আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

শিক্ষার মানোন্নয়নে বোয়ালখালীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অভিভাবকদের কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন আবদুচ ছালাম এমপি

শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হলে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি করতে হবে

ডেস্ক নিউজ:

শিক্ষার মানোন্নয়নে বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসনের কর্মশালায় আবদুচ ছালাম এমপি

শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পরিষদ হল শিক্ষার চার স্তম্ভ। স্তম্ভ শক্তিশালী হলে যেমন ভবন মজবুত ও নিরাপদ হয়, তেমনি শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা কমিটি দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করলে শিক্ষার মান অবশ্যই উন্নত হবে।
আজ শনিবার বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সুপার, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মশালায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ আবদুচ ছালাম এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে নন্দিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিনামূল্যে বই প্রদান, উপবৃত্তি প্রদান, পর্যাপ্ত ভবন নির্মান করে দিয়ে শিক্ষার হার যেমন বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন, তেমনি শিক্ষার মাস উন্নয়নে শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতাদি বর্ধিতকরণ, শিক্ষায়নে মাল্টিমিডিয়া ল্যাব স্থাপনসহ নানামূখী সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এত সুবিধাদির ব্যবস্থার পরও যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় উন্নতি করতে না পারে তা হবে আমরা শিক্ষক, অভিভাবক, পরিচালনা কমিটির ব্যর্থতা। একজন অভিভাবকের সচেতনতা ও সিদ্ধান্ত একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের গতিপথ বদলে দিতে পারে, যার প্রত্যক্ষ প্রমান আমি নিজে। আমার মা যদি স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর চাপ না দিতেন, তবে হয়তো বাবা ও অন্যদের সিদ্ধান্তে আমি একজন মেকানিক হতাম। সফল ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সিডিএ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম আমি হতে পারতাম না। আমরা সকলে সচেতন হলে, নিষ্ঠাবান হলে, দক্ষতার সাথে কাজ করলে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় অবশ্যই মনযোগী হবে। শিক্ষার মানের ব্যাপারে আমার বক্তব্য পরিস্কার। আমাদের যে কোন পক্ষের গাফিলতির কারণে যদি বোয়ালখালীর শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হয়, শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে, তবে সংশ্লিষ্টদের জবাদিহির আওতায় আনা হবে। সভায় দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এস, এম, আবুল কালাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম (রাজা), ভাইস চেয়ারম্যান এস, এম, সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিম আরা বেগম, বোয়ালখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সালমা ইসলাম, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম ধর, সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহসীন উদ্দিন, ৫নং সারোয়ালী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, আমুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজল দে, শাকপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নানসহ উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধানগণ, পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মন্ডলী ও অভিভাবক সদস্যবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে হাল্ট প্রাইজ ২০২৫ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম।

হাল্ট প্রাইজ ২০২৫/২৬ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিবন্ধন বুথ, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ক্লাস প্রমোশন চালু করা হয়েছে। এ বছর প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ও দলীয়—উভয়ভাবেই অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যক্তিগত নিবন্ধন ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) এবং দলীয় নিবন্ধন ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) তারিখে সমাপ্ত হবে।

এবারের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ থিম “আনলিমিটেড”-যা শিক্ষার্থীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিচ্ছে।এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তা দক্ষতার মাধ্যমে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, অসমতা এবং শিক্ষার মতো বৈশ্বিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করতে পারবেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাটফর্ম যেখানে সীমাহীন চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে তাদের ধারণাগুলোকে বাস্তবায়নে রূপ দেওয়া যাবে।

এ বছরের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ অনিক, চিফ অব স্টাফ কাজী মুহাইমিনুল ইসলাম মুনাজ এবং চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট কারিন সাফফানা—তাদের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতাটি সফলভাবে আয়োজনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিযোগিতায় ২–৪ সদস্যের দল অংশ নিতে পারবে এবং সকল অংশগ্রহণকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। প্রতিটি দলে অন্তত একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক। দলের অন্যান্য সদস্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবে।এছাড়া এ বছর দল না থাকলেও শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করতে পারবেন; পরবর্তীতে তাদের নিয়ে দল গঠন করা হবে।

রেজিস্ট্রেশন বুথ অথবা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দলীয় অথবা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনে কোনো ফি নেই।দলীয় সদস্যরা যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আসুন না কেন, প্রতিযোগিতায় তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ