আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক

ডেস্ক নিউজ:

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক
রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উচ্ছেদ অভিযানে কারণে এবারের রোজায় সড়কে যানজট কমবে বলে মনে করেন মেয়র।
বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক বাজার মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে আমাদের দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং যানজট। কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন।রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
“কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করবে চসিক। আমরা বাজার মনিটরিং করব। প্রয়োজনে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন। ”
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যানজট কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে যানজট বেড়ে যায়। তবে, এবার নিউ মার্কেট ও আগ্রাবাদ মোড়ে আমরা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি তার কারণে যানজট কম হবে বলে মনে করি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখব। যারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব কোন হুমকিতে অভিযান বন্ধ হবেনা। উদ্ধারকৃত জায়গা প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে জনগণকে মুক্ত ফুটপাত, রাস্তা দেয়ার আমার যে পরিকল্পনা তা বাস্তব রূপ নিবে।
সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ, ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রের উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবৈধ হকারমুক্ত হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তবে, দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছে।
“চট্টগ্রাম অবৈধ হকারমুক্ত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে। কারণ, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যা·-ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে। পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করে তারা অপরাধীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, যা শহরের আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি।চসিক যেহেতু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সেহেতু লাইসেন্সধারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘেœ ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আমরা অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করব। মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত ও হাঁটার রাস্তা দখল না করার আহŸান জানান।
সভায় বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম, চৈতী সর্ববিদ্যা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ,
চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক নিখিল রায়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত ।

পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর আয়োজন, কর্মসূচী ব্যতিক্রম ও বৈচিত্র্যময়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার পরিবাগস্থ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাংস্কৃতিক পর্ব—দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে : শিল্পবৃত্ত, পদক্ষেপ বাংলাদেশ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে : কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, শিল্পবৃত্ত, ঢাকা স্বরকল্পন, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি করেন : মীর বরকত, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন : গোবিন্দলাল সরকার, মো: তাজুল ইসলাম, খাইরুল আলম।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা জেবা, উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সবিতা সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর সভাপতি বাদল চৌধুরী। স্বাগব বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ সাঈদ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মতিয়ারা মুক্তা।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়- বহু ত্যাগ, সংগ্রাম আর প্রত্যাশার ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ শুধু পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত বদল নয়, খোল-নলচে সব পাল্টে নতুন এক আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নের নবযাত্রা। এই স্বপ্নের প্রধান এবং একমাত্র উপজীব্য মানুষ। মানুষের কল্যাণ, মানুষের মুক্তি, মানুষের মর্যাদা এবং মানুষের স্বাধীন ভূমিই শেষ কথা। কত মাতা, কত ভগ্নি, কত জানা-অজানা নারী তাঁর সম্ভ্রম হারিয়েছে শুধু এই মানুষকে মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। মানুষ কল্পনাবিলাসী কিন্তু নিজেতো সে কাল্পনিক নয়Ñএ ভূমিতেই তার সৃষ্টি, বেড়ে ওঠা, ভালো-মন্দের স্বাদ নেয়া, অতঃপর ভূমিতেই মিলিয়ে যাওয়া। এ ভূমির প্রতি তার প্রচ- ভালোবাসা।

মাতৃক্রোড়ে যেমনিভাবে শিশু বেড়ে ওঠে; একইভাবে কাদা-মাটি গায়ে মেখে আলো-বাতাসে অবগাহন করে এই ভূমিকেই মাতৃক্রোড় ভেবে একদিন চিরবিদায় নেয় প্রতিটি মানবশিশু। জন্ম আর মৃত্যুতে যে ভূমিকে কখনো আলাদা করা যায় নাÑতারই অমার্যাদা করবে ভিনদেশী তস্কর! তা কি করে মেনে নেয় ধুলো-বালি গায়ে মেখে বেড়ে ওঠা এ জনপদের মানুষেরা। এ ভূমিরই সাহসী-ত্যাগী- পোড়খাওয়া এক নামÑশেখ মুজিব। মাটি আর মানুষের সাথে ছিলো যাঁর আজন্ম সখ্য, ভিনদেশী হায়েনার হিংস্র থাবায় বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর হৃদপি-; তবুও ভূমি আর মানুষের স্বাধীনতায় অবিচল থেকেছেন তিনি।

তাঁরই অঙ্গুলী হেলনে সাড়ে সাত কোটি মানুষ পরিণত হয়েছে এক একজন নেতাজী সুভাষ বসু, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, বাঘাযতিন, লক্ষ্মীবাই, ভগৎসিং, রফিক, শফিক, সালাম, জব্বার, সালাউদ্দিন, বরকত, আসাদ, মনুমিয়া’য়। এ গাঙ্গেয় বদ্বীপের তেরোশত নদীর জোয়ার আর পাখিদের কলতানে উচ্চারিত হয়েছে ভিনদেশী হায়েনার বিনাশ- ধ্বনি। লাঙলের ফলা থেকে তৈরি উর্বর মাটির প্রতিটি চাকা পরিণত হয়েছে শত্রুবিনাশী আনবিক বোমায়। বাঁশঝাড় উজাড় করে তৈরি হয়েছে চকচকে বেয়নেট।

নিঃশঙ্ক চিত্তে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার অগ্নিপুরুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঞ্চারিত হয়েছে সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রতিটি রক্ত কণিকায়Ñবিজয় অর্জিত হয়েছে মানুষের সংগ্রাম আর আত্মদানের। বিজয় মাসের সূচনালগ্নে আমরা নতুন করে উদ্দীপ্ত হতে চাইÑমাটি আর মানুষের কল্যাণ কামনায়। আমরা বিনাশ চাই সেই নরপশুদের যারা মাটির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভিনদেশী হায়েনাদের সঙ্গী হয়েছিলো মনুষত্বের বিনাশ সাধনে। সেই সাথে চাই আজকের এই দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’-এর সরকারি স্বীকৃতি। মাটি আর মানুষের জয় হোক, জয় হোক শুভ চিন্তা আর আদর্শের।

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসি দিঘির পাড় উত্তর রেল গেট এলাকায় একটি কেজি স্কুল ও পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহ আলী কেজি স্কুল ও দোকানে আগুন লাগে।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে সোয়া ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ