চট্টগ্রাম রেঞ্জ টিমকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ ও বিজয়ীদর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেএসআরএম-এর পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে অভিনন্দন জানান ডিআইজি।
খেলা শুরুর পূর্বে বরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন ও বিকেএসপি’র প্রশি¶ণার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর ‘ডিসপ্লে’ প্রদর্শিত হয়।
টুর্নামেন্ট উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত করতে সহযোগিতা করায় কেএসআরএম ও বিকেএসপিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম। দুপুর ১১টায় গ্রæপ পর্বের শেষ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কুমিল্লা ৩৫-২২ পয়েন্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরাজিত করে। গ্রæপ পর্বের সর্বশেষ এ খেলাটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ‘দৈনিক আজাদী’ পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রæয়ারি রোববার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, বিপিএম (বার), পিপিএম’র উদ্যোগে ও কেএসআরএম’র পৃষ্ঠপোষকতায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্ট-২০২৪ শুরু হয়।
টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম রেঞ্জাধীন ১১টি জেলা ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশসহ মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিকেএসপির কর্মকর্তাবৃন্দ, অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শক খেলা উপভোগ করেন।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কাবাডির দেশ বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশের ¯^াধীনতা অর্জন করেছি। তিনি খেলাধুলার প্রতি খুবই আন্তরিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিবিদ হয়েও খেলাধুলাকে অন্তরে ধারণ করেন। সরকার পরিচালনার পাশাপাশি আমরা যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য বয়ে আনতে পারি সেজন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। কাবাডি খেলার মতো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য তিনি সচেষ্ট আছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেএসআরএমের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, কাবাডি খেলা আমাদের জাতীয় খেলা হলেও এটি দিনে দিনে বিলুপ্তের পথে। এমন সময়ে ডিআইজি সাহেব যখন কাবাডি খেলার আয়োজন হাতে নিলেন আর সেটিতে কেএসআরএমকে পাশে চাইলেন তখন সঙ্গে সঙ্গে তা আমরা লুফে নিয়েছি। আমরা চাই এই ঐতিহ্যবাহী খেলা আবারও তার হারানো অতীত ফিরে পাক।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা বলেন, এই আয়োজনের পেছনে জাতীয় খেলা কাবাডিকে পৃষ্টপোষকতা করা যেমন আছে, তেমনি আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কিশোর-তরুণেরা যেন খারাপ কাজ আর মাদক থেকে দূরে থাকেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত “প্রজেক্ট অধরা” মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা — আমাদের দেহ, আমাদের যত্ন।

হাল্ট প্রাইজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গর্বের সঙ্গে উপস্থাপন করছে “প্রজেক্ট অধরা”— একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও সম্প্রদায়মুখী উদ্যোগ, যা নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লজ্জা, কুসংস্কার ও ভুল ধারণা দূর করতে কাজ করে। এই উদ্যোগ এস ডি জি ৩ (সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল) এবং ৪ (গুণগত শিক্ষা)-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ৪ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে ফতেয়াবাদ শৈলবালা সিটি কর্পোরেশন হাই স্কুলে যেখানে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাল্ট প্রাইজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২৫/২৬ সনের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ অনিক, চিফ অফ স্টাফ কাজী মুহাইমিনুল ইসলাম মুনাজ এবং চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট কারিন সাফফানা। পাশাপাশি এই প্রকল্পটির নেতৃত্ব দেন তানজিফ হাসান‌, নিশাত তাহসিন চৌধুরী এবং কমিউনিটি এনগেজমেন্ট টিমের সকল সদস্য। তাঁরা সবাই একত্রে মাসিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সঠিক জ্ঞান প্রদান এবং ভ্রান্ত ধারণা দূর করার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেন।

কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে মাসিক সম্পর্কে স্পষ্ট, সহানুভূতিশীল এবং আত্মবিশ্বাসী আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়। সেশনে আলোচনা করা হয় মাসিক কীভাবে শুরু হয়, কীভাবে রক্তপ্রবাহ ঘটে, মাসিক চলাকালীন কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত এবং এই সময়ে কোন স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি অনুসরণ করা জরুরি। আয়োজকরা উল্লেখ করেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটোই এ সময় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং যথাযথ যত্ন নেওয়া অপরিহার্য।

সেশনের শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ বৃদ্ধি করতে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যা আলোচিত বিষয়গুলোকে আরও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে সহায়তা করে। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে নিজস্বভাবে প্রস্তুত করা উপহার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে, যা তাদের শেখার আগ্রহ ও সম্পৃক্ততাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, অংশগ্রহণকারী ছাত্রী, শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষিকার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় তাঁদের মতামত, অভিজ্ঞতা এবং কর্মশালা-পরবর্তী উপলব্ধি জানতে। অনুষ্ঠানে বার্তা দেওয়া হয় যে নারীর মাসিক স্বাস্থ্য কোনো লজ্জার বিষয় নয়, এটি তাদের শরীর ও জীবনের একটি প্রাকৃতিক চক্র। এই বিষয়টি লুকিয়ে নয়, বোঝা ও যত্ন নেওয়া উচিত — কারণ
আমাদের দেহ, আমাদের যত্ন — প্রতিটি চক্রই গুরুত্বপূর্ণ।
এর পাশাপাশি আরও নতুন তথ্য ও আপডেট জানতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হাল্ট প্রাইজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি অনুসরণ করুন।

চট্টগ্রামে প্রবাসীর ১৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট, আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ডাকাতি মামলার পলাতক আসামি মো. সাদ্দাম হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। চান্দগাঁও থানাধীন নুরুজ্জামান নাজির বাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাদ্দাম হোসেন ভোলার লালমোহন থানার দুলা মিয়া এলাকার মো. ফারুকের ছেলে।

র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গত ২১ জুলাই সাড়ে ৮টায় দুবাই প্রবাসী মোহাম্মদ সামসুদ্দিন চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে এ কে খান বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে লিংক রোড় এলাকায় ডাকাতদল নগদ টাকাসহ ১৯ লাখ ৮২ হাজার ২০০ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি ৩/৪ জনকে আসামি করে হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে চান্দগাঁও থানাধীন নুরুজ্জামান নাজির বাড়ি এলাকা থেকে এ মামলার আসামি সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ