আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

তানোরে ফের শতবর্ষী কড়ই গাছ নিধন

আলিফ হোসেন,তানোরঃ

রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ফের তাজা প্রায় শতবর্ষী বয়সী কড়ই গাছ গোপণে নিলাম দেবার অভিযোগ উঠেছে। কোনো ঢোলশহরত, নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বা মাইকিং করা হয়নি।
গত শুক্রবার উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) মোহর গ্রামের ঘোড়াডুবি মোড়ে এই গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কালের স্বাক্ষী বহু স্মৃতি বিজড়িত কড়ই গাছ কাটায় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে গোপণে একের পর এক গাছ নিলামের ঘটনায় জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। গ্রামের বাসিন্দা, মাসুদ আলী ও মুকলেসুর রহমান বলেন, তারা এবিষয়ে অধিকতর তদন্তের দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তায় ট্রাক যাতায়াতে সমস্যা হয় এমন কথিত অভিযোগে কালের স্বাক্ষী এই কড়ই গাছ কাটা হয়েছে। অথচ যদি সেটাই হয় তাহলে গাছের একটি ডাল কাটলেই সমস্যার সমাধান হতো।
কিন্তু সেটা না করে শহরের এক ব্যক্তির কাছে গোপণে পুরো গাছ বিক্রি করা কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা অবশ্যই অধিকতর তদন্তের দাবি রাখে। গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন,
খরা মৌসুমে এই গাছের ছায়াতলে বসে শ্রমিকরা বসে একটু আরাম করতো। একটা গাছ সহজেই কাটা যায়। কিন্তু প্রায় বছর ধরে গাছটি পরিচর্যা করে আসছিল গ্রামের সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে ছিলো এই কড়ই গাছে। তারা বলেন,এতো বড় গাছ যদি কোনো কারনে কাটতেই হয় তাহলে তো ঢাক ডোল পিটিয়ে প্রকাশ্যে নিলাম দিলে সরকারের ঘরে বড় অঙ্কের অর্থ জমা হতো। তা না করে নামমাত্র মুল্য গাছটি গোপণে নিলাম দেয়া হলে কার স্বার্থে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক তিনি ইউপির চেয়ারম্যান অথচ তাকেও একটি কথা বলা হয়নি। সব কিছুই বরেন্দ্র করেছে। তিনি বলেন, তাদের জানানো হলে তারা নায্যমুল্য গাছটি কিনে এলাকার মসজিদের উন্নয়ন কাজ করতে পারতেন।এবিষয়ে
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি, এমনকি সাংবাদিক পরিচয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া দেননি।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে উপজেলার তানোর-কলমা রাস্তার আজিজপুর একটি তেঁতুল গাছ, অমৃতপুর তেঁতুলতলা একটি তেঁতুল
গাছ ও দরগাডাঙা হাটে একটি কড়ই গাছ। তাজা ও পরিপক্ব এসব গাছ ঝুঁকিপুর্ণ দেখিয়ে
নামমাত্র মূল্য গোপণে নিলাম দেয়া হয়েছিল। কিন্ত্ত শতবর্ষী এসব গাছ কাটার সময় বিষয়টি স্থানীয় সাংসদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় সাংসদের এমন পদক্ষেপের সচেতন মহল ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় জাতীয় পরিচয় পত্র পরিসেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে হস্তান্তরের কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।কর্মসূচির নাম ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’। এই কর্মসূচিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সকাল ১১ টা থেকে বেলা দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, সাংবিধানিক অধিকার যেন খর্ব না হয়। নির্বাচন কমিশনে এনআইডি ডাটাবেইজ নামে কিছু নেই। আছে ভোটার ডাটাবেইজ। বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে এনআইডি দেয়া হয়। ভোটার তালিকা থেকে এনআইডি ডাটাবেজ আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই।জাতীয় পরিচয় পত্র অন্য কোথাও স্থানান্তর  হলে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে যা বিনামূল্যে নির্বাচন কমিশনের জনবল করে দিচ্ছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম, সহকারী নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আব্দুল কুদ্দুস ও অফিস সহায়ক মো. তোফাজ্জল হোসেন সহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ