আজঃ বুধবার ২১ মে, ২০২৫

বৃষ্টির ছোঁয়া পেতেই প্রকৃতির সবুজ সৌন্দর্যে গা ভাসিয়েছে চা-বাগান।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজার:

দীর্ঘ কয়েক মাস শীতের আবহাওয়া ও শুকনো আদ্রতায় সিলেটের চা বাগানগুলোতে দেখা দিয়ে ছিলো পাতা শুন্য ও হলদে বাগান। কিন্তু বসন্তের আগমনে চা বাগান গুলোতে বৃষ্টির ছোঁয়া পেতেই ফিরে পাচ্ছে প্রকৃতি সবুজ সৌন্দর্য । সিলেট মানেই চা বাগান, সবুজের সমারোহ। এই সবুজের টানে পর্যটকরা ছুঁটে আসেন সারাদেশ থেকে। শীতের শেষে এসেছে বসন্ত। পাতাঝরা মৌসুম শেষে প্রকৃতিতে এসেছে প্রাণের সঞ্চার। চা বাগনে এসেছে নতুন কুঁড়ি। সুবজে ছেয়ে গেছে চারিদিক। এই সৌন্দর্য্যের টানে কয়েক দিন থেকে ছুঁটে আসছেন পর্যটকরা। যারা আসছেন তারা সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে সবশেষে প্রশান্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন চা বাগানে।

সিলেট শহরের থেকে লাক্কাতুরা ও মালিনীছড়া চা বাগানের দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। শহরের উত্তর প্রান্তে এ দুটি বাগানের অবস্থান। এ বাগান দুটি ও তার চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শকদের মনে নতুন প্রাণের স্পন্দন জোগায়। যা দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসেন এসব চা বাগানে। সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার এই দু’টি চা বাগান ঘুরে দেখা যায় ইতিমধ্যে নতুন পাতার কুঁড়ি দিতে শুরু করেছে।

বিকেলের দিকে দেখা যায়, এই সবুজ গালিচার ছবি ফ্রেম বন্দি হতে ব্যস্ত চা বাগানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। চা বাগানের ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় নতুন গজানো চা গাছের এই সৌন্দর্যের লীলা ভূমি দেখতে কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাগানে ঘুরতে এসেছেন। আর কেউ বা চা বাগানের মধ্যে বসে ছোট ছোট টং দোকানে বসে চা পান করছেন আর বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

উঁচু নিচু টিলা সমতল যে দিকেই তাকানো যায়, শুধু সবুজ আর সবুজ দেখতে যেন শিল্পীর আল্পনায় আঁকা ছবির মতো। সিলেটের এই চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুঁটে আসেন পর্যটকরা। শুধু বাংলাদেশ নয় বাংলাদেশের বাইরে থেকে ছুঁটে আসেন পর্যটকরা এসব চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। যে দিকেই তাকানো যায় শুধু সবুজ আর সবুজ আর কচি পাতার হলুদ বরণ আবরণের স্নিগ্ধতা।

এছাড়াও সিলেট বিভাগের মধ্যে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সদর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক চা বাগান। কয়েক লাখ একর জায়গার এ চা-বাগান গুলোতে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ চা উৎপন্ন হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা বিদেশে রপ্তানি হয়, আয় হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। এ চা-পাতা উৎপাদিত হয় দু’টি পাতা ও একটি কুঁড়ি থেকে। সাধারণত নিচু জায়গা হতে তুলনামূলক উঁচু সমতল ভূমি এবং ছোট আঁকারের টিলা ও তার পাদদেশে চা গাছ জন্মায় বেশি। চা গাছের চারা রোপণ করার প্রায় পাঁচ বছর পর থেকে উৎপাদন শুরু হয়।

দর্শনার্থীরা জানান, অনেক সময় এসব চা বাগানের ভিতরে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তারা উধ্বর্তন প্রশাসনের প্রতি পর্যটকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প করার দাবি জানান।

টং দোকানির সাথে কথা বলে জানা যায়, চা বাগানে সারা বছর পর্যটক আসেন তবে সব থেকে বেশি সময় পর্যটক আসেন যখন নতুন চা পাতা গজায় তখন। আর এমনিতে আমাদের শহরের আশপাশের মানুষ প্রতি সপ্তাহেই আসেন। আর পর্যটক আসলে আমাদের বেচাকেনা ভালো হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

প্রচন্ড তাপদাহে রাজশাহীর জনজীবন অতিষ্ঠ।

প্রচন্ড তাঁহাকে রাজশাহীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো রাজশাহী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য অংশেও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন পূর্বাভাস দিয়েছে।

২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও মৌলভীবাজার জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি এলাকায় আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বাড়তে পারে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ফলে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।

মঙ্গলবার এবং বুধবারও একই ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া বেশিরভাগ এলাকায় শুষ্কই থাকবে। সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বা কিছুটা কমতে পারে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে ।

সুনামগঞ্জে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা,অভিযুক্ত গ্রেফতার।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া নয় বছর বয়ষী এক শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার ভোররাতে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সাবুল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের ছমরু মিয়ার ছেলে।

শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।শনিবার ছাতকের ভিকটিম শিশু কন্যার পারিবারীক সুত্র জানায়, শুক্রবার সকাল আটটার দিকে গ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়তে যায় ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যা।

উপজেলার জহিরপুর গ্রামের বখাটে সাবুল ফাঁকা মাদ্রাসায় দ্বিতীয় তলার শ্রেণিকক্ষে জোর পূর্বক ওই শিশু কন্যাকে ধরে নিয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষেই ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
চিৎকার করে কৌশলে শ্রেণিকক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায় ওই শিশুকন্যা।
এরপর পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসা কতৃপক্ষ, শিক্ষকদের, গ্রামবাসীকে ঘটনাটি জানানোর পর তারাবির নামাজের পর ওই ঘটনায় গ্রামে সালিস বৈঠক ডাকা হয়।

তারাবির নামাজের পর রাত সাড়ে ৯টা থেকে দশটার ভেতর সালিসে কয়েক শতাধিক লোকজন উপস্থিত হন।
ঘটনা শুনে সালিসে উপস্থিত থাকা লোকজন উক্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত’র গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বসতবাড়িতে ভাংচুর চালায়।

এদিকে ছাতক থানার জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার জহিরপুর এলাকা থেকে শনিবার ভোররাতে অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
শনিবার সকালে ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, গ্রেফতার সাবুলকে ছাতক থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ