আজঃ বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

জনগণের পকেট কেটে সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে – বাসদ

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির গনবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিদ্যুুৎখাতে দূর্নীতি লুটপাট বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বিকেল ৪ টায় চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আরো বক্তব্য রাখেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য আকরাম হোসেন, হেলাল উদ্দিন কবির, আহমদ জসীম, ছাত্র ফ্রন্ট নগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা নাজিমউদ্দীন বাপ্পীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ জেলা সদস্য রায়হান উদ্দিন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দাম সমন্বয়ের নামে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের জীবনকে আরও ভোগান্তির মধ্যে ফেলবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল থেকে সমন্বয়ের নামে পর্যায়ক্রমে ১৫ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সর্বশেষ গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সরকার ডলারের সাথে টাকার মূল্যমানের হ্রাসের অজুহাত দিচ্ছে। অথচ,আমদানি রপ্তানির নামে ডলার পাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ এর সঙ্গে সাধারণ মানুষ জড়িত নয় কিন্তু এর দায় বহন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই। ২০০ ইউনিটের নিচে ৩৪ পয়সা এবং বেশি ব্যববহারকারীদের ৭০ পয়সা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ যেমন বাড়াবে তেমনি সরকার ও লুটপাকারীদের দায় এড়ানোর পথ তৈরি করবে।
বক্তারা আরো বলেন,আমরা বহু দিন থেকে বলে আসছি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানীখাতসহ অন্যান্যক্ষেত্রে চলমান দুর্নীতি ও অপচয় রোধ করলে এবং তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে গ্যাস ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়েও কম দামে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব। তাছাড়া সক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও সরকারি বিদ্যুতকেন্দ্রে উৎপাদন না করে ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় ও অলস বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ভর্তুকি দেয়ার ভুলনীতি অনুসরণ, দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ না করে নানা অজুহাতে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি সরকারের দুর্নীতিবাজ তোষণের ফল।”
বক্তারা অবিলম্বে বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অপচয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। একই সাথে সরকারের সকল প্রকার অনিয়ম ও স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বই পড়ে জামায়াতকে জানুন, জামায়াতে যোগ দিন।ল

সারাদেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়ও চলছে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ পক্ষ-২০২৫। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এ লক্ষে গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে গণ সংযোগ ও সদস্য সংগ্রহ করছে নেতাকর্মীরা। গত ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে চৌদ্দগ্রাম বাজারে দাওয়াতি বুথ করে সমর্থক ফরম বিলি ও সমর্থক সংগ্রহ করছে পৌর জামায়াত। ইসলামী সংগঠন জামায়াতের কার্যক্রমে সন্তুষ্ঠ হয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ সমর্থক ফরম পূরণ করেছে।

বুধবার বিকেলে পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাঃ ইব্রাহিম মাইকে বাজারের পথচারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মানুষের কল্যাণে কাজ করে। ইসলামী আন্দোলন করা সকলের জন্য প্রয়োজন। আমাদের বুথে আসুন, বিনামূল্যে বই নিয়ে যান। বই পড়ুন, জামায়াতকে জানুন। জামায়াতে যোগ দিন’।

পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী মোশারফ হোসেন ওপেলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর কাজী মোঃ এয়াছিন, ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা আরিফুর রহমান, মাওলানা নুর আহম্মেদ, আবু নাসের ভুঁইয়া, আলা উদ্দিন, মোস্তফা কামাল খাঁ, শাহ আলম, লিয়াকত শিকদার প্রমুখ।

এনসিটি বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা চায় জামায়াতে ইসলামী

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন নগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী। শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই। দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ অপরিহার্য। কিন্তু সে বিনিয়োগ হোক গ্রিন ফিল্ডে। যেমন দেশের বিভিন্নস্থানে ইকোনোমিক জোনগুলোতে বিদেশিরা এসে বিনিয়োগ করছে। ঠিক তেমনি আমাদের বে টার্মিনাল হতে শুরু করে সীতাকুন্ড-মিরসরাই ও মাতারবাড়িতে প্রচুর বিনিয়োগের সুবিধা রয়েছে। সেখানে বিনিয়োগ আসুক। কিন্তু আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা এনসিটি টার্মিনাল কেন বিদেশিদের দেওয়া হবে তা বোধগম্য নয়।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এনসিটি বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নগর জামায়াতে ইসলামী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি নুরুল আমিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালী, এ কে এম ফজলুল হক, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিউল আলম ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচি।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এনসিটি টার্মিনাল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কুনজর পড়েছিল এ টার্মিনালের ওপর। দেশের অন্যতম অর্থ পাচারকারী ও শেখ পরিবারের প্রধান অর্থ যোগানদাতা সালমান এফ রহমান ব্যাংকসহ দেশের লাভজনক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সর্বশেষ এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।যে পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে একই পদ্ধতিতে এনসিটি টার্মিনালও বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত চলছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন এনসিটি টার্মিনালকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে শাহজাহান বলেন, যদি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান না হতো, তাহলে এতদিনে এ টার্মিনালটিও বিদেশিদের হাতে চলে যেত। ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেলেও বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা তাদের লোকজন, বর্তমান সরকারকে বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে দেশের রাজস্ব খাত শেষ করার জন্য এবং দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানার জন্য এনসিটি টার্মিনালকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফ্যাসিস্ট সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট কিছু লোকজন সরকারের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা শেখ পরিবারের অর্থ যোগান দেওয়া অব্যাহত রাখার এবং বর্তমান সরকার ও ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধুলিসাৎ করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে গেলে বন্দরে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেবে জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, যদি এনসিটি বিদেশিদের হাতে দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। সরকার বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা হতে বঞ্চিত হবে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে আঘাত হানবে। এনসিটিতে নিযুক্ত চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ওই টার্মিনালে কর্মরত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ চাকুরিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা বৈধভাবে বিদেশে চলে যাবে।

পাঁচ হাজার কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো হস্তান্তরে চট্টগ্রাম বন্দরের ক্ষতি হবে ৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেবে। বৈদেশিক বাজারে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এবং বর্তমান কর্মরত দক্ষ শ্রমিকদের মাঝে হতাশা বাড়বে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ