
রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা:
ব্রকোলি সবুজ ফুলকপি তুলার কাজে ব্যস্ত শিক্ষার্থীদের, কেউ মরিচ গাছে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ টমেটো গাছগুলো পরিচর্যা করছেন। কেউ মুলা তুলে অন্যত্র রাখছেন। এমন দৃশ্যের দেখা গেল রাউজান ব্যারিস্টার সুরেশ বিদ্যায়তনের পুষ্টিবাগানে। ভালো ফলনে আনন্দিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্থানীয় পৌর মেয়র। জানা যায়, রাউজান পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ব্যারিস্টার সুরেশ বিদ্যায়নের তিন শতক অনাবাদি জমিতে পুষ্টিবাগান করা হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে পুষ্টিবাগান পরিদর্শনে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনাবাদি জমিতে সবুজ ফলকপি, বাধাকপি, মরিচ, মুলা, পিয়াজ, বেগুন, লাল শাক, কপি শাক, পুঁই শাক, সরিষার চাষাবাদ করা হয়। এছাড়া গাদা ও সূর্যমুখী ফুলের চারা লাগানো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাকনুন কাসফিয়া বলেন, আমরা পুষ্টিবাগানে নিয়মিত পানি দিই, পরিচর্যা করি। এখন ফলন দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে। ধ্রæব রাজ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের হাতে লাগানো চারাগুলো ফলন দিচ্ছে। এখন আমি বাড়িতেও সবজি চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ পুষ্টিবাগানে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি উৎপাদিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশু কুমার চৌধুরী। পুষ্টিবাগানে উৎপাদিত ফসল দ্বারা শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাদের দৈনন্দিন চািহদা মেটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবাগান সংশ্লিষ্ট উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার চন্দ। পুষ্টিবাগান পরিদর্শন করেছেন রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। পুষ্টিবাগানের সবুজ ফুলকপিসহ অন্যান্য শাক-সবজি দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র কঠোর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। পুষ্টিবাগান দ্বারা এমপির নির্দেশনা বাস্তবায়িত হচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষা পুষ্টিগুন সম্পর্কিত বাস্তবমুখী শিক্ষা অর্জন করতে পারছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টিবাগান করা গেলে খাদ্যচাহিদা পুরণের পাশাপাশি বিক্রি করা সম্ভব হবে।’
রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির বলেন, রাউজান কৃষি স¤প্রসারণ অধিপ্তরের আওতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে রাউজানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ির আঙ্গিনায় পুষ্টিবাগান করতে আমরা সহযোগিতা প্রদান করছি। সার-বীজ প্রদানের পাশাপাশি পরামর্শসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রডিষ্ঠানের পুষ্টিবাগান দেখে শিক্ষার্থীরা উদ্দ্ধ হচ্ছে। ’