
এস আলমের চিনি ফ্যাক্টরি থেকে রাসায়নিক বর্জ্য ফেলে কর্ণফুলী দূষেণের প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে। সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, এক লক্ষ টন চিনি তৈরির রাসায়নিক কেমিক্যাল থেকে সৃষ্ট বর্জ্য সরাসরি কর্ণফুলীতে ফেলার কারনে ইতোমধ্যে নদীর ষোল কিলোমিটার এলাকায় জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশিয় প্রজাতির সকল মাছ মরে গেছে। এমনকি কাদার মধ্যে অবস্থানকারী কুইচ্চ্যা মরে ভাসতে দেখা গেছে। যা কর্ণফুলীকে হত্যার সামিল। ইতিপূর্বে কর্ণফুলী নদীতে এই ধরনের রাসায়নিক পড়েনি। অবস্থান কর্মসূচিতে
বক্তারা বলেন, আগামি ৯ মার্চ শনিবারের মধ্যে কি পরিমান তরল রাসায়নিক বর্জ্য কর্ণফুলীতে পড়েছে তা নির্নয় করে এস আলম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। তানালে আগামি ১০ মার্চ রবিবার সকাল ১১ টায় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। জনগণের প্রতিবাদ মঞ্চের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান বলেন, এভাবে নদী ধ্বংস হচ্ছে সরকার চুপ করে দেখছে। আমরা এর কঠিন জবাব দিব।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, পরিদর্শন করেই পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। জেলা প্রশাসন থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এটা চট্টগ্রাম বাসীর জন্য খুবই দুঃখজনক লজ্জার। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের
নির্লিপ্ততার কারণে এস আলম কর্তৃপক্ষ এসব করছে।
ডাঃ মাহফুজর রহমান সভাপতি, প্রধান সমন্নয়ক সাংবাদিক আলীউর রহমান, এস এম পেয়ার আলী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার চট্টগ্রাম কার্যালয় সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ইরা, তারেকশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সি ন ভৌমিক, আরকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদুল করিম বাপ্পী, তারেকশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক, ছাত্রলীগ নেতা নুরুল হুদা চৌধুরী,মোহাম্মদ লোকমান, আবুল হোসেন আবুল প্রমুখ।
জনগনের প্রতিবাদ ম রে আয়োজক চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র, আরএসকে ফাউন্ডেশন,কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন
