আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাটে তৈরি হচ্ছে কাঠের বাইসাইকেল, যাচ্ছে ইউরোপে

মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট

বাগেরহাটে বিভিন্ন কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাইসাইকেল। চাকা থেকে শুরু করে পুরো সাইকেল তৈরিতেই ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠ। দেশের বাইরে ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ হিসেবে ব্যবহৃত যানটি এরই মধ্যে গ্রিসে ২০ হাজার পিস রপ্তানি করা হয়েছে।

নজরকাড়া কাঠের এই সাইকেলটি তৈরি করছে বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরীর ন্যাচরাল ফাইবার নামে প্রতিষ্ঠান। কাঠের সাইকেলের পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানে কাঠ দিয়ে হোটেল বেড, সান বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। প্রথম দিকে নারকেলের ছোবড়া দিয়ে ম্যাট্রেস, কয়ার ফেল্ট, কোকা পিট, ডিসপোজেবল স্লিপারসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে। ওই পণ্যগুলো দেশ বিক্রির পাশাপাশি বিদেশে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। আর ২০২৩ সাল থেকে কাঠের সাইকেল এবং কাঠের বিভিন্ন পণ্য তৈরি শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে।

সরেজমিন ফ্যাক্টরি গিয়ে দেখা গেছে, একের পর এক হাত ঘুরে কাঠ দিয়ে সাইকেলের চাকা, ফ্রেম এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। কাঠ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রাংশ সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাইসাইকেল বা ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’। সাইকেল তৈরিতে আকাশমনি, গামারী, মেহগনিসহ মূল্যবান বিভিন্ন গাছ ব্যবহার করা হচ্ছে।

যেভাবে তৈরি হয় কাঠের সাইকেল কারিগর আব্বাস আলী জানান, প্রথমে সাইকেলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। এরপর বিভিন্ন অংশ জুড়ে তৈরি করা হয় ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ নামে সাইকেল। একটি সাইকেল তৈরিতে সময় লাগে দুই দিন।

শরিফুল ইসলাম জানান, সাইকেল তৈরি করতে কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ১১টি যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। এরপর কাঠের এসব যন্ত্রাংশ ফিটিংস করে পুনাঙ্গ সাইকেলে তৈরি করা হয়। তার পর রঙ করে সাইকেল দৃষ্টিনন্দন করা হয়।

ঘুরছে সংসারের চাকাও কারখানাটির শ্রমিক রেখা রাণী জানান, কারখানায় অনেক শ্রমিকের হাতের ছোয়ায় তৈরি হয় কাঠের সাইকেল। তাদের হাতে তৈরি সাইকেল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এটা অনেক আনন্দের। একই সঙ্গে এই কাজ করে সংসারের হালও ধরতে পেরেছি।

তন্নি জানান, তারা শুধু কাঠের সাইকেল নয়, কাঠ দিয়ে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ফার্নিচার তৈরি করছে। তার মতো বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিকের এই কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে।

উদ্যোক্তার কথা কাঠের সাইকেলে তৈরির উদ্যোক্তা মোস্তাফিজ আহম্মেদ। তিনি জানান, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তারা ইউরোপের দেশ গ্রিস থেকে তিন লাখ বেবি ব্যালেন্স বাইকারের অর্ডার পান। এছাড়া কাঠের তৈরি হোটেল বেড, সান বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচারের অর্ডার রয়েছে। অর্ডার অনুযায়ী কাঠের এসব পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তার ফ্যাক্টরিতে তৈরি কাঠের বেবি ব্যালেন্স বাইকার এবং কুকুর-বিড়ালের খেলনার প্রথম চালান ২০২৩ সালের ডিসেম্বর রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার পিস বেবি ব্যালেন্স বাইকার গ্রিসে এবং কুকুর-বিড়ালের বেশ কিছু খেলনা বেলজিয়ামে রপ্তানি করা হয়েছে।

এটি পর্যায়ক্রমে কাঠের সাইকেল এবং বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করা হবে। সাইকেলের দ্বিতীয় চালান শিগগিরই রপ্তানি হবে। বেবি ব্যালেন্স বাইকারের পাশাপাশি বড়দের বাইকারেরও অর্ডার পাওয়া গেছে। বিদেশের বাজারে একটি বেবি ব্যালেন্স বাইকার সেট ১০০ থেকে ১৫০ ইউরোতে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।

উদ্যোক্তার শঙ্কা নিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, ফার্নিচারে প্রণোদনা রয়েছে। কিন্তু সেই প্রণোদানা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে শংঙ্কিত। সরকার প্রণোদনা শতকরা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এখন সাত শতাংশ করেছে। এই প্রণোদনা পেতে ফার্নিচার অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বর শিপ নিতে হয়। বাণিজ্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাইনি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশনের বাগেরহাটের উপ-ব্যবস্থাপক মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিবেশবান্ধব এসব কাঠের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। এই ধরণের উদ্যোক্তাদের বিসিকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ এবং ঋণের পাশাপাশি নানা ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ