আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

আত্রাইয়ের বান্দাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার।

ফিরোজ আহমেদ প্রতিনিধি আত্রাই নওগাঁ।

নওগাঁ:

আত্রাইয়ের বান্দাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার
করেছেন।

নওগাঁর আত্রাইয়ের বান্দাইখাড়া
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমদাদুল হক সরকার তাহার নিজ উদ্যোগে নিজ তহবিল থেকে বান্দাইখাড়া সিদ্ধোসরির মোর কলেজ রাস্তা টি নতুন ইট দিয়ে সংস্কার করে
দিয়েছেন,দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা ছিল।

এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান, অটোরিকশা সিএনজি সহ হাজার হাজার মানুষ ও বান্দাইখাড়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করেন রাস্তাটি দেখার মতো কেহই ছিলেননা।

সিদ্ধোসরির মোর থেকে মরহুম ডাঃ এনায়েত উল্লাহর বাড়ি পর্যন্ত বান্দাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
তাহার নিজ উদ্যোগে রাস্তা টি সংস্কার করে দিয়েছেন। এলাকার সাধারণ জণগণ রাস্তা টি সংস্কার পেয়ে অত্যান্ত খুশি হয়ে প্রধান শিক্ষক কে ধন্যবাদ জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কবি আল মাহমুদের সাহিত্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য করার দাবি জানিয়েছে বরিশালের লেখক সমাজ ।

সোনালী কাবিনের কবি, সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে জীবনানন্দের জনপদ বরিশালে। শেকড় সাহিত্য সংসদ আয়োজিত আল মাহমুদ জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলা সাহিত্যে সমকালীন কবিদের প্রধান কবি হচ্ছেন আল মাহমুদ। তিনি এদেশের মানুষের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে সাহিত্য রচনা করেছেন, তাঁর সাহিত্যকে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।

একই সাথে কবি আল মাহমুদের সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাংলা বিভাগে পাঠ্যভুক্ত করে পড়াতে হবে। কবি আল মাহমুদ এর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তারা বলেন- “গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল কবুল” ; “আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে / হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।

-এমন অসংখ্য হৃদয়পঙক্তির উদগাতা সমসাময়িক বাংলা কবিতার রাজপুত্র কবি আল মাহমুদ।
মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ যিনি ‘আল মাহমুদ’ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বাংলা কবিতার অনন্য কণ্ঠস্বর কবি আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা মীর আবদুর রব। মা রওশন আরা মীর।

স্ত্রী সৈয়দা নাদিরা বেগম। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক তিনি। কবিতা লিখে পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা, প্রভূত খ্যাতি ও সম্মাননা।

আধুনিক কবিতায় লোকজ উপাদান ছড়িয়ে দেওয়া কবি আল মাহমুদ পঞ্চাশের দশকের কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষ। তিরিশের আধুনিক কবিরা যখন পাশ্চাত্যের প্রভাবে নাগরিক, নৈর্ব্যক্তিক ও খানিক নিরাশাবাদিতার দ্বারা প্রভাবিত আল মাহমুদ তখন দেশজাত, মানবিকতা, সাম্যবাদ ও এতে লগ্ন থাকার আকুতি জানিয়েছিলেন কবিতায়। বাংলার পাঠক সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। আজ সেই কবির ৮৯ তম জন্মদিন । সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে মাহমুদ ঢাকা আগমন করেন।

 

সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলা পত্রিকার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি ভারত গমন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যুদ্ধের পরে দৈনিক গণকণ্ঠ নামক পত্রিকায় প্রতিষ্ঠা-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সম্পাদক থাকাকালীন সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়।
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্প গ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক পদ থেকে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। শারীরিকভাবে তিনি নেই কিন্তু বাংলা সাহিত্যে কবি আল মাহমুদের অবস্থান চিরস্থায়ী। কবিতায় আল মাহমুদ এমন এক স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেন- যা কালের সাক্ষী । শুধু কবিতা নয়, সমকালীন গল্প-গদ্যের অসাধারণ রূপকার আল মাহমুদ।
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শেকড় সাহিত্য সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে কবি আল মাহমুদ ও তার সাহিত্যকে চরম অবহেলা করা হয়েছে। কবির মৃত্যুর পর বাংলা একাডেমিতে তাঁর জানাজা পর্যন্ত পড়তে দেয়া হয়নি। যারা এ কাজ করেছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সম্প্রতি বরিশাল সদর রোডে দৈনিক বাংলাদেশ বাণী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেকড় সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি কবি আল হাফিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন নব্বই দশকের খ্যাতিমান কবি নয়ন আহমেদ। মূখ্য আলোচক ছিলেন অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কবি মাহবুবুল হক।

কবি আল মাহমুদের বর্ণাঢ্য কর্মময় ও সাহিত্য জীবন নিয়ে আলোচনা করেন শেকড় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক পথিক মোস্তফা, বরিশাল সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক ও দৈনিক বাংলাদেশ বাণী সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন, কবি খৈয়াম আজাদ, গবেষক ও কলামিস্ট মাহমুদ ইউসুফ, কবি সজীব তাওহীদ, কবি আহমেদ বেলাল, কবি সাইফুল্লাহ সাঈফ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি মৃম্ময় হাসান।

 

শেরে বাংলা আইকনিক অ্যাওয়ার্ডস পেলেন ভাঙ্গুড়ার ক্রীড়া সাংবাদিক সাখাওয়াত।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেরে বাংলা আইকনিক অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫ অর্জন করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির ক্রীড়া সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন।

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ ও সময়ের কণ্ঠস্বরের পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি, ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক ও পৌর শহরের চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া মহল্লার আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সামাদ মাষ্টারের ‌ছেলে।

গত শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে কেএসপি সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন কে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

“সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে আমাদের করণীয়”শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হামিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ‌বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোঃ বোরহান উদ্দিন সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন।

পুরস্কার পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করে সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যে কোন স্বীকৃতিই অনেক আনন্দের। সাংবাদিকতা করি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। সাংবাদিকতা আমার নেশা এবং অন্য রকম একটি পেশা। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার পাওয়া আমার কাছে নিঃসন্দেহে একটি ভালো সংবাদ। এটি শুধু পুরস্কার হয়ে নয় আমার কাছে অনুপ্রেরণা এবং আরো এগিয়ে চলার একটি উপজীব্য হলো।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ